গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস _ series page 23
গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস |
পরিচ্ছেদঃ
৪৪১। সচ্চরিত্র গুনাহগুলোকে গলিয়ে ফেলে যেমননিভাবে পানি বরফকে গলিয়ে ফেলে এবং খারাপ চরিত্র আমলকে নষ্ট করে দেয় যেমনভাবে সেরকা মধুকে নষ্ট করে দেয়।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
এটির দুটি সূত্র রয়েছেঃ
১। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে হাদীসটি তাবারানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/৯৮/১) এবং “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (১/৪৮/১/৮৩৮) এবং আবু মুহাম্মাদ কারী তার “আল-হাদীস” গ্রন্থে (২/২০৩/১) ঈসা ইবনু মায়মূন হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদটি নিতান্তই দুর্বল। এ ঈসা হচ্ছেন মাদানী, ওয়াসেতী নামে প্রসিদ্ধ। তার সম্পর্কে ইবনু আবী হাতিম (৩/১/২৮৭) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস যার হাদীস অগ্রহণযোগ্য। হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৮/২৪) তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
২। আনাস (রাঃ) হতে; এ হাদীসটি তাম্মাম “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/৫৩) বর্ণনা করেছেন। এটির সনদে রাওহ ইবনু আবদিল ওয়াহেদ ও তার শাইখ খালীদ ইবনু দালাজ রয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি নিতান্তই দুর্বল। খালীদ ইবনু দালাজ সম্পর্কে নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
দারাকুতনী তাকে মাতরূকদের [অগ্রহণযোগ্যদের] অন্তর্ভুক্ত করেছেন। রাওহ ইবনু আবদিল ওয়াহেদ সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। তিনি বিতর্কিত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
الخلق الحسن يذيب الخطايا كما يذيب الماء الجليد، والخلق السوء يفسد العمل كما يفسد الخل العسل
ضعيف جدا
-
وله طريقان
الأول عن ابن عباس، رواه الطبراني في " الكبير " (3 / 98 / 1) وأبو محمد القاري في " حديثه " (2 / 203 / 1) عن عيسى بن ميمون قال: سمعت محمد بن كعب القرظي يحدث عن ابن عباس مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، عيسى هذا، هو المدني، ويعرف بالواسطي، وهو الذي في سند الحديث المتقدم، روى ابن أبي حاتم (3 / 1 / 287) عن أبيه أنه قال: هو متروك الحديث
والحديث في " المجمع " (8 / 24) وقال
رواه الطبراني في " الكبير " و" الأوسط " وفيه عيسى بن ميمون المدني، وهو ضعيف
الآخر: عن أنس، أخرجه تمام في " الفوائد " (53 / 1) عن مخيمر بن سعيد المنبجي، حدثنا روح بن عبد الواحد، حدثنا خليد بن دعلج، عن الحسن، عن أنس مرفوعا
قلت: وهذا سند ضعيف جدا أيضا، خليد بن دعلج، قال النسائي: ليس بثقة، وعده الدارقطني في جماعة من المتروكين
وروح بن عبد الواحد، قال أبو حاتم
ليس بالمتين، روى أحاديث متناقضة، وقال ابن عدي في ترجمة خليد (120 / 2) عقب حديث أورده من رواية روح عن خليد: لعل البلاء فيه من الراوي عنه
৪৪২। সচ্চরিত্র গুনাহকে গলিয়ে ফেলে যেরূপ সূর্য বরফকে গলিয়ে [মোচন করে] ফেলে।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
হাদীসটি খারায়েতী “মাকারেমুল আখলাক” গ্রন্থে (পৃ. ৭) বাকিয়া ইবনুল ওয়ালীদ সূত্রে আবু সাঈদ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদটি নিতান্তই দুর্বল। এ আবু সাঈদ বাকিয়ার মাজহুল শাইখদের একজন, যাদের থেকে তিনি তাদলীস করতেন। তার সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ বাকিয়া যখন তার শায়খের নাম নিবে না এবং তার কুনিয়াত বলবে না, তখন জানতে হবে যে, তিনি কোন কিছুর সমকক্ষ নন।
إن حسن الخلق ليذيب الخطيئة كما تذيب الشمس الجليد
ضعيف جدا
-
رواه الخرائطي في " مكارم الأخلاق " (ص 7) من طريق بقية بن الوليد، حدثني أبو سعيد، حدثني عبد الرحمن بن سليمان، عن أنس بن مالك مرفوعا
قلت: وهذا سند ضعيف جدا، أبو سعيد هذا من شيوخ بقية المجهولين الذين يدلسهم، قال ابن معين
إذا لم يسم بقية شيخه وكناه فاعلم أنه لا يساوي شيئا
والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية الخرائطي هذه، وبيض له المناوي فلم يتكلم عليه بشىء! وأما في التيسير فقال:. . . بإسناد فيه مقال
পরিচ্ছেদঃ
৪৪৩। সাবধান! মাছির সাদৃশ ছাড়া দুনিয়ার কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না যা দুনিয়ার ফাঁকা স্থানে ধূলোবালুর ন্যায় উড়তে থাকবে। আল্লাহ! আল্লাহ! তোমাদের ভাই কবরবাসীদের মধ্য হতে। কারণ তোমাদের কর্মগুলো পেশ করা হবে তাদের উপর।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি হাকিম (৪/৩০৭) আবু ইসমাঈল সাকূনী সূত্রে মালেক ইবনু আদা হতে বর্ণনা করেছেন ...। অতঃপর বলেছেনঃ সনদটি সহীহ। যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ সনদটিতে দু'জন মাজহুল বর্ণনাকারী রয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তারা দু’জন হচ্ছেন সাকূনী এবং ইবনু আদ্দা যেরূপভাবে তিনি “আল-মীযান” গ্রন্থে স্পষ্ট করেই বলেছেন। কিন্তু বলেছেনঃ নির্ভরযোগ্য বলা হয়েছে। তিনি এর দ্বারা ইঙ্গিত করেছেন যে, ইবনু হিব্বান কর্তৃক তারা দু’জনকে নির্ভরযোগ্য বলাকে (৫/৩৮৮, ৭/৬৫৬) গ্রহণ করা যায় না। কারণ তিনি মাজহুল বর্ণনাকারীদেরকে নির্ভরযোগ্য বলার ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শনকারী হিসাবে প্রসিদ্ধ।
ألا إنه لم يبق من الدنيا إلا مثل الذباب تمور فى جوها، فالله الله فى إخوانكم من أهل القبور، فإن أعمالكم تعرض عليهم
ضعيف
-
أخرجه الحاكم (4 / 307) من طريق أبي إسماعيل السكوني، قال: سمعت مالك بن أدى يقول: سمعت النعمان بن بشير يقول مرفوعا، وقال
صحيح الإسناد
ورده الذهبي بقوله
قلت: فيه مجهولان
قلت: وهما السكوني وابن أدى كما صرح في " الميزان " أنهما مجهولان تبعا لأصله " الجرح والتعديل " (4 / 1 / 303 و4 / 2 / 336) ولكنه قال: وثق يشير بذلك إلى عدم الاعتداد بتوثيق ابن حبان إياهما (5 / 388 و7 / 656) لما عرف من تساهله في توثيق المجهولين
৪৪৪। সর্ব প্রথম ইবলিস ক্রন্দন করে এবং সর্ব প্রথম সেই গান করে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
এটি গাযালী (২/২৫১) জাবের (রাঃ)-এর হাদীস হতে মারফু হিসাবে উল্লেখ করেছেন। হাফিয ইরাকী “তাখরাজুল ইহইয়া” গ্রন্থে বলেনঃ জাবের (রাঃ)-এর হাদীস হতে আমি এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না। হাদীসটি “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থের লেখক আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)-এর হাদীস হতে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার পুত্র সেটিকে তার “মুসনাদ” গ্রন্থে উল্লেখ করেননি।
كان إبليس أول من ناح وأول من تغنى
لا أصل له
-
وقد أورده الغزالي (2 / 251) من حديث جابر مرفوعا، فقال الحافظ العراقي في تخريجه
لم أجد له أصلا من حديث جابر، وذكره صاحب " الفردوس " من حديث علي بن أبي طالب، ولم يخرجه ولده في مسنده
পরিচ্ছেদঃ
৪৪৫। যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকটে যা আছে তা চাইবে, আসমান তার জন্য ছায়া স্বরূপ হবে এবং যমীন হবে বিছানা স্বরূপ। সে দুনিয়ার ব্যাপারে কিছু গুরুত্ব দিবে না, সে চাষ করবে না অথচ সে রুটি খাবে এবং সে গাছ লাগাবে না অথচ সে ফল খাবে, আল্লাহর উপর ভরসা করে তার সম্ভষ্টি লাভের জন্য। আল্লাহ সাত আসমান এবং সাত যমীনে তার রিকের জন্য যামিন হয়ে যাবেন। তারা (লোকেরা) তাতে কষ্ট করবে এবং হালাল অর্জন করবে। অথচ সে তার রিযক আল্লাহর নিকট হতে বিনা হিসাবে পূর্ণ করবে মৃত্যু আসা পর্যন্ত।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু হিব্বান “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (১/১১২) এর চেয়ে দীর্ঘ হাদীসে এবং হাকিম (৪/৩১০) ইব্রাহীম ইবনু আমর সাকসাকী সূত্রে তার পিতা হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর (হাকিম) বলেছেনঃ সনদটি সহীহ।
যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ বরং মুনকার এবং জাল (বানোয়াট)। কারণ আমর ইবনু বাকর (পিতা) ইবনু হিব্বানের নিকট মিথ্যার দোষে দোষী। তার ছেলে ইবরাহীম সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যাহাবী ইবরাহীমের জীবনীতে “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেছেনঃ
ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি তার পিতা হতে বানোয়াট বহু কিছু বর্ণনা করেছেন। তার পিতা কিছুই না। অতঃপর তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বানের পূরো বক্তব্য হচ্ছে, ইবরাহীম ইবনু আমর এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তার হাতই হাদীসটি তৈরি করেছে। কারণ এটি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা নয়, ইবনু উমার (রাঃ)-এর কথা নয়, নাফে'রও কথা নয়। বরং এটি হাসানের কথা।
من طلب ما عند الله كانت السماء ظلاله، والأرض فراشه، لم يهتم بشيء من أمر الدنيا، فهو لا يزرع ويأكل الخبز، وهو لا يغرس الشجر ويأكل الثمار، توكلا على الله تعالى، وطلبا لمرضاته، فضمن الله السموات السبع والأرضين السبع رزقه، فهم يتعبون فيه، ويأتون به حلالا، ويستوفي هو رزقه بغير حساب عند الله تعالى حتى أتاه اليقين
موضوع
-
أخرجه ابن حبان في " الضعفاء " (1 / 112) أطول منه والحاكم (4 / 310) والسياق له من طريق إبراهيم بن عمرو السكسكي حدثنا أبي، حدثنا عبد العزيز بن أبي رواد، عن نافع، عن ابن عمر مرفوعا. وقال الحاكم: صحيح الإسناد، ورده الذهبي بقوله
قلت: بل منكر وموضوع، إذ عمرو بن بكر متهم عند ابن حبان، وإبراهيم ابنه، قال الدارقطني: متروك
قلت: وفي ترجمة إبراهيم من الميزان
قال ابن حبان: يروي عن أبيه الأشياء الموضوعة، وأبوه أيضا لا شيء، ثم ساق له هذا الحديث
قلت: وتمام كلام بن حبان تفرد به إبراهيم بن عمرو وهو مما عملت يداه لأن هذا ليس من كلام رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا ابن عمر ولا نافع وإنما هو شيء من كلام الحسن
পরিচ্ছেদঃ
৪৪৬। আমি তোমাদেরকে কি সংবাদ দিব না সর্বোত্তম ফেরেশতা সম্পর্কে তিনি হচ্ছেন জিবরীল (আঃ)। সর্বোত্তম নবী সম্পর্কে তিনি হচ্ছেন আদম (আঃ)। সর্বোত্তম দিবস সম্পর্কে সেটি হচ্ছে জুম'আর দিবস। সর্বোত্তম মাস সম্পর্কে সেটি হচ্ছে রমযান মাস। সর্বোত্তম রাত সম্পর্কে সেটি হচ্ছে লায়লাতুল কাদরের রাত এবং সর্বোত্তম নারী সম্পর্কে তিনি হচ্ছেন মারইয়াম বিনতু ইমরান।
হাদীসটি জাল।
এটি তাবারানী (১১৩৬১) নাফে আবু হুরমুয সূত্রে আতা হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি বানোয়াট। নাফে আবু হুরমুযকে ইবনু মা'ঈন মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। নাসাঈ বলেছেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হচ্ছেন আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সহীহ হাদীসের দলীল দ্বারা তা প্রমাণিত। তিনি বলেনঃ “আমি কিয়ামত দিবসে লোকদের সর্দার...।” হাদীসটি ইমাম মুসলিম (১/১২৭) বর্ণনা করেছেন। এটি প্রমাণ করছে যে, আলোচ্য হাদীসটি বানোয়াট। তা সত্ত্বেও "জামেউস সাগীর" গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদীসটি হায়সামী “আল-মাজমা" গ্রন্থে (৮/১৯৮) উল্লেখ করেছেন এবং সেটিকে নাফে'র কারণে দুর্বল বলেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তিনি মাতরূক।
ألا أخبركم بأفضل الملائكة جبريل عليه السلام، وأفضل النبيين آدم، وأفضل الأيام يوم الجمعة، وأفضل الشهو ر شهر رمضان، وأفضل الليالي ليلة القدر، وأفضل النساء مريم بنت عمران
موضوع
-
رواه الطبراني (11361) من طريق نافع أبي هرمز، عن عطاء بن أبي رباح، عن ابن عباس مرفوعا
قلت: وهذا موضوع، نافع أبوهرمز، كذبه ابن معين، وقال النسائي
ليس بثقة، وأفضل النبيين إنما هو نبينا محمد صلى الله عليه وسلم بدليل الحديث الصحيح: ( أنا سيد الناس يوم القيامة ...)
