Posts

Showing posts from July, 2021

সূরা হুজুরাত মানব জাতির জন্য হাদিয়া -হাফেয আব্দুল মতীন মাদানী (পর্ব-২)

  (পর্ব-২) (৩)  আল্লাহর  রাসূল (ছা.)-এর সামনে কণ্ঠস্বর নীচু করা : মহান আল্লাহ বলেন, يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ – إِنَّ الَّذِينَ يَغُضُّونَ أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ أُولَئِكَ الَّذِينَ امْتَحَنَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ لِلتَّقْوَى لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ عَظِيمٌ – إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ – وَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حَتَّى تَخْرُجَ إِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলো, তার সাথে সেরূপ উচ্চৈঃস্বরে কথা বলো না, এতে তোমাদের কর্ম নষ্ট হয়ে যাবে তোমাদের অজান্তে। যারা আল্লাহর  রাসূল (ছা.)-এর সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নীচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাক্বওয়ার জন্য পরীক্ষা করেছেন, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। যারা ক

প্রচলিত ভুল ও কুসংস্কার | Al Itisam

– আব্দুল বারী বিন সোলায়মান ( পর্ব-৪) ( ৩১) আযান শুনে মাথায় কাপড় দেওয়া : আযান শুনে অনেক নারীকে মাথায় কাপড় দিতে দেখা যায়।  শরী‘আতে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। যদি ছওয়াবের নিয়্যতে এই কাজ করা হয়, তাহলে তা বিদ‘আত বলে গণ্য হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ. ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করল, যার ব্যাপারে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’। [1]   এটা প্রচলিত কুসংস্কার মাত্র। হয়ত বা মনে করে- আযান হচ্ছে,  আল্লাহর  ইবাদতের দিকে আহ্বান করা হচ্ছে, এই অবস্থায় খালি মাথায়, বেপর্দা হয়ে থাকি কী করে? তাই মাথায় কাপড় দেয়। হাস্যকর ব্যাপার হলো, যে নারী ছালাতই আদায় করে না, ছালাতের মতো ফরয বিধানকে অমান্য করে চলতে যার অন্তর কাঁপে না, আযান শুনে মাথায় কাপড় দিয়ে সে আবার কী দেখাতে চায়? ( ৩২) তাশাহহুদের বৈঠকে বসে সিজদার স্থানে দৃষ্টি রাখা : অনেকেই তাশাহহুদের বৈঠকে বসে দৃষ্টি রাখে সিজদার স্থানে। মনে করে ছালাতের অন্য সব স্থানের মতো [2]   এখানেও সিজদার স্থানে দৃষ্টি রাখতে হবে। কিন্তু তা ভুল। বরং তাশাহহুদে বসে তর্জনী আঙ্গুলের ইশারার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে হ

লোক দেখানো আমলের ভয়াবহ পরিণতি_ al itisham

Image
লোক দেখানো আমলের ভয়াবহ পরিণতি – রিয়াযুল ইসলাম বিন হাবীবুর রহমান ছাত্র ,  আল-জামি ‘ আহ আস-সালাফিয়্যাহ ডাঙ্গীপাড়া ,  পবা ,  রাজশাহী। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে ব্যক্তির বিচার করা হবে, সে হচ্ছে একজন শহীদ। তাকে আল্লাহর কাছে উপস্থিত করা হবে। অতঃপর আল্লাহ তাকে দুনিয়াতে প্রদত্ত নে‘মত সমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। আর সেও তা স্মরণ করবে। তারপর আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবেন, দুনিয়াতে তুমি কী আমল করেছ? উত্তরে সে বলবে, আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য কাফেরদের সাথে লড়াই করেছি। এমনকি শহীদ হয়েছি। তখন আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ, বরং তোমাকে যেন বীর-বাহাদুর বলা হয়, সেজন্য তুমি লড়াই করেছ। অতঃপর তার ব্যাপারে আদেশ দেওয়া হবে। তখন তাকে উপুড় করে টেনে-হিঁচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তারপর সে ব্যক্তিকে বিচারের জন্য উপস্থিত করা হবে, সে নিজে দ্বীনি ইলম শিক্ষা করেছে এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে। তাকে আল্লাহর কাছে হাযির করা হবে এবং তাকে নে‘মতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। সেও তা স্মরণ করবে। তারপর আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবেন, এই সমস্ত নে‘মতের শুকরিয়া জ্ঞাপনের জন্য তুমি কী

