Posts

Showing posts from January, 2022

>> ফজর ছালাতের ওয়াক্ত

গ্রন্থঃ জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত অধ্যায়ঃ ছালাতের সময়   (১) ফজর ছালাতের ওয়াক্ত  আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূল (ছাঃ) এবং ছাহাবায়ে কেরাম সর্বদা নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করতেন। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ একই ছালাত বিভিন্ন সময়ে আদায় করে থাকে। একই স্থানে একই ছালাতের আযান পৃথক পৃথক সময়ে হয়। কখনো এক ঘণ্টা আবার কখনো আধা ঘণ্টা আগে-পরে। কোন স্থানে একাধিক মসজিদ থাকলেও আযান ও জামা‘আত এক সঙ্গে হয় না; বরং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে মানুষও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) জামা‘আতে ছালাত আদায় করার যে গুরুত্বারোপ করেছেন, তা একেবারে ভঙ্গ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে যঈফ ও জাল হাদীছ এবং কুরআন-সুন্নাহর ভুল অর্থ ও অপব্যাখ্যা। উল্লেখ্য যে, অনেক মসজিদে ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বেই আযান দেয়া হয়। এটা অতিরিক্ত পরহেযগারিতা ও বাড়াবাড়ি। উক্ত অভ্যাস বর্জন করতে হবে। (১) ফজর ছালাতের ওয়াক্ত : ছুবহে ছাদিকের পর হতে ফজরের ছালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়।[1] সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। সমস্যাজনিত কারণে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা যায়।[2] আউয়াল

ইলিয়াসী তাবলীগ নিষিদ্ধের নেপথ্যে

ইলিয়াসী তাবলীগ নিষিদ্ধের নেপথ্যে:  *****************************************  আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়া ‘অহী’ তথা কুরআনে কারীম ও ছহীহ হাদীছের দাওয়াতকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়ার নামই ‘তাবলীগ’। এটা গুরুত্বপূর্ণ ফরয বিধানের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর নাযিল করা শরী‘আতের বাইরে তাবলীগ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৬৭; ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৬১)। কিন্তু বর্তমানে দাওয়াত ও তাবলীগের নামে যারা মাঠে কাজ করছে তাদের অধিকাংশই কুরআন-হাদীছকে তোয়াক্কা করে না। বরং নিজেদের তৈরি স্ব স্ব তরীকার আলোকে বিদ‘আতী তাবলীগ করে যাচ্ছে এবং শিরক, বিদ‘আত, কুসংস্কার ও জাল, যঈফ, মিথ্যা, বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী দ্বারা সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এর মধ্যে জনাব ইলিয়াস (১৩০৩-১৩৬৩ হি./১৮৮৫-১৯৪৪ খৃ.) ছাহেবের প্রতিষ্ঠিত তাবলীগ জামায়াত অন্যতম। ১৯২১ সালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ‘মেওয়াত’ এলাকায় ‘ফিরোযপুর নিমক’ গ্রামে তিনি এই জামায়াত প্রতিষ্ঠা করেন। এর অনুসরণীয় গ্রন্থ হল ‘তাবলীগী নেছাব’, যা ‘ফাযায়েলে আমল’। ইলিয়াস ছাহেবের জামাই, ভাতিজা এবং ছাত্র জনাব যাকারিয়া (১৩১৭-১৪০২ হি./১৮৯৮-১৯৮২ খৃ.) ছাহেব এর লেখক, যা ১৯৭৫ মোতাবেক ১৩

একটি লিফলেটের ইলমী জবাব | Al Itisam

আহমাদুল্লাহ * (পর্ব-৫) ৮. ফজর ও আসরের পর সুন্নাত না পড়া :  এ ব্যাপারে মুহতারাম লেখক একটি হাদীছ পেশ করেছেন। তা হলো- عن أبي سعيد الخدري   قال سمعت رسول الله  ﷺ   يقول لا صلاة بعد الصبح حتى ترتفع الشمس ولا صلاة بعد العصر حتى تغيب الشمس. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন ,  আমি নবীজি সা.-কে বলতে শুনেছি ,  ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন নামায পড়া যাবে না এবং আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন নামায পড়া যাবে না। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৫৮৬) তাহক্বীক্ব :  হাদীছটি অবশ্যই ছহীহ। সুতরাং এ ব্যাপারে কোনো কথা নেই। কিন্তু ফজরের পূর্বে যদি দু’রাকআত সুন্নাত ক্বাযা হয়ে যায় তাহলে তা ফজরের ফরযের পর সাথে সাথে আদায় করে নিতে হবে। [1]  উক্ত হাদীছে ক্বাযা সুন্নাতের ব্যাপারে নয়, বরং সাধারণ নফল ছালাতের ব্যাপারে বলা হয়েছে। অনুরূপভাবে যোহরের কোনো সুন্নাত কিংবা আছরের পূর্বের চার রাকআত যদি বাদ পড়ে যায়, তাহলে তা আছরের ফরয ছালাতের পর পরই আদায় করা যাবে। [2]  এছাড়াও তাহিয়াতুল মসজিদ, তাহিয়াতুল ওযূ, দুখূলুল মাসজিদ ইত্যাদি ছালাত আছরের পরও পড়া যায়। আর নবী (ছাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) যে আছরের পর প্রতিদিন দু’রাকআত আদায