أخرجه مسلم (1 / 127) ، فهذا يدل على وضع هذا الحديث ومع ذلك أورده في " الجامع " والحديثي أورده الهيثمي في " المجمع " (8 / 198) وضعفه بنافع وقال: متروك ثم ذكره في (3 / 140) و (2 / 165) وقال عنه في الموضعين
ضعيف
৪৪৭। শেষ যামানায় জাহেল আবেদ এবং ফাসেক কারীদের সমারোহ ঘটবে।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু হিব্বান "আল-মাজরুহীন" গ্রন্থে (৩/১৩৫), হাকিম (৪/৩১৫), আবু নুয়াইম (২/৩৩১-৩৩২) এবং তার থেকে দাইলামী (৪/৩১৯) এবং আবু বাকর আজুরী "আখলাকুল ওলামা" গ্রন্থে (পৃ. ৬২) ইউসুফ ইবনু আতিয়া সূত্রে সাবেত হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আবু নুয়াইম বলেনঃ এটি গারীব। এটিকে আমরা একমাত্র ইউসুফ ইবনু আতিয়া হতে লিখেছি। তার হাদীসের মধ্যে মুনকার রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বান তাকে জাল করার দোষে দোষী করেছেন। হাকিম চুপ থেকেছেন। যার জন্য যাহাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ইউসুফ হালেক (ধ্বংসপ্রাপ্ত)। বুখারী বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। তা সত্ত্বেও সুয়ূতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
يكون فى آخر الزمان عباد جهال، وقراء فسقة
موضوع
-
أخرجه ابن حبان في " المجروحين " (3 / 135) والحاكم (4 / 315) وأبو نعيم (2 / 331 - 332) وعنه الديلمي (4 / 319) وأبو بكر الآجري في " أخلاق العلماء " (ص 62) من طريق يوسف بن عطية، عن ثابت، عن أنس مرفوعا، وقال أبو نعيم
غريب لم نكتبه إلا من حديث يوسف بن عطية، وفي حديثه نكارة
قلت: اتهمه ابن حبان بالوضع، وقد سكت عنه الحاكم، وتعقبه الذهبي بقوله
قلت: يوسف هالك، وقال البخاري مشيرا إلى شدة ضعفه واتهامه
منكر الحديث ومع ذلك ذكره السيوطي في الجامع
পরিচ্ছেদঃ
৪৪৮। এ উম্মাত (অথবা বলেনঃ আমার উম্মাত) সর্বদা কল্যাণের মধ্যেই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের মসজিদগুলোতে নাসারাদের মেহরাবের ন্যায় মেহরাব তৈরি না করবে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি ইবনু আবী শায়বা “আল-মুসান্নাফ” গ্রন্থে (১/১০৭/১) বর্ণনা করেছেন। যার সনদে বর্ণনাকারী আবু ইসরাঈল ও তার শাইখ মূসা আল-জুহানী রয়েছেন। তিনি বলেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদটি দুটি কারণে দুর্বলঃ
১। এটি মু'জাল। কারণ মূসা জুহানী হচ্ছেন ইবনু আবদিল্লাহ। তিনি সাহাবী হতে তাবেঈর মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন। অতএব তিনি তাবে তাবেঈ । সুয়ূতী যে বলেছেনঃ হাদীসটি মুরসাল, তার এ কথা সুচিন্তিত নয়। কারণ মুরসাল হচ্ছে তাবেঈর কথা। তিনি বলছেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ... অথচ এটি সেরূপ নয়।
২। আবু ইসরাঈল দুর্বল। তার নাম হচ্ছে ইসমাঈল ইবনু খালীফা আল-আবাসী। হাফিয “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হেফযে ক্রটি ছিল।
لا تزال هذه الأمة، أو قال: أمتي بخير ما لم يتخذوا فى مساجدهم مذابح كمذابح النصارى
ضعيف
-
أخرجه ابن أبي شيبة في " المصنف " (1 / 107 / 1) : حدثنا وكيع قال حدثنا أبو إسرائيل عن موسى الجهني، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ... فذكره
قلت: وهذا سند ضعيف، وله علتان
الأولى: الإعضال، فإن موسى الجهني وهو ابن عبد الله إنما يروي عن الصحابة بواسطة التابعين، أمثال عبد الرحمن بن أبي ليلى، والشعبي، ومجاهد، ونافع، وغيرهم، فهو من أتباع التابعين، وفيهم أورده ابن حبان في " ثقاته " (7 / 449) ، وعليه فقول السيوطي في " إعلام الأريب بحدوث بدعة المحاريب " (ص 30) إنه مرسل، ليس دقيقا، لأن المرسل في عرف المحدثين إنما هو قول التابعي
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم، وهذا ليس كذلك
الآخرى: ضعف أبي إسرائيل هذا، واسمه إسماعيل بن خليفة العبسي، قال الحافظ في " التقريب ": صدوق سيء الحفظ
وهذا على ما وقع في نسختنا المخطوطة من " المصنف "، ووقع فيما نقله السيوطي عنه في " الأعلام ": إسرائيل يعني إسرائيل بن يونس بن أبي إسحاق السبيعي، وهو ثقة، وهو من طبقة أبي إسرائيل، وكلاهما من شيوخ وكيع، ولم أستطع البت بالأصح من النسختين، وإن كان يغلب علي الظن الأول، فإن نسختنا جيدة مقابلة بالأصل نسخت سنة (735) ، وبناء على ما وقع للسيوطي قال
هذا مرسل صحيح الإسناد، وقد عرفت أن الصواب أنه معضل، وهذا إن سلم من أبي إسرائيل، وما أظنه بسالم، فقد ترجح عندي أن الحديث من روايته، بعد أن رجعت إلى نسخة أخرى من " المصنف " (1 / 188 / 1) فوجدتها مطابقة للنسخة الأولى، وعليه فالسند ضعيف مع إعضاله ثم رأيته كذلك في المطبوعة (2 / 59)
فائدة: المذابح: هي المحاريب كما في " لسان العرب " وغيره، وكما جاء مفسرا في حديث ابن عمر مرفوعا بلفظ: اتقوا هذه المذابح يعني المحاريب
رواه البيهقي (2 / 439) وغيره بسند حسن، وقال السيوطي في " رسالته " (ص 21) حديث ثابت واستدل به على النهي عن اتخاذ المحاريب في المساجد، وفيه نظر بينته في " الثمر المستطاب في فقه السنة والكتاب "، خلاصته أن المراد به صدور المجالس، كما جزم به المناوي في " الفيض "، نعم جزم السيوطي في الرسالة السابقة، أن المحراب في المسجد بدعة. وتبعه الشيخ علي القاري في " مرقاة المفاتيح " (1 / 473) وغيره، فهذا أعني كونه بدعة يغني عن هذا الحديث المعضل، وإن كان صريحا في النهي عنه، فإننا لا نجيز لأنفسنا الاحتجاج بما لم يثبت عنه صلى الله عليه وآله وسلم، وقد روى البزار (1 / 210 / 416 - كشف الأستار) عن ابن مسعود أنه كره الصلاة في المحراب وقال: إنما كانت للكنائس، فلا تشبهو ابأهل الكتاب يعني أنه كره الصلاة في الطاق
قال الهيثمي (2 / 51) : ورجاله موثقون.
