Posts

Showing posts from 2022

আশূরায়ে মুহাররম : গুরুত্ব ও ফযীলত:

আরবী বছরের প্রথম মাস মুহাররম। আরবরা এ মাসকে ‘ছফরুল আউয়াল’ তথা প্রথম ছফর নামকরণ করে নিজেদের ইচ্ছামতো যুদ্ধ-বিগ্রহসহ বিভিন্ন কাজকে হালাল ও হারাম করত। অবশেষে আল্লাহ তাআলা এ অবস্থাকে নিষিদ্ধ করে এ মাসের ইসলামী নামকরণ করেন ‘শাহরুল্লাহিল মুহাররম’ তথা ‘মুহাররম আল্লাহর মাস’ নামে। এ মাসের ১০ তারিখ আশূরা বলে পরিচিত। নিঃসন্দেহে আশূরার দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার দিন। মুহাররম মাসের গুরুত্ব : মুহাররম মাস হিজরী সনের ১২ মাসের প্রথম মাস, যা হারাম বা পবিত্র মাসগুলোর অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বছরের ১২টি মাস সম্পর্কে বলেন, ﴿إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِيْ كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوْا فِيْهِنَّ أَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِيْنَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ﴾ ‘নিশ্চয় আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হতে আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মাস গণনায় ১২টি মাস, তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। সু

## মাগরিবের আগে নফল নামায আদায় সম্পর্কে...

গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১২৮১   ৩০৫. মাগরিবের আগে নফল নামায আদায় সম্পর্কে।  ১২৮১. উবায়দুলল্লাহ ইবন উমার (রহঃ) .... আবদুলল্লাহ ইবনুল-মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমরা যে ইচ্ছা কর মাগরিবের পূর্বে দুই রাকাত নামায আদায় করতে পার। তিনি দুইবার এরূপ বলেন এবং তিনি তা আদায়ে কঠোরতা না করার কারণ এই ছিল, যাতে লোকেরা এটাকে সুন্নাত হিসাবে মনে না করে। (বুখারী) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) 

ছিয়ামের ফাযায়েল ও মাসায়েল: Monthly at tahrek

Image
ছওম বা ছিয়াম :  অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আল্ললাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়। ছিয়ামের ফাযায়েল :  রাসূলুল্ললাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’। [1] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের ছওয়াব দশগুণ হ’তে সাতশত গুণ পর্যন্ত প্রদান করা হয়। আল্লাহ বলেন, কিন্তু ছওম ব্যতীত। কেননা ছওম কেবল আমার জন্যই (রাখা হয়) এবং আমিই তার পুরস্কার প্রদান করব। সে তার যৌনাকাঙ্খা ও পানাহার কেবল আমার জন্যই পরিত্যাগ করে। ছিয়াম পালনকারীর জন্য দু’টি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। একটি ইফতারকালে, অন্যটি তার প্রভুর সাথে দীদারকালে। তার মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকটে মিশকের খোশবুর চেয়েও সুগন্ধিময়। ছিয়াম (অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে) ঢাল স্বরূপ। অতএব যখন তোমরা ছিয়াম পালন করবে, তখন মন্দ কথা বলবে না ও বাজে বকবে না। যদি কেউ গালি দেয় বা লড়াই করতে আসে তখন বলবে, আমি ছায়েম’। [2] মাসায়েল : ১. ছিয়াম

sign of qiyamah..

 গ্রন্থঃ কিয়ামতের আলামত অধ্যায়ঃ কিয়ামতের ছোট আলামত  @@@হেজায অঞ্চল থেকে বিরাট একটি আগুন বের হবে  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, কিয়ামতের পূর্বে হেজাযের (আরব উপদ্বীপের) যমিন থেকে বড় একটি আগুন বের হবে। এই আগুনের আলোতে সিরিয়ার বুসরা নামক স্থানের উটের গলা পর্যন্ত আলোকিত হয়ে যাবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَخْرُجَ نَارٌ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ تُضِيءُ أَعْنَاقَ الْإِبِلِ بِبُصْرَى ‘‘হেজাযের ভূমি থেকে একটি অগ্নি প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবেনা। উক্ত অগ্নির আলোতে বুসরায় অবস্থানরত উটের গলা পর্যন্ত আলোকিত হবে’’।[1] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ভবিষ্যৎবাণী সত্যে পরিণত হয়েছে। ইমাম নববী (রঃ) বলেনঃ ৬৫৪ হিজরীতে আমাদের যামানায় উল্লেখিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এটি ছিল বিরাট একটি আগুন। পবিত্র মদ্বীনার পূর্ব দিক থেকে তা প্রকাশিত হয়েছিল। একমাস পর্যন্ত আগুনটি স্থায়ী ছিল। [1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান। 