Fatwa_The difference between Ibadah (Worship) and Obedience – Imam Ibn Baaz

  Imam Ibn Baaz: In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful An extract from my letter I sent to His Excellency Shaykh  Abu Al-A`la Al-Mawdudy  concerning  the difference between `Ibadah and obedience On 2/4//1392 A.H.,  Abu Al-A`la Al-Mawdudy  sent me a letter no. 1526, dated 2 Safar, 1392 A.H. explaining his case and  Tufayl’s,  his successor in the leadership of Islamic Group. I replied in the same year when I was the President of the Islamic University in  Al-Madinah Al-Munawwarah  and the following is some of my reply: Some brothers from  Milbar  living in the country told me that Your Eminence opine that  `Ibadah is clarified by obedience and that when someone obeys another, he worships him. `Ibadah is also interpreted as enslavement and idolization. Furthermore, Shaykh  `Umar ibn Ahmad Al-Millibary,  owner of Al-Salsabil Magazine, wrote to me concerning this issue asserting what is mentioned about you and the Group. He sent me a copy of a survey pertaining to this

বিষয়__ জুমআর রাকআত ছুটে গেলে __ গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্‌শির অধ্যায়ঃ জুম'আ

Image
কারো জুমআর এক রাকআত ছুটে গেলে বাকী আর এক রাকআত ইমামের সালাম ফিরার পর উঠে পড়ে নিলে তার জুমুআহ হয়ে যাবে। অনুরুপ কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূ পেলেও ঐ রাকআত এবং তার সাথে আর এক রাকআত পড়লে তারও জুমুআহ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূ থেকে ইমামের মাথা তোলার পর জামাআতে শামিল হয়, তাহলে সে জুমআর নামায পাবে না। এই অবস্থায় তাকে যোহরের ৪ রাকআত আদায়ের নিয়তে জামাআতে শামিল হয়ে ইমামের সালাম ফিরার পর ৪ রাকআত ফরয পড়তে হবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪১৮, ৪২১) যেমন জামাআত ছুটে গেলে জুমআও ছুটে যাবে। এ ক্ষেত্রেও একাকী যোহ্‌র পড়তে হবে। কারণ জামাআত ছাড়া জুমুআহ হয় না। মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি জুমআর এক রাকআত নামায পায়, সে যেন অপর এক রাকআত পড়ে নেয়।” (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৬২২, জামে ৫৯৯১নং) মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি এক রাকআত নামায পায়, সে নামায পেয়ে যায়।” (বুখারী ৫৭৯, মুসলিম, সহীহ ৬০৭, তিরমিযী, সুনান ৫২৪নং) এর বিপরীত অর্থ এই দাঁড়ায় যে, “যে ব্যক্তি এক রাকআত নামায পায় না, সে নামায পায় না।” এ জন্যই ইমাম তিরমিযী উক্ত হাদীসের টীকায় বলেছেন, ‘এ হ

বিষয়__ মুসলমানদের রোম ও কন্সটান্টিনোপল বিজয় :

চতুর্থ অভিযান : কন্সটান্টিনোপল বিজয়ের তৃতীয় অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাতশ’ বছর মুসলমানরা এ প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকে। যদিও ওছমানীয় সুলতান বায়েজীদ এ ব্যাপারে কিছু প্রচেষ্টা চালান। তবে তা ব্যর্থ হয়। অতঃপর ১৬ই মুহাররম ৮৫৫ হিজরী মোতাবেক ১৪৫১ খৃষ্টাব্দে মুহাম্মাদ আল-ফাতেহ সুলতান হিসাবে সিংহাসনে আরোহণ করেন।[1] তাঁর বয়স তখন মাত্র ২২ বছর। নিজের একান্ত শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষাগুরু শায়েখ আক্ব শামসুদ্দীনের সান্নিধ্যে বাল্যকাল থেকেই কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের অনুপ্রেরণা পেয়ে এসেছেন। তাই সিংহাসনে বসেই তিনি তার সেই সুপ্ত বাসনা বাস্তবায়নের ছক আঁকতে শুরু করেন। ফলে কন্সটান্টিনোপল বিজয়ই যুবক সুলতানের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে। সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ যে সময়টাতে খেলাফতের দায়িত্ব নেন, তখন ইউরোপের পরাশক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডে প্রায় ১০০ বছর ধরে যুদ্ধ চলছিল। জার্মানি, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরী- এই দেশগুলোও নিজেদের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে সামরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তখন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অবস্থাও ছিল একেবারে নাজুক। কনস্টান্টিনোপলই ছিল তাদের সর্বশেষ আশ্রয়। মুহ