قلت: وفيما قاله نظر فقد أشار البزار إلى أنه تفرد به أبو حمزة عن إبراهيم واسم أبي حمزة ميمون القصاب وهو ضعيف اتفاقا ولم يوثقه أحد فإعلاله به أولى من إعلاله بشيخ البزار محمد بن مرداس بدعوى أنه مجهول، فقد روى عنه جمع من الحفاظ منهم البخاري في " جزء القراءة " وقال ابن حبان في ثقاته (9 / 107) : مستقيم الحديث لكن يقويه ما رواه ابن أبي شيبة بسند صحيح عن إبراهيم قال: قال عبد الله
اتقوا هذه المحاريب. وكان إبراهيم لا يقوم فيها
قلت: فهذا صحيح عن ابن مسعود، فإن إبراهيم وهو ابن يزيد النخعي وإن كان لم يسمع من ابن مسعود، فهو عنه مرسل في الظاهر، إلا أنه قد صحح جماعة من الأئمة مراسيله، وخص البيهقي ذلك بما أرسله عن ابن مسعود
قلت: وهذا التخصيص هو الصواب لما روى الأعمش قال: قلت: لإبراهيم: أسند لي عن ابن مسعود، فقال إبراهيم
إذا حدثتكم عن رجل عن عبد الله، فهو الذي سمعت، وإذا قلت: قال عبد الله، فهو عن غير واحد عن عبد الله
علقه الحافظ هكذا في " التهذيب "، ووصله الطحاوي (1 / 133) ، وابن سعد في " الطبقات " (6 / 272) ، وأبو زرعة في " تاريخ دمشق " (121 / 2) بسند صحيح عنه
قلت: وهذا الأثر قد قال فيه إبراهيم: " قال عبد الله "، فقد تلقاه عنه من طريق جماعة، وهم من أصحاب ابن مسعود، فالنفس تطمئن لحديثهم لأنهم جماعة، وإن كانوا غير معروفين لغلبة الصدق على التابعين، وخاصة أصحاب ابن مسعود رضي الله عنه، ثم روى ابن أبي شيبة عن سالم بن أبي الجعد قال
" لا تتخذوا المذابح في المساجد "
وإسناده صحيح
ثم روى بسند صحيح عن موسى بن عبيدة قال: رأيت مسجد أبي ذر، فلم أر فيه طاقا، وروى آثارا كثيرة عن السلف في كراهة المحراب في المسجد، وفي ما نقلناه عنه كفاية
وأما جزم الشيخ الكوثري في كلمته التي صدر بها رسالة السيوطي السالفة (ص 17) : أن المحراب كان موجودا في مسجد النبي صلى الله عليه وسلم، فهو مع مخالفته لهذه الآثار التي يقطع من وقف عليها ببدعية المحراب، فلا جرم جزم بذلك جماعة من النقاد، كما سبق، فإنما عمدته في ذلك حديث لا يصح، ولا بد من الكلام عليه دفعا لتلبيسات الكوثري، وهو من حديث وائل بن حجر، وهو قوله (الأتي)
পরিচ্ছেদঃ
৪৪৯। মসজিদের নিকটে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দাঁড়ালেন তখন আমি তার নিকট উপস্থিত হলাম। অতঃপর তিনি মেহরাবে (অর্থাৎ মেহরাবের স্থলে) প্রবেশ করলেন। তারপর তিনি তাকবীর সহ তার দু'হাত উত্তোলন করলেন। অতঃপর তার ডান হাতকে বাম হাতের উপরে দিয়ে বুকের উপর রাখলেন।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি বাইহাকী (২/৩০) মুহাম্মাদ ইবনু হাজার হাযরামী হতে এবং তিনি সাঈদ ইবনু আব্দিল জাব্বার ইবনে ওয়ায়েল হতে ... বর্ণনা করেছেন। এ সূত্রেই বাযযার হাদীসটি তার “আয-যাওয়াইদ” গ্রন্থে (২৬৮) এবং তাবারানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (২২/৪৯/১১৮) উল্লেখ করেছেন। হায়সামী “আল-মাজমা” গ্রন্থে (১/২৩২, ২/১৩৪-১৩৫) বলেনঃ তার সনদে সাঈদ ইবনু আব্দিল জাব্বার রয়েছেন। তার সম্পর্কে নাসাঈ বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। ইবনু হিব্বান তাকে “আস-সিকাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া মুহাম্মাদ ইবনু হাজার দুর্বল বর্ণনাকারী। তিনি অন্য স্থানে বলেনঃ তাতে মুহাম্মাদ ইবনু হাজার রয়েছেন। তার সম্পর্কে বুখারী বলেনঃ তার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। যাহাবী বলেনঃ তার কতিপয় মুনকার রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনুত তুরকুমানী “জাওহারুন নাকী” গ্রন্থে একই সমস্যার কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ বর্ণনাকারীনী উম্মু আব্দিল জাব্বার হচ্ছেন উম্মু ইয়াহইয়া। আমি তার অবস্থা সম্পর্কে জানি না এবং তার নাম সম্পর্কেও জানি না। আলেমদের ভাষ্য হতে স্পষ্ট হয়েছে যে, এ হাদীসটির সনদে তিনটি সমস্যা রয়েছেঃ ১। মুহাম্মাদ ইবনু হাজার। ২। সাঈদ ইবনু আব্দিল জাব্বার। ৩। উম্মু আব্দিল জাব্বার।
حضرت رسول الله صلى الله عليه وسلم حين نهض إلى المسجد، فدخل المحراب [يعني موضع المحراب] ، ثم رفع يديه بالتكبير، ثم وضع يمينه على يسراه على صدره
ضعيف
-
أخرجه البيهقي (2 / 30) عن محمد بن حجر الحضرمي حدثنا سعيد بن عبد الجبار ابن وائل عن أبيه عن أمه عن وائل
ومن هذا الوجه رواه البزار والزيادة له والطبراني في " الكبير " كما في " المجمع " (1 / 232، 2 / 134 - 135) وقال
وفيه سعيد بن عبد الجبار، قال النسائي: ليس بالقوي، وذكره ابن حبان في " الثقات "، ومحمد بن حجر ضعيف وقال في الموضع الآخر
وفيه محمد بن حجر، قال البخاري: فيه بعض النظر، وقال الذهبي: له مناكير
قلت: وبه أعله ابن التركماني في " الجوهر النقي " وزاد
وأم عبد الجبار، هي: أم يحيى، لم أعرف حالها، ولا اسمها، فتبين من كلامهؤلاء العلماء أن هذا الإسناد فيه ثلاث علل
1 - محمد بن حجر
2 - سعيد بن عبد الجبار
3 - أم عبد الجبار
فمن تلبيسات الكوثري: أنه سكت عن العلتين الأوليين، موهما للقاريء أنه ليس فيه ما يخدش إلا العلة الثالثة، ومع ذلك فإنه أخذ يحاول دفعها بقوله
وليس عدم ذكر أم عبد الجبار بضائره، لأنها لا تشذ عن جمهرة الراويات اللاتي قال عنهن الذهبي: وما علمت في النساء من اتهمت ولا من تركوها
قلت: وليس معنى كلام الذهبي هذا، إلا أن حديث هؤلاء النسوة ضعيف، ولكنه ضعف غير شديد، فمحاولة الكوثري فاشلة، لا سيما بعد أن كشفنا عن العلتين الأوليين
ولذلك المقدم الآخر لرسالة السيوطي، والمعلق عليها وهو الشيخ عبد الله محمد الصديق الغماري كان منصفا في نقده لهذا الحديث وإن كان متفقا مع الكوثري في استحسان المحاريب، فقد أفصح عن ضعف الحديث فقال (ص 20) وكأنه يرد على الكوثري، وقد اطلع قطعا على كلامه
والحق أن الحديث ضعيف بسبب جهالة أم عبد الجبار، ولأن محمد بن حجر بن عبد الجبار له مناكير كما قال الذهبي، وعلى فرض ثبوته يجب تأويله بحمل المحراب فيه على المصلي بفتح اللام للقطع بأنه لم يكن للمسجد النبوي محراب إذ ذاك كما جزم به المؤلف يعني السيوطي والحافظ والسيد السمهودي
قلت: وما ذهب إليه من التأويل هو المراد من الحديث قطعا لوثبت بدليل زيادة البزار يعني موضع المحراب، فإنه نص على أن المحراب لم يكن في عهده صلى الله عليه وسلم ولذلك تأوله الراوي بموضع المحراب، ومن ذلك يتبين للقاريء المنصف سقوط تشبث الكوثري بالحديث سندا ومعنى، فلا يفيده الشاهد الذي ذكره من رواية عبد المهيمن بن عباس عند الطبراني من حديث سهل بن سعد رضي الله عنه وفيه.... " فلما بنى له محراب تقدم إليه
ذلك لأن هذا اللفظ " بنى له محراب " منكر تفرد به عبد المهيمن هذا، وقد ضعفه غير واحد، كما زعم الكوثري، وحاله في الحقيقة شر من ذلك، فقد قال فيه البخاري: منكر الحديث، وقال النسائي: ليس بثقة
فهو شديد الضعف، لا يستشهد به كما تقرر في مصطلح الحديث، هذا لوكان لفظ حديثه موافقا للفظ حديث وائل، فكيف وهما مختلفان كما بينا؟
وأما استحسان الكوثرى وغيره المحاريب، بحجة أن فيها مصلحة محققة، وهي الدلالة على القبلة، فهي حجة واهية من وجوه
أولا: أن أكثر المساجد فيها المنابر، فهي تقوم بهذه المصلحه قطعا، فلا حاجة حينئذ للمحاريب، وينبغي أن يكون ذلك متفقا بين المختلفين في هذه المسألة لو أنصفوا، ولم يحاولوا ابتكار الأعذار إبقاء لما عليه الجماهير وإرضاء لهم
ثانيا: أن ما شرع للحاجة والمصلحة، ينبغي أن يوقف عندما تقتضيه المصلحة، ولا يزاد على ذلك، فإذا كان الغرض من المحراب في المسجد، هو الدلالة على القبلة، فذلك يحصل بمحراب صغير يحفر فيه، بينما نرى المحاريب في أكثر المساجد ضخمة واسعة يغرق الإمام فيها، زد على ذلك أنها صارت موضعا للزينة والنقوش التي تلهى المصلين وتصرفهم عن الخشوع في الصلاة وجمع الفكر فيها، وذلك منهي عنه قطعا
ثالثا: أنه إذا ثبت أن المحاريب من عادة النصارى في كنائسهم، فينبغي حينئذ صرف النظر عن المحراب بالكلية، واستبداله بشيء آخر يتفق عليه، مثل وضع عمود عند موقف الإمام، فإن له أصلا في السنة، فقد أخرج الطبراني في " الكبير " (1 / 89 / 2) و" الأوسط " (2 / 284 / 9296) من طريقين عن عبد الله بن موسى التيمي، عن أسامة بن زيد، عن معاذ بن عبد الله بن خبيب، عن جابر بن أسامة الجهني قال
" لقيت النبي صلى الله عليه وسلم في أصحابه في السوق، فسألت أصحاب رسول الله أين يريد؟ قالوا: يخط لقومك مسجدا، فرجعت فإذا قوم قيام، فقلت: ما لكم؟ قالوا: خط لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم مسجدا، وغرز في القبلة خشبة أقامها فيها
قلت: وهذا إسناد حسن أو قريب من الحسن رجاله كلهم ثقات معروفون من رجال " التهذيب "، لكن التيمي مختلف فيه وقد تحرف اسم أحدهم على الهيثمي فقال في " المجمع " (2 / 15) : رواه الطبراني في الأوسط والكبير، وفيه معاوية بن عبد الله بن حبيب، ولم أجد من ترجمه
وإنما هو: معاذ لا معاوية وابن خبيب بضم المعجمة، لا حبيب بفتح المهملة، وعلى الصواب أورده الحافظ في " الإصابة " (1 / 220) من رواية البخاري في " تاريخه "، وابن أبي عاصم، والطبراني، وقد خفيت هذه الحقيقة على المعلق على رسالة السيوطي، وهو الشيخ عبد الله الغماري، فنقل كلام الهيثمي في إعلال الحديث بمعاوية بن عبد الله وأقره،وجملة القول: أن المحراب في المسجد بدعة، ولا مبرر لجعله من المصالح المرسلة، ما دام أن غيره مما شرعه رسول الله صلى الله عليه وسلم يقوم مقامه مع البساطة، وقلة الكلفة، والبعد عن الزخرفة
৪৫০। কোন পাথরের উপর তোমাদের কেউ যদি বিশ্বাস স্থাপন করে, তাহলে অবশ্যই তা তার উপকার করবে।
হাদীসটি জাল।
যেমনটি ইবনু তাইমিয়্যা ও অন্যরা বলেছেন।
