পরিচ্ছেদ__ জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামত :

 


রাসুলল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জান্নাতীরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে, তখন মহান বৰ্কতময় আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি চাও যে, আমি তোমাদের জন্য আরো কিছু বেশি দিই? তারা বলবে, 'তুমি কি আমাদের মুখমন্ডল উজ্জ্বল করে দাওনি? আমাদেরকে তুমি জান্নাতে প্রবিষ্ট করনি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাওনি?’ অতঃপর আল্লাহ (হঠাৎ গর্বের) পর্দা সরিয়ে দেবেন এবং তারা তার চেহারা দর্শন লাভ করবে)। সুতরাং জান্নাতের লব্ধ যাবতীয় সুখ-সামগ্রীর মধ্যে জান্নাতীদের নিকট তাদের প্রভুর দর্শন (দীদার)ই হবে সবচেয়ে বেশী প্রিয়। (মুসলিম)। মহান আল্লাহ বলেছেন,


لِّلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَىٰ وَزِيَادَةٌ ۖ وَلَا يَرْهَقُ وُجُوهَهُمْ قَتَرٌ وَلَا ذِلَّةٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ


অর্থাৎ, যারা কল্যাণকর কাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ (জান্নাত) এবং আরো অধিক (আল্লাহর দীদার)। তাদের মুখমন্ডলকে মলিনতা আচ্ছন্ন করবে না এবং লাঞ্ছনাও না; তারাই হচ্ছে জান্নাতের অধিবাসী, তারা ওর মধ্যে অনন্তকাল বাস করবে। (ইউনুসঃ ২৬)


وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ (22) إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ (23)


অর্থাৎ, সেদিন বহু মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (কিয়ামাহঃ ২২-২৩)


জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে ছিলাম। হঠাৎ তিনি পূর্ণিমার রাতের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “শোন! নিশ্চয় তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে তেমনি স্পষ্ট দেখতে পাবে, যেমন স্পষ্ট ঐ চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ। তাঁকে দেখতে তোমরা কোন ভিড়ের সম্মুখীন হবে না।” (বুখারী-মুসলিম)


এ দীদার হবে জান্নাতে। জাহান্নামীরা সেই দীদার কোথায় পাবে? তারা তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি বলেই তো তার চেহারা দর্শনেও বঞ্চিত হবে। তিনি বলেছেন,


كَلَّا إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ


অর্থাৎ, কক্ষনো না, অবশ্যই তারা সেদিন তাদের প্রতিপালক (দর্শন) থেকে পর্দাবৃত থাকবে। (মুত্বাফফিফীনঃ ১৫)


www.atowar-rahman-salafi.blogspot.com

Comments

|| Popular Posts ||

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত বনাম প্রচলিত ছালাত **-আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ (পর্ব-২৫)

Fatwa বিবাহ ও তালাক

Bilqis(Queen of Sheba): Tafseer of Ibn katheer : Qur'anic Story

Moving the finger during Tashahhud _ Important Masala-Masael,