পরিচ্ছেদ__ মানুষের মধ্যে আপোস-মীমাংসা করে দেয়া।
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى )لَا خَيْرَ فِيْ كَثِيْرٍ مِّنْ نَّجْوٰهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍم بَيْنَ النَّاسِ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ ابْتِغَآءَ مَرْضَاةِ اللهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيْهِ أَجْرًا عَظِيْمًا( (النساء : 114) وَخُرُوْجِ الْإِمَامِ إِلَى الْمَوَاضِعِ لِيُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ بِأَصْحَابِهِ
আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ তাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শে কোন কল্যাণ নেই। তবে কল্যাণ আছে যে দান-খয়রাত, সৎকার্য ও মানুষের মধ্যে সমঝোতা স্থাপনের নির্দেশ দেয় তার পরামর্শে.....শেষ পর্যন্ত- (সূরা আন-নিসা ১১৪)। মানুষের মধ্যে আপোস করিয়ে দেয়ার উদ্দেশে সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে ইমামের (ঘটনা) স্থানে যাওয়া।
২৬৯০. সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আমর ইবনু ‘আউফ গোত্রের কিছু লোকের মধ্যে সামান্য বিবাদ ছিল। তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর সহাবীগণের একটি জামা‘আত নিয়ে তাদের মধ্যে আপোস-মীমাংশা করে দেয়ার জন্য সেখানে গেলেন। এদিকে সালাতের সময় হয়ে গেল। কিন্তু নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মসজিদে নাবাবীতে এসে পৌঁছেননি। বিলাল (রাঃ) আবু বাকর (রাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে সালাতেরও সময় হয়ে গেছে। আপনি কি সালাতে লোকদের ইমামত করবেন?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি যদি ইচ্ছা কর।’ অতঃপর বিলাল (রাঃ) সালাতের ইকামত বললেন, আর আবু বাকর (রাঃ) এগিয়ে গেলেন। পরে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এলেন এবং কাতারগুলো অতিক্রম করে প্রথম কাতারে এসে দাঁড়ালেন। (তা দেখে) লোকেরা হাততালি দিতে শুরু করল এবং তা অধিক মাত্রায় দিতে লাগল। আবূ বাকর (রাঃ) সালাত অবস্থায় কোন দিকে তাকাতেন না, কিন্তু (হাততালির কারণে) তিনি তাকিয়ে দেখতে পেলেন যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর পেছনে দাঁড়িয়েছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে হাতের ইশারায় আগের মত সালাত আদায় করে যেতে নির্দেশ দিলেন। আবু বাকর (রাঃ) তাঁর দু’হাত উপরে তুলে আল্লাহর হামদ বর্ণনা করলেন। অতঃপর কিবলার দিকে মুখ রেখে পেছনে ফিরে এসে কাতারে সামিল হলেন। তখন নাবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আগে বেড়ে লোকদের ইমামত করলেন এবং সালাত সমাপ্ত করে লোকদের দিকে ফিরে বললেন, ‘হে লোক সকল! সালাত অবস্থায় তোমাদের কিছু ঘটলে তোমরা হাত তালি দিতে শুরু কর। অথচ হাততালি দেয়া মেয়েদের কাজ। সালাত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে সে যেন ‘সুবহানাল্লাহ্’ ‘সুবহানাল্লাহ্’ বলে। কেননা, এটা শুনলে কেউ তার দিকে দৃষ্টিপাত না করে পারতো না।’ ‘হে আবূ বাকর! তোমাকে যখন ইশারা করলাম, তখন সালাত আদায় করাতে তোমার কিসের বাধা ছিল?’ তিনি বললেন, ‘আবূ কুহাফার পুত্রের জন্য শোভা পায় না নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সামনে ইমামত করা। (৬৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫০৮১)
[১] ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ পঞ্চম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ- জুন ১৯৯৯ সংস্করণের ক্রমিক নং অনুযায়ী। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
Comments
Post a Comment