শাইখ আলী আল-কারী তার “আল-মাওযু'আত” গ্রন্থে (পৃ. ৬৬) বলেনঃ ইবনুল কাইয়্যিম বলেছেনঃ এটি মূর্তিপূজকদের কথা। যারা পাথরের ব্যাপারে ভাল ধারণা পোষণ করে। ইবনু হাজার আসকালানী বলেনঃ হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
لواعتقد أحدكم بحجر لنفعه
موضوع
-
كما قال ابن تيمية، وغيره
قال الشيخ على القاري في " موضوعاته " (ص 66) : وقال ابن القيم: هو من كلام عباد الأصنام الذين يحسنون ظنهم بالأحجار
وقال ابن حجر العسقلاني: (لا أصل له، ونحوه: من بلغه شيء عن الله فيه فضيلة ... )
قلت: يعني الحديث الآتى بعد
পরিচ্ছেদঃ
৪৫১। যে ব্যক্তির কাছে আল্লাহ নিকট হতে এমন কিছু পৌঁছবে যাতে ফযীলত রয়েছে। অতঃপর সে তাকে ঈমানের সাথে সাওয়াব অর্জনের আশায় গ্রহণ করবে, আল্লাহ তাকে তাই দান করবেন। যদিও সেটি সেরূপ নাও হয়।
হাদীসটি জাল।
এটি হাসান ইবনু আরাফা তার “জুযউ” গ্রন্থে (১/১০০), ইবনুল আবার তার "আল-মুজাম" গ্রন্থে (পৃ. ২৮১), আবু মুহাম্মদ খাল্লাল “ফাযলু রাজাব” গ্রন্থে (১৫/১-২), আল-খাতীব (৮/২৯৬) এবং মুহাম্মাদ ইবনু তুলুন “আল-আরবাউন” গ্রন্থে (২/১৫) ফুরাত ইবনু সালমান এবং ঈসা ইবনু কাসীর সূত্রে আবু রাজা হতে ... বর্ণনা করেছেন। এ সূত্রেই ইবনুল জাওয়ী তার “মাওযু'আত” গ্রন্থে (১/২৫৮) উল্লেখ করেছেন, অতঃপর বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়। আবু রাজা মিথ্যুক। সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/২১৪) তা সমর্থন করেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ আমি এ আবু রাজাকে চিনি না। হাফিয সাখাবীও “আল-মাকাসিদ” গ্রন্থে (পৃ. ১৯১) স্পষ্ট করে বলেছেনঃ তাকে চেনা যায় না। তার "আল-কাওলুল বাদী" গ্রন্থেও (পৃ. ১৯৭) তিনি অনুরূপ কথাই বলেছেন।
ঐতিহাসিক ইবনু তুলুন বলেছেনঃ সনদটি ভাল। আবু রাজা হচ্ছেন মুহরেয ইবনু আবদিল্লাহ জাযারী হিশামের দাস, তিনি নির্ভরযোগ্য। এছাড়া হাদীসটির বিভিন্ন সূত্র এবং শাহেদ রয়েছে।
তার এ বক্তব্য এ বিদ্যার নীতি হতে খুবই দূরবর্তী কথা। কারণ যদি ধরে নেয়া হয় যিনি মুহরেয তিনিই আবু রাজা, তাহলে তিনি মুদাল্লিস যেমনভাবে হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেছেন। কারণ তিনি আন আন করে বর্ণনা করেছেন। কীভাবে সনদটি ভাল? [মুদাল্লিসের ব্যাখ্যা দেখুন (৫৭) পৃষ্ঠায়]।
আবু রাজাই যে মুহরেয এটি দূরবর্তী কথা বিভিন্ন কারণে। যার একটি হচ্ছে এই যে, তারা তার জীবনীতে উল্লেখ করেছেন তার শায়খের মধ্যে একজন হচ্ছেন ফুরাত ইবনু সালমান। বাস্তবে এ সনদে তার উল্টা। ফুরাত হচ্ছেন তার (আবৃ রাজা) থেকে হাদীসটি বর্ণনাকারী।
হাদিসটি হাফিয কাসেম ইবনু হাফিয ইবনে আসাকির "আল-আরবাউন" গ্রন্থে (১১/১) আবু রাজা হতেই দুটি সূত্রে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটিতে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। আমি আমার পিতা হতে শুনেছি তিনি তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনুল জাওয়ী দারাকুতনীর বর্ণনায় ইবনু উমার (রাঃ) হতে উল্লেখ করেছেন যার সনদে ইসমাঈল ইবনু ইয়াহইয়া রয়েছেন। অতঃপর তাকে ইবনুল জাওষী মিথ্যুক বলেছেন।
তিনি "আল-মাজরুহীন" গ্রন্থে (১/১৯৯) ইবনু হিব্বানের বর্ণনা থেকেও বাযী' আবীল খালীল সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু ওয়াসে এবং সাবেত ইবনু আবান থেকে আনাস (রাঃ) হতে মারফু' হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আমি সাবেত ইবনু আবানকে চিনি না। ইবনুল জওয়ী বলেনঃ বাযী মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যাহাবী তার জীবনীতে বলেছেনঃ তিনি মিথ্যার দোষে দোষী। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরশীলদের উদ্ধৃতিতে কতিপয় বানোয়াট হাদীস এনেছেন, তিনি যেন তা ইচ্ছাকৃতই করেছেন। তিনি "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মতারূক। হাফিয ইবনু হাজারের "লিসানুল মীযান" গ্রন্থে এসেছে, দারাকুতনী বলেনঃ তিনি যা কিছু বর্ণনা করেছেন তা বাতিল। হাকিম বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে কতিপয় জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন।
সুয়ূতী ইবনুল জাওয়ীর সমালোচনা করেছেন। অতঃপর আনাস (রাঃ)-এর হাদীসের অন্য একটি সূত্র উল্লেখ করেছেন। যার সনদে মিথ্যার দোষে দোষী বর্ণনাকারী রয়েছে। অনুরূপভাবে ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীসের আরো একটি সূত্র ওয়ালীদ ইবনু মারওয়ানের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। এ ওয়ালীদ মাজহুল, যেমনভাবে ইবনু আবী হাতিম (৪/২/১৮) বলেছেন। যাহাবী এবং আসকালানীও একই কথা বলেছেন। এছাড়া তার সনদের মধ্যে রয়েছে ইনকিতা' (বিচ্ছিন্নতা)।
সুয়ূতী স্বপ্নের মাধ্যমে এ হাদীসটি সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেনঃ এটি আমার থেকেই, আমিই এটি বলেছি। আলেমদের নিকট স্বপ্ন দ্বারা শারীয়াতের কোন হুকুম সাব্যস্ত হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসও সাব্যস্ত হয় না। মোটকথা হাদীসটিকে কোন সূত্র দ্বারাই দলীল হিসাবে গ্রহণ করা যায় না । কারণ এটির একটি অন্যটির চেয়ে বেশী দুর্বল।
ইবনুল জাওয়ী হাদীসটি “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে উল্লেখ করে ঠিকই করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার তার অনুসরণ করে বলেছেনঃ এটির ভিত্তি নেই। শাওকানীও তাকে সমর্থন করেছেন। কোন কোন আলেম বলেছেন যে, ফাযায়েলের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদীসের উপর আমল করা যায়। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? যেখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করে দিয়ে বলেছেনঃمن حدث عني بحديث يرى أنه كذب فهو أحد الكذابين "যে আমার থেকে হাদীস বর্ণনা করবে অথচ দেখা যাচ্ছে যে, সেটি মিথ্যা, তাহলে সে মিথ্যুকদের একজন।" হাদীসে আরো এসেছে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে তার বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নিল।” যেখানে বর্ণনাকারী এবং মিথ্যারোপকারী সম্পর্কে এ সতর্কবাণী, সেখানে আমলকারীর কী হতে পারে? দুর্বল হাদীসের উপর আমল করার ক্ষেত্রে চাই সেটি আহকামের মধ্যে হোক বা ফাযায়েলের মধ্যেই হোক, কোন পার্থক্য নেই। সবই শারীয়াত।
من بلغه عن الله شيء فيه فضيلة فأخذ به إيمانا به ورجاء ثوابه أعطاه الله ذلك وإن لم يكن كذلك
موضوع
-
أخرجه الحسن بن عرفة في " جزئه " (100 / 1) وابن الأبار في " معجمه " (ص 281) وأبو محمد الخلال في " فضل رجب " (15 / 1 - 2) ، والخطيب (8 / 296) ، ومحمد بن طولون (880 - 953) في " الأربعين " (15 / 2) عن فرات بن سلمان، وعيسى بن كثير، كلاهما عن أبي رجاء، عن يحيى بن أبي كثير، عن أبي سلمة بن عبد الرحمن، عن جابر بن عبد الله الأنصاري مرفوعا
ومن هذه الطريق ذكره ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 258) وقال
" لا يصح، أبو رجاء كذاب "
وأقره السيوطي في " اللآليء " (2 / 214) ، وأنا لم أعرف أبا رجاء هذا، ثم وجدت الحافظ السخاوي صرح في " المقاصد " (ص 191) بأنه لا يعرف. وكذا قال فى " القول البديع " (ص 197)
وأما قول المؤرخ ابن طولون
" هذا حديث جيد الإسناد، وأبو رجاء هو فيما أعلم محرز بن عبد الله الجزري مولى هشام، وهو ثقة، وللحديث طرق وشواهد ذكرتها في كتابي " التوشيح لبيان صلاة التسبيح ". فهو بعيد جدا عن قواعد هذا العلم
فإن محرزا هذا إن سلم أنه أبو رجاء، فهو يدلس، كما قال الحافظ في " التقريب " وقد عنعن، فأنى لإسناده الجودة؟ على أنني أستبعد أن يكون أبو رجاء هو محرز هذا، لأسباب: منها أنهم ذكروا في ترجمته أن من شيوخه، فرات بن سلمان، والواقع في هذا الإسناد خلافه، أعنى أن فرات بن سلمان هو راوى الحديث عنه، إلا أن يقال: إنه من رواية الأكابر عن الأصاغر، وفيه بعد. والله أعلم
ويؤيد أنه ليس به، أنني رأيت على هامش " جزء ابن عرفة ": " العطاردي " إشارة إلى أن هذا نسبه، ولكن لم يوضع بجانبها حرف " صح " إشارة إلى أن هذه النسبة هي من أصل الكتاب سقطت من قلم الناسخ، فاستدركها على الهامش كما هي عادتهم، فإذا لم يشر إلى أنها من الأصل، فيحتمل أن تكون وضعت عليه تبيينا وتوضيحا، لا على أنها من الأصل، ولعلنا نعثر على نسخة أخرى لهذا الجزء فنتبين حقيقة هذه الكلمة. والله أعلم
ثم رأيت الحديث قد أخرجه الحافظ القاسم ابن الحافظ ابن عساكر فى " الأربعين " للسلفي (11 / 1) من الطريقين عن أبى رجاء به وقال
" وهذا الحديث أيضا فيه نظر، وقد سمعت أبي رحمه الله يضعفه "
ثم أورده ابن الجوزي من رواية الدارقطني بسنده عن ابن عمر، وفيه إسماعيل بن يحيى، قال ابن الجوزي: " كذاب "، ومن رواية ابن حبان من طريق يزيع أبي الخليل عن محمد بن واسع، وثابت بن أبان (كذا الأصل، ولعله ابن أسلم، فإني لا أعرف فى الرواة ثابت بن أبان) عن أنس مرفوعا. وقال ابن الجوزى
" بزيع متروك "
قلت: قال الذهبي فى ترجمته
" متهم، قال ابن حبان: يأتي عن الثقات بأشياء موضوعة كأنه المتعمد لها "
وقال في الضعفاء
" متروك "
وفى " اللسان " للحافظ ابن حجر
" وقال الدارقطني: كل شيء يرويه باطل. وقال الحاكم: يروى عن الثقات أحاديث موضوعة "
قلت: ومن طريقه أخرجه أبو يعلى، والطبراني في " الأوسط " بنحوه، كما فى " المجمع " (1 / 149) ، وسنذكره بعد هذا ثم إن السيوطي تعقب ابن الجوزي، فساق لحديث أنس طريقا آخر فيه متهم أيضا، كما يأتي بيانه في الحديث الذي بعده، وذكر كذلك طريقا أخرى لحديث ابن عمر من رواية الوليد بن مروان عنه، وسكت عنه، والوليد هذا مجهول، كما قال ابن أبى حاتم (4 / 2 / 18) عن أبيه، وكذا قال الذهبي، والعسقلاني. ثم إن فيه انقطاعا، فإن الوليد هذا روى عن غيلان بن جرير، وغيلان لم يروعن غير أنس من الصحابة، فهو من صغار التابعين، فالوليد على هذا من أتباعهم لم يدرك الصحابة، فثبت انقطاع الحديث
