Posts

Showing posts from February, 2022

sign of qiyamah..

 গ্রন্থঃ কিয়ামতের আলামত অধ্যায়ঃ কিয়ামতের ছোট আলামত  @@@হেজায অঞ্চল থেকে বিরাট একটি আগুন বের হবে  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, কিয়ামতের পূর্বে হেজাযের (আরব উপদ্বীপের) যমিন থেকে বড় একটি আগুন বের হবে। এই আগুনের আলোতে সিরিয়ার বুসরা নামক স্থানের উটের গলা পর্যন্ত আলোকিত হয়ে যাবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَخْرُجَ نَارٌ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ تُضِيءُ أَعْنَاقَ الْإِبِلِ بِبُصْرَى ‘‘হেজাযের ভূমি থেকে একটি অগ্নি প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবেনা। উক্ত অগ্নির আলোতে বুসরায় অবস্থানরত উটের গলা পর্যন্ত আলোকিত হবে’’।[1] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ভবিষ্যৎবাণী সত্যে পরিণত হয়েছে। ইমাম নববী (রঃ) বলেনঃ ৬৫৪ হিজরীতে আমাদের যামানায় উল্লেখিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এটি ছিল বিরাট একটি আগুন। পবিত্র মদ্বীনার পূর্ব দিক থেকে তা প্রকাশিত হয়েছিল। একমাস পর্যন্ত আগুনটি স্থায়ী ছিল। [1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান। 

==ইয়াজুয-মা’জুযের আগমণ

 গ্রন্থঃ কিয়ামতের আলামত অধ্যায়ঃ কিয়ামতের বড় আলামত   ৪. ইয়াজুয-মা’জুযের আগমণ  ইয়াজুয-মা’জুযের পরিচয়ঃ ইয়াজুয-মা’জুযের দল বের হওয়া কিয়ামতের একটি অন্যতম বড় আলামত। এরা বের হয়ে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও মহা ফিতনার সৃষ্টি করবে। এরা বর্তমানে যুল-কারনাইন বাদশা কতৃক নির্মিত প্রাচীরের ভিতরে অবস্থান করছে। কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে তারা দলে দলে মানব সমাজে চলে এসে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাবে। তাদের মোকাবেলা করার মত তখন কারো কোন শক্তি থাকবেনা। তাদের পরিচয় সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বর্ণিত হয়েছে। কোন কোন আলেম বলেনঃ তারা শুধু মাত্র আদমের বংশধর। আদম ও হাওয়ার বংশধর নয়। কারণ হিসেবে বলেনঃ আদম (আঃ)এর একবার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে মাটির সাথে মিশে গেলে তা থেকে আল্লাহ তায়ালা ইয়াজুয-মা’জুয জাতি সৃষ্টি করেন।[1] ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ কথাটি পূর্ব যুগের কোন গ্রহণযোগ্য আলেম কর্তৃক বর্ণিত হয়নি। শুধুমাত্র কা’ব আল-আহবার থেকে বর্ণিত হয়েছে। কথাটি সুস্পষ্ট মারফূ হাদীছের বিরোধী হওয়ায় তা গ্রহণযোগ্য নয়। মোটকথা তারা তুর্কীদের পূর্ব পুরুষ ইয়াফিছের বংশধর। আর ইয়াফিছ হলো নূহ (আঃ)এর সন্তান। কাজেই তারা আদম-হাওয়ারই

হিজরী সনের প্রবর্তন(بدء السنة الهجرية)

www.atowar-rahman-salafi.blogspot.com হিজরী সনের প্রবর্তন(بدء السنة الهجرية)  ওমর ফারূক (রাঃ) স্বীয় খেলাফতকালে (১৩-২৩ হিঃ) হিজরী সন প্রবর্তন করেন এবং রবীউল আউয়াল মাসের বদলে মুহাররম মাসকে ১ম মাস হিসাবে নির্ধারণ করেন। কারণ হজ্জ পালন শেষে মুহাররম মাসে সবাই দেশে ফিরে যায়। তাছাড়া যিলহাজ্জ মাসে বায়‘আতে কুবরা সম্পন্ন হওয়ার পর মুহাররম মাসে হিজরতের সংকল্প করা হয়। ঘটনা ছিল এই যে, আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) খলীফা ওমর (রাঃ)-কে লেখেন যে, আপনি আমাদের নিকটে যেসব চিঠি পাঠান তাতে কোন তারিখ থাকে না। যাতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখন ওমর (রাঃ) পরামর্শ সভা ডাকেন। সেখানে তিনি হিজরতকে হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী বলে আখ্যায়িত করেন এবং মুহাররম মাস থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব করেন। বিস্তারিত আলোচনার পর সকলে তা মেনে নেন। ঘটনাটি ছিল ১৭ হিজরী সনে।[1] [1]. বুখারী ফৎহসহ হা/৩৯৩৪-এর আলোচনা; সীরাহ ছহীহাহ ১/২২৩। http://www.hadithbd.com/books/link/?id=5367