==ইয়াজুয-মা’জুযের আগমণ

 গ্রন্থঃ কিয়ামতের আলামত অধ্যায়ঃ কিয়ামতের বড় আলামত   ৪. ইয়াজুয-মা’জুযের আগমণ  ইয়াজুয-মা’জুযের পরিচয়ঃ ইয়াজুয-মা’জুযের দল বের হওয়া কিয়ামতের একটি অন্যতম বড় আলামত। এরা বের হয়ে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও মহা ফিতনার সৃষ্টি করবে। এরা বর্তমানে যুল-কারনাইন বাদশা কতৃক নির্মিত প্রাচীরের ভিতরে অবস্থান করছে। কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে তারা দলে দলে মানব সমাজে চলে এসে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাবে। তাদের মোকাবেলা করার মত তখন কারো কোন শক্তি থাকবেনা। তাদের পরিচয় সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বর্ণিত হয়েছে। কোন কোন আলেম বলেনঃ তারা শুধু মাত্র আদমের বংশধর। আদম ও হাওয়ার বংশধর নয়। কারণ হিসেবে বলেনঃ আদম (আঃ)এর একবার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে মাটির সাথে মিশে গেলে তা থেকে আল্লাহ তায়ালা ইয়াজুয-মা’জুয জাতি সৃষ্টি করেন।[1] ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ কথাটি পূর্ব যুগের কোন গ্রহণযোগ্য আলেম কর্তৃক বর্ণিত হয়নি। শুধুমাত্র কা’ব আল-আহবার থেকে বর্ণিত হয়েছে। কথাটি সুস্পষ্ট মারফূ হাদীছের বিরোধী হওয়ায় তা গ্রহণযোগ্য নয়। মোটকথা তারা তুর্কীদের পূর্ব পুরুষ ইয়াফিছের বংশধর। আর ইয়াফিছ হলো নূহ (আঃ)এর সন্তান। কাজেই তারা আদম-হাওয়ারই

হিজরী সনের প্রবর্তন(بدء السنة الهجرية)

www.atowar-rahman-salafi.blogspot.com হিজরী সনের প্রবর্তন(بدء السنة الهجرية)  ওমর ফারূক (রাঃ) স্বীয় খেলাফতকালে (১৩-২৩ হিঃ) হিজরী সন প্রবর্তন করেন এবং রবীউল আউয়াল মাসের বদলে মুহাররম মাসকে ১ম মাস হিসাবে নির্ধারণ করেন। কারণ হজ্জ পালন শেষে মুহাররম মাসে সবাই দেশে ফিরে যায়। তাছাড়া যিলহাজ্জ মাসে বায়‘আতে কুবরা সম্পন্ন হওয়ার পর মুহাররম মাসে হিজরতের সংকল্প করা হয়। ঘটনা ছিল এই যে, আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) খলীফা ওমর (রাঃ)-কে লেখেন যে, আপনি আমাদের নিকটে যেসব চিঠি পাঠান তাতে কোন তারিখ থাকে না। যাতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখন ওমর (রাঃ) পরামর্শ সভা ডাকেন। সেখানে তিনি হিজরতকে হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী বলে আখ্যায়িত করেন এবং মুহাররম মাস থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব করেন। বিস্তারিত আলোচনার পর সকলে তা মেনে নেন। ঘটনাটি ছিল ১৭ হিজরী সনে।[1] [1]. বুখারী ফৎহসহ হা/৩৯৩৪-এর আলোচনা; সীরাহ ছহীহাহ ১/২২৩। http://www.hadithbd.com/books/link/?id=5367