ومن عجائب السيوطي أنه ساق بعد هذا قصة عن حمزة بن عبد المجيد
خلاصتها: أنه رأى النبي صلى الله عليه وسلم في المنام فسأله عن هذا الحديث، فقال: إنه لمني وأنا قلته
ومن المقرر عند العلماء أن الرؤيا لا يثبت بها حكم شرعي، فبالأولى أن لا يثبت بها حديث نبوي، والحديث هو أصل الأحكام بعد القرآن
وبالجملة، فجميع طرق هذا الحديث لا تقوم بها حجة، وبعضها أشد ضعفا من بعض، وأمثلها - كما قال الحافظ ابن ناصر الدين في " الترجيح " - طريق أبي رجاء، وقد عرفت وهاءها، ولقد أصاب ابن الجوزي في إيراده إياه في " الأحاديث الموضوعة "، وتابعه على ذلك الحافظ ابن حجر، فقال، كما سبق في الحديث الذي قبله: " لا أصل له "
وكفى به حجة فى هذا الباب، ووافقه الشوكاني أيضا كما سيأتي في الحديث الذي بعده
ومن آثار هذا الحديث السيئة أنه يوحي بالعمل بأي حديث طمعا في ثوابه، سواء كان الحديث عند أهل العلم صحيحا، أو ضعيفا، أو موضوعا، وكان من نتيجة ذلك أن تساهل جمهو ر المسلمين، علماء، وخطباء، ومدرسين، وغيرهم، فى رواية الأحاديث، والعمل بها، وفي هذا مخالفة صريحة للأحاديث الصحيحة في التحذير من التحديث عنه صلى الله عليه وسلم إلا بعد التثبت من صحته عنه صلى الله عليه وسلم كما بيناه في المقدمة
ثم إن هذا الحديث وما في معناه كأنه عمدة من يقول بجواز العمل بالحديث الضعيف في فضائل الأعمال، ومع أننا نرى خلاف ذلك، وأنه لا يجوز العمل بالحديث إلا بعد ثبوته، كما هو مذهب المحققين من العلماء، كابن حزم، وابن العربي المالكي، وغيرهم - فان القائلين بالجواز قيدوه بشروط
منها أن يعتقد العامل به كون الحديث ضعيفا
ومنها: أن لا يشهر ذلك، لئلا يعمل المرء بحديث ضعيف، فيشرع ما ليس بشرع، أو يراه بعض الجهال فيظن أنه سنة صحيحة. كما نص على ذلك الحافظ ابن حجر في " تبيين العجب بما ورد فى فضل رجب " (ص 3 - 4) قال: " وقد صرح بمعنى ذلك الأستاذ ابن عبد السلام وغيره، وليحذر المر من دخوله تحت قوله صلى الله عليه وسلم: " من حدث عني بحديث يرى أنه كذب فهو أحد الكذابين "، فكيف بمن عمل به، ولا فرق في العمل بالحديث في الأحكام، أو في الفضائل، إذ الكل شرع
قلت: ولا يخفى أن العمل بهذه الشروط ينافي هذا الحديث الموضوع، فالقائلون بها، كأنهم يقولون بوضعه. وهذا هو المطلوب - فتأمل
ثم رأيت رسالة ابن ناصر الدين في صلاة التسابيح التي نقلت عنها تجويده لإسناد هذا الحديث قد طبعت بتعليق المدعومحمود بن سعيد المصري، وقد شغب فيها علينا ما شاء له الشغب - كما هي عادته - وتأول كلام العلماء بما يتفق مع جدله بالباطل، ومكابرته الظاهرة لكل قاريء، ولا مجال الآن للرد عليه مفصلا، فحسبي أن أسوق مثالا واحدا على ما نقول: لقد تظاهر بالانتصار للتجويد المشار إليه، فرد إعلالي للحديث بتدليس محرز، إن سلم بأنه هو أبو رجاء، فزعم (ص 32 و33) بأن محرزا إنما يدلس عن مكحولا فقط، وبذلك تأول ما نقله عن ابن حبان أنه قال
كان يدلس عن مكحول، يعتبر بحديثه ما بين السماع فيه عن مكحول وغيره
فتعامى عن قوله: وغيره، الصريح في أنه إذا لم يصرح بالسماع عن مكحول وعن غيره، فلا يعتبر بحديثه، كما تعامى عن قول الحافظ المتقدم: " كان يدلس "، فإنه مطلق يشمل تدليسه عن مكحول وغيره
وإنما قلت: تظاهر.... لأنه بعد تلك الجعجعة رجع إلى القول بضعف الحديث فقد تشكك (ص 36) أولا في كون أبي رجاء هو محرز بن عبد الله المدلس وثانيا خالف ابن ناصر الدين بقوله
ولكن الحديث فيه نكارة شديدة توجب ضعفه، فإنه يؤدي للعمل بكل ما يسمع، ولوكان موضوعا أو واهيا، ما دام في الفضائل
قلت: فقد رجع من نقده إياي بخفي حنين بعد أن سرق ما جاء في استدراكه الأخير من قولي المتقدم قريبا
" ومن آثار هذا الحديث السيئة أنه يوحي بالعمل بأي حديث طمعا في ثوابه. . . " إلخ
أفلا يدل هذا على بالغ حقده وحسده ومكابرته؟ بلى، هناك ما هو أعظم في الدلالة، فانظر مقدمتي لكتابي " آداب الزفاف " طبع المكتبة الإسلامية في عمان، تر العجب العجاب
والخلاصة: أن العلماء اتفقوا على رد هذا الحديث ما بين قائل بوضعه أو ضعفه، وهم: ابن الجوزي، وابن عساكر، وولداه، وابن حجر، والسخاوي، والسيوطي، والشوكاني، (وهم القوم لا يشقى جليسهم)
وأما الطريق الأخرى التي سبقت الإشارة إليها من حديث أنس، فهي
পরিচ্ছেদঃ
৪৫২। যার কাছে আল্লাহর নিকট হতে ফীলতের কোন কিছু পৌঁছল। অতঃপর যে ফযীলত তার নিকট পৌঁছেছে সে তা গ্রহণ করল, আল্লাহ তাকে তাই দান করবেন যা তার নিকট পৌঁছেছে, যদিও সে হাদীস বর্ণনাকারী মিথ্যুক হয়।
হাদীসটি জাল।
এটি বাগাবী “হাদীসু কামিল ইবনু তালহা” গ্রন্থে (৪/১), ইবনু আব্দিল বার “জামেউ বায়ানিল ইলম” গ্রন্থে (১/২২), আবু ইসমাঈল সামরিকান্দী "মা কারুবা সানাদুহু" গ্রন্থে (২/১) এবং ইবনু আসাকির “আত-তাজরীদ” গ্রন্থে (৪/২/১) আব্বাদ ইবনু আবদিস সামাদ সূত্রে আনাস (রাঃ) হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আব্বাদ মিথ্যার দোষে দোষী। যাহাবী বলেনঃ ইবনু হিব্বান তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তিনি আনাস (রাঃ) হতে একটি বানোয়াট কপি বর্ণনা করেছেন। যাহাবী তার হাদীসের অংশ বিশেষ উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি লম্বা হাদীস উল্লেখ করেছেন যা গল্পবাজদের জাল ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অতঃপর আরেকটি হাদীস উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি সুস্পষ্ট মিথ্যারোপ।
ইবনু আব্দিল বার বলেছেনঃ বিদ্বানগণের এক জামা'আত ফাযায়েলের ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন এবং তারা আহকামের হাদীসের ক্ষেত্রে কঠোরতা প্রদর্শন করেছেন। এ কথার সমালোচনা করে শাওকানী “আল-ফাওয়ায়েদুল মাজমূ‘আহ” গ্রন্থে (পৃ. ১০০) বলেছেনঃ শারীয়াতের আহকামগুলো সবই সমান। সেগুলোর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যা দলীল দ্বারা প্রমাণিত হয়নি তা প্রচার করা কারো জন্য হালাল নয়। তা করলে আল্লাহ যা বলেননি তা বলার অন্তর্ভুক্ত হবে। আর তাতে রয়েছে তার জন্য শাস্তি ...। (সূরা আল-হাক্কার ৪৩ ও ৪৭ নাম্বার আয়াত দ্রষ্টব্য)।
من بلغه عن الله فضل فأخذ بذلك الفضل الذي بلغه، أعطاه الله ما بلغه وإن كان الذي حدثه كاذبا
موضوع
-
أخرجه البغوي في " حديث كامل بن طلحة " (4 / 1) ، وابن عبد البر في " جامع بيان العلم " (1 / 22) ، وأبو إسماعيل السمرقندي في " ما قرب سنده " (2 / 1) ، وابن عساكر في " التجريد " (4 / 2 / 1) من مخطوطة الظاهرية مجموع (10 / 12) من طريق عباد بن عبد الصمد عن أنس مرفوعا
قلت: وعباد متهم، قال الذهبي
وهاه ابن حبان وقال: حدث عن أنس بنسخة كلها موضوعة
ثم ذكر له الذهبي طرفا من حديث ثم قال: فذكر حديثا طويلا يشبه وضع القصاص، ثم ذكر له آخر ثم قال: فهذا إفك بين
قلت: ومع أن ابن عبد البر قد ذكر الحديث بإسناده وذلك يبرئ عهدته منه، فقد اعتذر عن ذكره بقوله
أهل العلم بجماعتهم يتساهلون في الفضائل فيروونها عن كل، وإنما يتشددون في أحاديث الأحكام، وقد تعقبه المحقق الشوكاني فأجاد، فقال في " الفوائد المجموعة " (ص 100)
وأقول: إن الأحكام الشرعية متساوية الأقدام لا فرق بينها، فلا يحل إذاعة الأصل: إضاعة شيء منها إلا بما يقوم به الحجة، وإلا كان من التقول على الله بما لم يقل، وفيه من العقوبة ما هو معروف، والقلب يشهد بوضع ما ورد في هذا المعنى وبطلانه، وقد روي الحديث بلفظ آخر، وهو (الأتي)
পরিচ্ছেদঃ
৪৫৩। যে ব্যক্তির কাছে আল্লাহ তা'আলার নিকট হতে কোন ফযীলত পৌঁছল, অতঃপর সে তা বিশ্বাস করল না, সে তা পাবে না।
হাদীসটি জাল।
এটি আবু ইয়ালা তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (৬/১৬৩) এবং ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (কাফ ৪০/২) বাযী আবুল খালীল খাসসাফ সূত্রে সাবেত হতে এবং তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ জানি না বাষী ছাড়া অন্য কেউ এটি বর্ণনা করেছেন কিনা।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি হাদীসটি জাল করার দোষে দোষী। একটি হাদীস পূর্বে তার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। হাদীসটি হায়সামী “আল-মাজমা” গ্রন্থে (১/১৪৯) উল্লেখ করে বলেছেনঃ বাযী দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং তিনি মিথ্যার দোষে দোষী; যেমনভাবে যাহাবী বলেছেন। তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান এবং অন্যদের উক্তিও একটি হাদীসের পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
من بلغه عن الله فضيلة فلم يصدق بها لم ينلها
موضوع
-
رواه أبو يعلى في " مسنده " (6 / 163) وابن عدي في " الكامل " (ق 40 / 2) عن بزيع أبي الخليل الخصاف عن ثابت عن أنس مرفوعا، وقال: لا أعلم رواه غير بزيع أبي الخليل
قلت: وهو متهم بالوضع كما تقدم قبل حديث، وذكره الهيثمي في " المجمع " (1 / 149) من حديث أنس وقال
رواه أبو يعلى، والطبراني في " الأوسط "، وفيه بزيع أبو الخليل وهو ضعيف.قلت: بل هو متهم، كما قال الذهبي، وتقدمت عبارة ابن حبان وغيره في ذلك قبل حديث
পরিচ্ছেদঃ
৪৫৪। তোমরা যখন সালাত আদায় করবে, তখন তোমরা বলঃ সুবহানাল্লাহ তেত্রিশবার, আলহামদুলিল্লাহ তেত্রিশবার, আল্লাহু আকবার তেত্রিশবার এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দশবার। তোমরা অবশ্যই তা দ্বারা পেয়ে যাবে তাদেরকে যারা তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গেছে এবং তোমাদের পরবর্তীদের চেয়ে তোমরা অগ্রগামী হয়ে যাবে।
হাদীসটি এ বর্ণনাভঙ্গিতে দুর্বল।
এটি নাসাঈ (১/১৯৯) ও তিরমিয়ী (২/২৬৪-২৬৫) আত্তাব ইবনু বাশীর সূত্রে খুসায়েফ হতে ... বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদ দুর্বল। খুসায়েফ হচ্ছেন ইবনু আবদির রহমান জাযারী। তিনি সত্যবাদী, কিন্তু তার হেফযে ক্রটি ছিল। শেষ বয়সে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। আত্তাবও সত্যবাদী কিন্তু ভুল করতেন। হাদীসটির ভাষায়ঃ و لا إله إلا الله عشرا অংশটুকু মুনকার। এটি আবৃ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সহীহ্ হাদীস বিরোধী। তাতে রয়েছেঃ لا إله إلا الله وحده لا شريك له এক বার বলার কথা। তার সনদটি সহীহ; যেমনভাবে আমি "সাহীহা"র মধ্যে (নং ১০০) বর্ণনা করেছি।
إذا صليتم فقولوا: سبحان الله ثلاثا وثلاثين، والحمد لله ثلاثا وثلاثين، والله أكبر ثلاثا وثلاثين، ولا إله إلا الله عشرا، فإنكم تدركون بذلك من سبقكم، وتسبقون من بعدكم
ضعيف بهذا السياق
-
أخرجه النسائي (1 / 199) والترمذي (2 / 264 - 265) من طريق عتاب بن بشير عن خصيف عن مجاهد، وعكرمة عن ابن عباس قال
جاء الفقراء إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا: يا رسول الله إن الأغنياء يصلون كما صلي، ويصومون كما نصوم، ولهم أموال يتصدقون وينفقون، فقال النبي صلى الله عليه وسلم ... " فذكره. وقال الترمذي
حديث حسن غريب
قلت: إسناده ضعيف، خصيف، وهو ابن عبد الرحمن الجزري، صدوق، سيء الحفظ، خلط بأخرة، وعتاب: صدوق، يخطيء
وقوله: و لا إله إلا الله عشرا منكر مخالف لحديث أبي هريرة في هذه القصة، وفيه: لا إله إلا الله وحده لا شريك له.... مرة واحدة، وإسناده صحيح
كما كنت بينته في " الأحاديث الصحيحة " رقم (100)
৪৫৫। সৎ ব্যক্তি সুসংবাদ নিয়ে আসে আর মন্দ ব্যক্তি দুঃসংবাদ নিয়ে আসে।
হাদীসটি জাল।
এটি আবু নুয়াইম "আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে (৩/৯০) এবং ইবনু আসাকির (১৩/১৮৫/২) মুহাম্মাদ ইবনুল কাসেম তাইকানী সূত্রে উমর ইবনু হারূণ ... হতে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ হাদীসটি গারীব। আমরা এটি একমাত্র মুহাম্মাদ ইবনুল কাসেমের হাদীস হতে লিখেছি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি জলকারী। তার শাইখ উমর ইবনু হারণ মিথ্যুক। সুয়ুতীর নিকট এ তথ্য লুক্কায়িত ছিল, এজন্য “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে আবু নুয়াইম এবং ইবনু আসাকিরের বর্ণনায় আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তার ভাষ্যকার মানবীও কোন কথা বলেননি। শুধু বলেছেনঃ তার থেকে দাইলামী বর্ণনা করেছেন। আমি হাদীসটির অন্য একটি সূত্র পেয়েছি। হাদীসটি আবু বাকর আযদী তার হাদীস গ্রন্থে (৫/১) ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুবিয়া হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি নিতান্তই দুর্বল। কারণ ইবনু মা'ঈন তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। আর আহমাদ তার প্রশংসা করেছেন! আবু মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ ইবনিল মুসাইয়্যাবকে আমি চিনি না। তার নাম আব্দুল মালেক।
হাদীসটির একটি শাহেদ এসেছে যেটির এক পয়সাও মূল্য নেই। আবুশ শাইখ "আল-আমসাল" গ্রন্থে (৬৬) দাউদ ইবনুল মুহাব্বার সূত্রে আম্বাসা ইবনু আবদির রহমান কুরাশী হতে উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আম্বাসা এবং দাউদ উভয়েই জলিকারী।
الرجل الصالح يأتي بالخبر الصالح، والرجل السوء يأتي بالخبر السوء
موضوع
-
أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (3 / 95) ، وابن عساكر (13 / 185 / 2) من طريق محمد بن القاسم الطايكاني قال: حدثنا عمر في " الحلية " عمرو وهو خطأ، ابن هارون عن داود بن أبي هند عن سعيد بن المسيب عن أبي هريرة مرفوعا، وقال
غريب لم نكتبه إلا من حديث محمد بن القاسم
قلت: وهو وضاع، وشيخه عمر بن هارون كذاب وخفي هذا على السيوطي، فأورد الحديث في " الجامع الصغير " برواية أبي نعيم وابن عساكر عن أبي هريرة، ولم يتكلم شارحه على إسناده بشيء، غير أنه قال
ورواه عنه الديلمي ثم وجدت له طريقا أخرى، رواه أبو بكر الأزدي في " حديثه " (5 / 1) عن يحيى بن عبدويه، حدثني أبو محمد بن سعيد بن المسيب - وأحسب اسمه عبد الملك - عن أبيه عن جده عن أبي هريرة به
قلت: وهذا سند ضعيف جدا، علته ابن عبدويه، رماه ابن معين بالكذب، وأما أحمد فأثنى عليه وأبو محمد بن سعيد بن المسيب لم أعرفه، ولسعيد ابن يدعى محمد، فلعله هذا انقلب اسمه على ابن عبدويه فجعله كنيته، وحسب أن اسمه عبد الملك، ثم زاد في السند " عن جده " فجعله من سند المسيب عن أبي هريرة، والمسيب صحابي، ولا نعرف له رواية عن أبي هريرة وله شاهد لا يساوي فلسا، أخرجه أبو الشيخ في " الأمثال " (66) من طريق داود ابن المحبر: حدثنا عنبسة ابن عبد الرحمن القرشي عن عبد عبد الله بن ربيعة عن أنس مرفوعا
قلت: وعنبسة وداود وضاعان
৪৫৬। ফাতিমা তার লজ্জাস্থানকে পবিত্র রেখেছে, ফলে আল্লাহ তার সন্তানদেরকে জাহান্নামের উপর হারাম করে দিয়েছেন।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি তাবারানী (১/২৫৭/১), উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (পৃঃ ২৮৬), ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (কাফ ২৪৯/১), ইবনু শাহীন "ফাযায়েলে ফাতিমা" গ্রন্থে (পাতা ৩/১), তাম্মাম “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (২/৬১), ইবনু মান্দা “আল-মা'রিফাত” গ্রন্থে (২/২৯৩/১) এবং ইবনু আসাকির (৫/২৩/১,১৭/৩৮৬/১) মুয়াবিয়া ইবনু হিশাম সূত্রে উমার ইবনু গিয়াস হাযরামী হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর ইবনু শাহীন এবং আবুল কাসেম মেহরানী “আল-ফাওয়ায়েদুল মুন্তাখাবা” গ্রন্থে (২/১১/২) হাফস ইবনু উমার উবুল্লী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইবনু শাহীন মুহাম্মাদ ইবনু ওবায়েদ ইবনে উতবাহ সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক বালখী হতে এবং তিনি তালীদ হতে ...বর্ণনা করেছেন।
এ তিনটি সূত্রই আসেম হতে। সবগুলোই নিতান্তই দুর্বল। একটি অন্যটির চেয়ে বেশী দুর্বল। প্রথমটির সনদে উমার ইবনু গিয়াস রয়েছেন। উকায়লী বলেনঃ বুখারী বলেছেনঃ তার হাদীসে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। উকায়লী বলেনঃ সে হাদীসটি হচ্ছে এটিই। বুখারী “তারীখুস সাগীর” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি যে আসেম হতে শুনেছেন তা উল্লেখ করা হয়নি, হাদীসটি মু'যাল। ইবনু হিব্বান তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তিনি আসেম হতে যা তার হাদীস নয় তা বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবী হাতিম “আল-জারহু ওয়াত তা’দীল” গ্রন্থে (৩/১/১২৮) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। তার থেকে বর্ণনাকারী মুয়াবিয়া ইবনু হিশামের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। ইবনু আদী কর্তৃক বর্ণিত সূত্রগুলো হতেই ইবনুল জাওয়ী তার “আল-মাওযু'আত” গ্রন্থে (১/৪২২) উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটির সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে আমর ইবনু গিয়াস (তাকে বলা হয় উমার)। তাকে দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি আসেম হতে এমন কিছু বর্ণনা করেছেন যা তার হাদীস নয়। হাকিম হাদীসটির সনদ সম্পর্কে বলেছেনঃ সনদটি সহীহ। যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ বরং দুর্বল।
মুয়াবিয়া এককভাবে (তাকেও দুর্বল বলা হয়েছে) ইবনু গিয়াস হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি একেবারেই দুর্বল। উকায়লী ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ মওকুফই উত্তম।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মওকুফ হিসাবেও সহীহ নয়।
দ্বিতীয় সূত্র; তাতে রয়েছেন হাফস ইবনু উমার উবুল্লি। তিনি মিথ্যুক।
তৃতীয় সূত্র; তাতে রয়েছেন তালীদ। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, উসমানকে (রাঃ) গালী দিতেন। আবু দাউদ বলেনঃ তিনি রাফেয়ী, আবু বাকর ও উমারকে (রাঃ) গালী দিতেন। অন্য ভাষায় বলেছেনঃ তিনি খাবীস।
إن فاطمة حصنت فرجها فحرم الله ذريتها على النار
ضعيف جدا
-
أخرجه الطبراني (1 / 257 / 1) والعقيلي في " الضعفاء " (ص 286) وابن عدي في " الكامل " (ق 249 / 1) وابن شاهين في " فضائل فاطمة " (ورقة 3 وجه 1) وتمام في " الفوائد " (61 / 2) وابن منده في " المعرفة " (2 / 293 / 1) وابن عساكر (5 / 23 / 1، 17 / 386 / 1) عن معاوية بن هشام، حدثنا عمر ابن غياث الحضرمي عن عاصم بن أبي النجود عن زر بن حبيش عن عبد الله بن مسعود مرفوعا، ثم رواه ابن شاهين، وكذا أبو القاسم المهراني في " الفوائد المنتخبة " (2 / 11 / 2) من طريق حفص بن عمر الأبلي، حدثنا عبد الملك بن الوليد بن معدان، وسلام بن سليم القاري عن عاصم به
وابن شاهين أيضا من طريق محمد بن عبيد بن عتبة، حدثنا محمد بن إسحاق البلخي حدثنا تليد عن عاصم به
قلت: فهذه طرق ثلاث عن عاصم، وهي ضعيفة جدا، وبعضها أشد ضعفا من بعض
ففي الطريق الأولى عمر بن غياث، قال العقيلي
قال البخاري: في حديثه نظر، قال العقيلي: والحديث هو هذا، وقال البخاري في " التاريخ الصغير " (ص 214)