>> ফজর ছালাতের ওয়াক্ত

গ্রন্থঃ জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত অধ্যায়ঃ ছালাতের সময়   (১) ফজর ছালাতের ওয়াক্ত  আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূল (ছাঃ) এবং ছাহাবায়ে কেরাম সর্বদা নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করতেন। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ একই ছালাত বিভিন্ন সময়ে আদায় করে থাকে। একই স্থানে একই ছালাতের আযান পৃথক পৃথক সময়ে হয়। কখনো এক ঘণ্টা আবার কখনো আধা ঘণ্টা আগে-পরে। কোন স্থানে একাধিক মসজিদ থাকলেও আযান ও জামা‘আত এক সঙ্গে হয় না; বরং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে মানুষও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) জামা‘আতে ছালাত আদায় করার যে গুরুত্বারোপ করেছেন, তা একেবারে ভঙ্গ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে যঈফ ও জাল হাদীছ এবং কুরআন-সুন্নাহর ভুল অর্থ ও অপব্যাখ্যা। উল্লেখ্য যে, অনেক মসজিদে ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বেই আযান দেয়া হয়। এটা অতিরিক্ত পরহেযগারিতা ও বাড়াবাড়ি। উক্ত অভ্যাস বর্জন করতে হবে। (১) ফজর ছালাতের ওয়াক্ত : ছুবহে ছাদিকের পর হতে ফজরের ছালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়।[1] সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। সমস্যাজনিত কারণে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা যায়।[2] আউয়াল

ইলিয়াসী তাবলীগ নিষিদ্ধের নেপথ্যে

ইলিয়াসী তাবলীগ নিষিদ্ধের নেপথ্যে:  *****************************************  আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়া ‘অহী’ তথা কুরআনে কারীম ও ছহীহ হাদীছের দাওয়াতকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়ার নামই ‘তাবলীগ’। এটা গুরুত্বপূর্ণ ফরয বিধানের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর নাযিল করা শরী‘আতের বাইরে তাবলীগ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৬৭; ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৬১)। কিন্তু বর্তমানে দাওয়াত ও তাবলীগের নামে যারা মাঠে কাজ করছে তাদের অধিকাংশই কুরআন-হাদীছকে তোয়াক্কা করে না। বরং নিজেদের তৈরি স্ব স্ব তরীকার আলোকে বিদ‘আতী তাবলীগ করে যাচ্ছে এবং শিরক, বিদ‘আত, কুসংস্কার ও জাল, যঈফ, মিথ্যা, বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী দ্বারা সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এর মধ্যে জনাব ইলিয়াস (১৩০৩-১৩৬৩ হি./১৮৮৫-১৯৪৪ খৃ.) ছাহেবের প্রতিষ্ঠিত তাবলীগ জামায়াত অন্যতম। ১৯২১ সালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ‘মেওয়াত’ এলাকায় ‘ফিরোযপুর নিমক’ গ্রামে তিনি এই জামায়াত প্রতিষ্ঠা করেন। এর অনুসরণীয় গ্রন্থ হল ‘তাবলীগী নেছাব’, যা ‘ফাযায়েলে আমল’। ইলিয়াস ছাহেবের জামাই, ভাতিজা এবং ছাত্র জনাব যাকারিয়া (১৩১৭-১৪০২ হি./১৮৯৮-১৯৮২ খৃ.) ছাহেব এর লেখক, যা ১৯৭৫ মোতাবেক ১৩

একটি লিফলেটের ইলমী জবাব | Al Itisam

আহমাদুল্লাহ * (পর্ব-৫) ৮. ফজর ও আসরের পর সুন্নাত না পড়া :  এ ব্যাপারে মুহতারাম লেখক একটি হাদীছ পেশ করেছেন। তা হলো- عن أبي سعيد الخدري   قال سمعت رسول الله  ﷺ   يقول لا صلاة بعد الصبح حتى ترتفع الشمس ولا صلاة بعد العصر حتى تغيب الشمس. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন ,  আমি নবীজি সা.-কে বলতে শুনেছি ,  ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন নামায পড়া যাবে না এবং আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন নামায পড়া যাবে না। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৫৮৬) তাহক্বীক্ব :  হাদীছটি অবশ্যই ছহীহ। সুতরাং এ ব্যাপারে কোনো কথা নেই। কিন্তু ফজরের পূর্বে যদি দু’রাকআত সুন্নাত ক্বাযা হয়ে যায় তাহলে তা ফজরের ফরযের পর সাথে সাথে আদায় করে নিতে হবে। [1]  উক্ত হাদীছে ক্বাযা সুন্নাতের ব্যাপারে নয়, বরং সাধারণ নফল ছালাতের ব্যাপারে বলা হয়েছে। অনুরূপভাবে যোহরের কোনো সুন্নাত কিংবা আছরের পূর্বের চার রাকআত যদি বাদ পড়ে যায়, তাহলে তা আছরের ফরয ছালাতের পর পরই আদায় করা যাবে। [2]  এছাড়াও তাহিয়াতুল মসজিদ, তাহিয়াতুল ওযূ, দুখূলুল মাসজিদ ইত্যাদি ছালাত আছরের পরও পড়া যায়। আর নবী (ছাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) যে আছরের পর প্রতিদিন দু’রাকআত আদায