ولم يذكر سماعا من عاصم، معضل الحديث، واتهمه ابن حبان فقال: يروي عن عاصم ما ليس من حديثه، وقال ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " (3 / 1 / 128) عن أبيه: هو منكر الحديث، والراوي عنه معاوية بن هشام فيه ضعف، لكن الحمل فيه على شيخه عمر، ومن هذه الطرق برواية ابن عدي أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " وقال: مداره على عمرو بن غياث ويقال فيه عمر، وقد ضعفه الدارقطني، وقال ابن حبان: عمرو يروي عن عاصم ما ليس من حديثه، ولعله سمعه في اختلاط عاصم، ثم إن ثبت الحديث فهو محمول على أولادها فقط، وبذلك فسره
محمد بن علي بن موسى الرضى فقال: هو خاص بالحسن والحسين
قلت: ومن هذا الوجه أخرجه الحاكم (3 / 152) وأبو نعيم (4 / 188) وقال: هذا حديث غريب تفرد به معاوية، وأما الحاكم فقال: صحيح الإسناد، ورده الذهبي بقوله
قلت: بل ضعيف، تفرد به معاوية، وقد ضعف عن ابن غياث، وهو واه بمرة
قلت: ورواه العقيلي أيضا من طريق آخر عن معاوية بن هشام به، إلا أنه أوقفه على ابن مسعود، وقال العقيلي: والموقوف أولى
قلت: ولا يصح لا موقوفا ولا مرفوعا
وأما الطريق الثاني، ففيه حفص بن عمر الأبلي وهو كذاب
وأما الطريق الثالث، ففيه تليد، قال ابن معين: كذاب يشتم عثمان، وقال أبو داود: رافضي يشتم أبا بكر وعمر، وفي لفظ " خبيث "، فتبين أن هذه الطرق واهية لا تزيد الحديث إلا وهنا، وقد روى أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 206 - 207) بسند فيه نظر عن ابن الرضا أنه سئل عن هذا الحديث فقال: خاص للحسن والحسين وذكره العقيلي من قول أبي كريب أحد رواته عن ابن هشام، وزاد
ولمن أطاع الله منهم، وهذا تأويل جيد لوصح الحديث، وقد ذكر له السيوطي شاهدا من حديث ابن عباس، وهو عندي شاهد قاصر، لأنه أخص منه، على أن إسناده ضعيف، وهو (الأتي)
৪৫৭। অবশ্যই আল্লাহ তোমাকে [অর্থাৎ ফাতিমা (রাঃ) কে] শাস্তি দিবেন না এবং তার সন্তানকেও নয়।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি তাবারানী (৩/১৩১/২) বর্ণনা করেছেন। তার সূত্রে ইসমাঈল ইবনু মূসা, মুহাম্মাদ ইবনু মারযুক এবং ঈযাজী রয়েছেন। সুয়ূতী "আল-লাআলী" গ্রন্থে (১/৪০২) হাদীসটিকে পূর্বের হাদীসের শাহেদ হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং চুপ থেকেছেন। হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৯/২০২) বলেছেনঃ তার (তাবারানীর) বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। ইবনু আররাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (১/৪১৭) তা সমর্থন করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটিতে বহুবিধ সমস্যা রয়েছেঃ
১। ইসমাঈলকে ইবনু হিব্বান ছাড়া অন্য কেউ নির্ভরযোগ্য বলেননি। তার নির্ভরযোগ্য বলা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে যখন অন্যরা তার বিরোধিতা করেছেন, যেমনভাবে এখানে ইবনু আবী হাতিম তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তিনি মাজহুল (অপরিচিত)।
২। মুহাম্মাদ ইবনু মারযুক; যদিও ইমাম মুসলিম তার থেকে বর্ণনা করেছেন তবুও তার মধ্যে লাইয়েনুন (দুর্বলতা) রয়েছে; যেমনভাবে ইবনু আদী বলেছেন।
৩। ঈযাজী; সাম'আনী তাকে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তার সম্পর্কে ভাল মন্দ কিছুই বলেননি।
إن الله غير معذبك (يعني فاطمة رضي الله عنها) ولا ولدها
ضعيف
-
أخرجه الطبراني (3 / 131 / 2) حدثنا أحمد بن بهرام الإيذجي، أخبرنا محمد بن مرزوق، حدثنا إسماعيل بن موسى بن عثمان الأنصاري، سمعت صيفي بن ربعي يحدث عن عبد الرحمن بن الغسيل عن عكرمة عن ابن عباس مرفوعا
وقد أورده السيوطي في " اللآليء " (1 / 402) شاهدا للحديث الذي قبله وسكت عنه، وقال الهيثمي في " المجمع " (9 / 202) : رواه الطبراني ورجاله ثقات وأقره ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (1 / 417)
قلت: وفيه نظر من وجوه
الأول: أن إسماعيل هذا لم يوثقه غير ابن حبان، وقد ذكرنا مرارا أن توثيقه إذا تفرد غير موثوق، ولا سيما إذا خالفه غيره كما هنا، فقد قال ابن أبي حاتم (1 / 1 / 196) عن أبيه: إنه مجهول
الثاني: أن محمد بن مرزوق وإن خرج له مسلم ففيه لين كما قال ابن عدي
الثالث: أن الإيذجي هذا أورده السمعاني في " الأنساب " فقال: روى عن محمد بن مرزوق، روى عنه الطبراني، وسمع منه بإيذج، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا والله أعلم، ثم شككت في كون ابن عثمان الأنصاري هو الذي وثقه ابن حبان، لأنه ذكره في (أتباع التابعين) (6 / 43) ، وهذا كما ترى دونه بحيث أدركه محمد بن مرزوق شيخ مسلم، ثم هو لم يجاوز في نسبه أباه موسى الأنصاري، فالله أعلم
৪৫৮। যিম্মীর দিয়াত হচ্ছে মুসলিম ব্যক্তির দিয়াত।
হাদীসটি মুনকার।
এটি তাবারানী “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (১/৪৫-৪৬/৭৮০), দারাকুতনী তার “সুনান” গ্রন্থে (পৃ. ৩৪৩, ৩৪৯) এবং বাইহাকী (৮/১০২) আবু কুরয আল কুরাশী সূত্রে নাফে হতে ... বর্ণনা করেছেন। দারাকুতনী তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন এ ভাষায়ঃ হাদীসটি নাফে' হতে আবু কুরয ছাড়া অন্য কেউ মারফু হিসাবে বর্ণনা করেননি। তিনি মাতরূক। তার নাম আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দিল মালেক ফেহরী। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে তার জীবনীর মধ্যে বলেছেনঃ তার এ হাদীসটি সর্বাপেক্ষা বেশী মুনকার। অতঃপর দারাকুতনী হাদীসটি উসামা ইবনু যায়েদ হতে বর্ণনা করেছেন। তার সমস্যা হিসাবে বলেছেনঃ তাতে উসমান ইবনু আবদির রহমান ওক্কাসী রয়েছেন; তিনি মাতরূকুল হাদীস।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং তিনি মিথ্যার দোষে দোষী। অতঃপর হাদীসটি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বাইহাকী বর্ণনা করেছেন এবং তার সমস্যা হিসাবে বলেছেনঃ তাতে হাসান ইবনু আম্মারা রয়েছেন; তিনি মাতরূক। তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। তিনি আরো একটি সূত্র হতে বর্ণনা করেছেন। যার মধ্যে আবু সাঈদ বাক্কাল রয়েছেন। বাইহাকী বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। যায়লাঈ (৪/৩৩৬) বলেনঃ তার মধ্যে লাইয়েনুন (দুর্বলতা) রয়েছে।
হাদীসটি রাফেয়ী তার “হাদীস” গ্রন্থে (২/১৯) আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। এ সনদে বারাকা ইবনু মুহাম্মাদ আনসারী রয়েছেন, তিনি হালাবী। তার সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন।
অতঃপর বাইহাকী যুহরীর হাদীস হতে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ মুরসাল হওয়ার কারণে শাফেয়ী হাদীসটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, কারণ যুহরীর মুরসাল মন্দ।
ইমাম মুহাম্মাদ “কিতাবুল আসার” গ্রন্থে (পৃ. ১০৪) বর্ণনা করে বলেছেনঃ আমাদেরকে আবু হানীফা (রহঃ) খবরটি হায়সাম হতে মারফূ হিসাবে শুনিয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি মু'যাল। কারণ এ হায়সাম হচ্ছেন ইবনু হাবীব সায়রাফী কুফী। তিনি তাবে তাবেঈ। তিনি ইকরিমা এবং আসেম ইবনু যামুরা হতে বর্ণনা করেছেন।
আবু হানীফা (রহঃ) এর হাদীসকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন, যেমনটি তার বিবরণ গেছে ৩৯৭ নং হাদীসে।
তাকে হেফযের দিক দিয়ে বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, ইবনু আদী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
তার সম্পর্কে ইমামগণের সেই সব ভাষ্যগুলো উল্লেখ করছি যেগুলো সহীহ বর্ণনায় তাদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। যাতে করে পাঠকবৃন্দের নিকট বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় এবং কেউ এরূপ ধারণা ও দাবী না করে যে, আমরা ইজতিহাদ করে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলছি। যা কিছু উল্লেখ করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র জ্ঞানীজন ও বিশেষজ্ঞদের অনুসরণার্থেই করা হচ্ছে।
১। ইমাম বুখারী “তারীখুল কাবীর” গ্রন্থে (৪/২/৮১০) বলেনঃ سكتوا عنه সাকাতু আনহু।
[(হাফিয ইবনু কাসীর “মুখতাসারু উলুমিল হাদীস” গ্রছে (পৃ. ১১৮) বলেনঃ ইমাম বুখারী যখন কোন ব্যক্তি সম্পর্কে বলেনঃ সাকাতু আনহু অথবা বলেনঃ ফীহে নাযরুন (তার মধ্যে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে)। তখন জানতে হবে যে, তার স্তরটি তার নিকট অত্যন্ত নীচু এবং নিম্ন মানের।
হাফিষ ইরাকী বলেনঃ এরূপ বাক্য ইমাম বুখারী সেই ব্যক্তি সম্পর্কেই বলেছেন, যার হাদীসকে মুহাদ্দিসগণ পরিত্যাগ করেছেন তথা গ্রহণ করেননি। দেখুনঃ “আর-রাফউ ওয়াত তাকমীল” (পৃ: ১৮২-১৮৩)। “মাসায়েলুল ইমামে আহমাদ” গ্রছে (পৃঃ ২১৭) মারওয়াযী বলেনঃ আমি বললাম, কখন কোন ব্যক্তির হাদীসকে পরিত্যাগ করা হয়? তিনি উত্তরে বললেনঃ যখন তার বেশী ভুল সংঘটিত হয়।)]
২। ইমাম মুসলিম “আল-কুনা ওয়াল আসমা” গ্রন্থে (কাফ ৩১/১) বলেনঃمضطرب الحديث ليس له كبير حديث صحيح "তিনি মুযতারিবুল হাদীস তার বেশী পরিমাণে সহীহ হাদীস নেই।"
৩। ইমাম নাসাঈ তার "আয-যুয়াফা ওয়াল মাতরূকীন" গ্রন্থের শেষে (পৃ. ৫৭) বলেনঃليس بالقوي في الحديث، وهو كثير الغلط على قلة روايته "তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে শক্তিশালী নন। তার বর্ণনা কম হওয়া সত্ত্বেও তিনি বেশী ভুলকারী।"
৪ । ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (২/৪০৩) বলেনঃ
له أحاديث صالحة، وعامة ما يرويه غلط وتصاحيف وزيادات في أسانيدها ومتونها، وتصاحيف في الرجال، وعامة ما يرويه كذلك، ولم يصح له في جميع ما يرويه، إلا بضعة عشر حديثا، وقد روى من الحديث لعله أرجح من ثلاثمائة حديث، من مشاهير وغرائب، وكله على هذه الصورة، لأنه ليس هو من أهل الحديث، ولا يحمل عمن يكون هذه صورته في الحديث
তার বর্ণিত কতিপয় সহীহ হাদীস রয়েছে, তবে তার অধিকাংশ বর্ণনাই ভুল। পড়তে এবং লিখতে ভুল করা হয়েছে। সেগুলোর সনদ এবং মতনে (ভাষায়) অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। বর্ণনাকারীদের সম্পর্কে পড়তে ও লিখতে ভুল করা হয়েছে। তার অধিকাংশ বর্ণনাগুলো সেরূপই। তিনি যে সব হাদীস বর্ণনা করেছেন তার মধ্যে ১৩ হতে ১৯টি হাদীস ছাড়া বাকীগুলো সহীহ নয়। তিনি মশহুর ও গারীব মিলে একই ধাচের প্রায় তিনশতটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। কারণ তিনি মুহাদ্দিসদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে যার অবস্থা এই, তার বর্ণিত হাদীস গ্রহণ করা হয় না।
৫। ইবনু সা'দ “আত-তাবাকাত” গ্রন্থে (৬/২৫৬) বলেনঃ كان ضعيفا في الحديث তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল ছিলেন।
৬। উকায়লী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (পৃ. ৪৩২) বলেনঃحدثنا عبد الله بن أحمد قال سمعت أبي يقول: حديث أبي حنيفة ضعيف "আমাদের নিকট আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ আমার পিতাকে বলতে শুনেছিঃ আবু হানীফা (রহঃ) এর হাদীস দুর্বল।"
৭। ইবনু আবী হাতিম “আল-জারহু ওয়াত তাব্দীল” গ্রন্থে (৪/১/৪৫০) বলেন, হাজ্জাজ ইবনু হামযা আমাদেরকে বলেছেন, আমাদেরকে আব্দান ইবনু উসমান বলেছেনঃسمعت ابن المبارك يقول: كان أبو حنيفة مسكينا في الحديث "তিনি ইবনু মুবারাককে বলতে শুনেছেনঃ আবু হানীফা (রহঃ) ছিলেন হাদীসের ক্ষেত্রে মিসকীন।" (এ সনদ দুটো সহীহ)।
৮। আবু হাফস ইবনু শাহীন বলেনঃ আবু হানীফা (রহঃ) এর ফিকহের জ্ঞানের ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু তিনি হাদীসের বিষয়ে সন্তোষজনক ছিলেন না। কারণ সনদগুলোর জন্য রয়েছেন সমালোচক। যার জন্য তিনি কি লিখেছেন তার সনদ সম্পর্কে জানতেন না। তবে তাকে মিথ্যুক বলা হয়নি। তাকে দুর্বল আখ্যা দেয়া হয়েছে। অনুরূপ কথা এসেছে “তারিখু জুরজন” গ্রন্থের শেষ কপিতে (পৃ. ৫১০-৫১১)।
৯। ইবনু হিব্বান বলেনঃ
وكان رجلا جدلا ظاهر الورع لم الحديث صناعته حدث بمئة وثلاثين حديثا مسانيد ما له حديث في الدنيا غيرها أخطأ منها في مئة وعشرين حديثا إما أن يكون أقلب إسناده أو غير متنه من حيث لا يعلم فلما غلب خطؤه على صوابه استحق ترك الاحتجاج به في الأخبار
"তিনি ছিলেন একজন তার্কিক, বাহ্যিকতায় ছিল পরহেজগারিতা, হাদীস তার কর্মের মধ্যে ছিল না। তিনি একশত ত্রিশটি মুসনাদ হাদীস বর্ণনা করেছেন। সেগুলো ছাড়া দুনিয়াতে তার আর কোন হাদীস নেই। যার মধ্যে একশত বিশটিতেই তিনি ভুল করেছেন। হয় সনদ উল্টিয়ে ফেলেছেন, না হয় তার অজান্তেই মতন (ভাষা) পরিবর্তন করে ফেলেছেন। অতএব যখন তার সঠিকের চেয়ে ভুলগুলোই বেশী, তখন হাদীসের ক্ষেত্রে তাকে গ্রহণ করার চেয়ে তাকে পরিত্যাগ করাই উপযোগী।"
১০। দারাকুতনী তার “সুনান” গ্রন্থে (পৃ. ১২৩) বলেনঃ আবু হানীফা (রহঃ) মূসা ইবনু আবী আয়েশা হতে ... [জাবের (রাঃ)]-এর এ হাদীসটি মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেনঃمن كان له إمام فقراءة الإمام له قراءة "যার ইমাম রয়েছে ইমামের কিরাআত তার (মুক্তাদির) জন্য যথেষ্ট। অথচ আবু হানীফা (রহঃ) এবং হাসান ইবনু আম্মারা ছাড়া অন্য কেউ এ হাদীসটিকে মুসনাদ হিসাবে বর্ণনা করেননি। আবু হানীফা (রহঃ) এবং হাসান ইবনু আম্মারা; তারা উভয়েই দুর্বল।
১১। হাকিম “মারিফাতু উল্মিল হাদীস” গ্রন্থে তাকে [আবু হানীফা (রহঃ)] তাবে তাবেঈন এবং তাদের পরবর্তীদের মধ্য হতে সেই সব বর্ণনাকারীদের দলে উল্লেখ করেছেন যাদের হাদীস দ্বারা সহীহার মধ্যে দলীল গ্রহণ করেননি। অতঃপর তার বক্তব্য (পৃ. ২৫৬) শেষ করেছেন নিম্নের ভাষায়ঃ
"যে সব ব্যক্তিদের উল্লেখ করেছি তারা বর্ণনার ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ। কিন্তু তাদেরকে নির্ভরযোগ্য হাফিযদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।"
১২। হাফিয আব্দুল হক ইশীলী "আল-আহকাম" গ্রন্থে (কাফ ১৭/২) খালেদ ইবনু আলকামা সূত্রে আব্দু খায়ের হতে উল্লেখ করেছেন, তিনি আলী (রাঃ) হতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওযু সম্পর্কে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি তার মাথা মাসাহ করেছেন একবার।" অতঃপর বলেছেনঃ অনুরূপভাবেই খালেদ হতে হাফিযগণ বর্ণনা করেছেন। অথচ আবু হানীফা (রহঃ) খালেদ হতে বর্ণনা করেছেন এ ভাষায়ঃ তিনি বলেনঃ তিনি তার মাথা মাসাহ করেছেন তিনবার।
لا يحتج بأبي حنيفة لضعفه في الحديثহানীফার (রহঃ) দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না, হাদিসের ক্ষেত্রে তিনি দুর্বল হওয়ার কারণে।
১৩। ইবনুল জাওয়ী তাকে তার "আয-যুয়াফা ওয়া মাতরূকীন" গ্রন্থে (৩/১৬৩) উল্লেখ করেছেন এবং তার দুর্বল হওয়ার বিষয়টি নাসাঈ এবং অন্যদের থেকে বর্ণনা করেছেন। সাওরী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। নাযর ইবনু শুমায়েল বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।
১৪। যাহাবী “দীওয়ানুয যুয়াফা” গ্রন্থে (কাফ ২১৫/১-২) বলেনঃ নুমান [ইমাম (রহঃ)] সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ তার অধিকাংশ বর্ণনাই ভুল। পড়তে এবং লিখতে ভুল করা হয়েছে। সেগুলোর সনদ এবং মতনে (ভাষায়) অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তবে তার কতিপয় সহীহ হাদীস রয়েছে। নাসাঈ বলেনঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে শক্তিশালী নন। তার বর্ণনা কম হওয়া সত্ত্বেও বেশী ভুল করেছেন। ইবনু মা'ঈন বলেনঃ তার হাদীস লিখা যাবে না। দেখুনঃ "আর-রাফউ ওয়াত তাকমীল" (পৃ. ১০২)।
ইবনু মাঈন হতুে আবু হানীফা (রহঃ) সম্পর্কে একাধিক মতামত এসেছে। একবার বলেছেনঃ তিনি নির্ভরশীল, আবার বলেছেনঃ তিনি দুর্বল, আবার বলেছেনঃ তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই, তিনি মিথ্যা বলেননি। আবার বলেছেনঃ আবু হানিফা আমাদের নিকট সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করা হয় নি।
এতে কোন সন্দেহ নেই আবু হানীফা (রহ:) সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তার হাদীস গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য তা যথেষ্ট নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত তার সাথে আয়ত্ব ও স্মৃতি শক্তির সংযোগ না ঘটবে। কিন্তু তা তার ক্ষেত্রে সাব্যস্ত হয়নি বরং উল্লেখিত ইমামগণের সাক্ষ্য দ্বারা উল্টাটি সাব্যস্ত হয়েছে। তারা এমন এক জামা'আত যাদের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং বক্তব্যের অনুসরণ কারার কারণে কেউ পথভ্রষ্ট হয় না। আর তার সম্পর্কে তাদের উক্ত সাক্ষ্য ও উক্তি ইমাম সাহেবের দীনদারী, সংযমশীলতা ও ফিকহের ক্ষেত্রে মানহানিকরও নয়। যেমনটি তার পরবর্তী কিছু অন্ধভক্ত ধারণা করে থাকে। বহু ফাকীহ, কাযী ও নেককার সম্পর্কেই হাদীস শাস্ত্রের ইমামগণ তাদের মুখস্থ এবং আয়ত্ব শক্তিতে ক্রটি থাকার কারণে সমালোচনা করেছেন। তথাপিও তা তাদের দীন ও ন্যায়পরায়নতার ক্ষেত্রে ক্রটিযুক্ত করেছে বলে ধরা হয় না। যেমন সুলায়মান আল-ফাকীহ, শুরায়েক ইবনু আবদিল্লাহ আল-কাযী এবং আব্বাদ ইবনু কাসীর ও আরো অনেকে। এমনকি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ কাত্তান বলেনঃ 'আমরা সালেহীনদের (সৎ কর্মশীলদের) চেয়ে হাদীসের ক্ষেত্রে বেশী মিথ্যুক দেখি না। এটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম তার সহীহার মুকাদ্দিমাতে (১/১৩), অতঃপর এর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ তাদের মুখে মিথ্যা প্রবাহিত হয়েছে, অথচ তার ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেননি।
তিনি (ইমাম মুসলিম) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ আমি সুফিয়ান সাওরীকে বললামঃ আব্বাদ ইবনু কাসীরের সততা ও পরহেজগারিতার অবস্থা সম্পর্কে আপনি জানেন। কিন্তু তিনি যখনই হাদীস বর্ণনা করেছেন, মহা সমস্যা নিয়ে এসেছেন। অতঃপর আপনি মতামত দিয়েছেন যে, আমি যেন লোকদেরকে বলি তোমরা তার থেকে গ্রহণ করো না? সুফিয়ান বললেনঃ হ্যাঁ। আব্দুল্লাহ বললেনঃ আমি যখন কোন মজলিসে থাকতাম এবং সেখানে আব্বাদ সম্পর্কে আলোচনা হতো, তখন তার ধাৰ্মিকতার বিষয়ে প্রশংসা করতাম এবং বলতাম তার থেকে তোমরা গ্রহণ করো না।
আমি (আলাবনী) বলছিঃ এটিই হচ্ছে হক ও ইনসাফ ভিত্তিক কথা। এর উপরই আসমান ও যমীন প্রতিষ্ঠিত। ফিকহের পাণ্ডিত্য এক জিনিস আর হাদীস বহন ও তার হেফয করা হচ্ছে অন্য জিনিস। প্রতিটি বিষয়ের জন্যেই রয়েছে বিশেষ বিশেষ পণ্ডিতগণ। কোন সন্দেহ নেই ফিকহের বিদ্যায় এবং তার বুঝের ক্ষেত্রে তার (আবু হানীফার) মর্যাদা সুউচ্চ। এ কারণেই ইমাম শাফে'ঈ বলেছেনঃ ফিকহের ক্ষেত্রে মানুষ আবু হানীফার মুখাপেক্ষী। তবে তার কোন কোন গোড়া ভক্তদের আল্লাহকে ভয় করা উচিত। যারা ইমাম দারাকুতনীকে আক্রমণ করে থাকেন, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) সম্পর্কে হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল এ কথা বলার কারণে। কারণ তিনি এরূপ মন্তব্যকারী একা নন। তার সাথে রয়েছেন বড় বড় বিজ্ঞ মুহাদ্দিসগণও যেমনভাবে আপনারা জেনেছেন।
আলোচ্য হাদীসটি ইবনুল জাওয়ী তার “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে (৩/১২৭) প্রথম সূত্রে উল্লেখ করে বলেছেন, দারাকুতনী বলেনঃ হাদীসটি বাতিল, এটির কোন ভিত্তি নেই। আবু কুরয হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনু কুরয; তিনি মাতরূক। সুয়ুতী “আল লাআলী” গ্রন্থে (২/১৮৯) তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। সম্ভবত সহীহ্ হাদীসের সাথে এ হাদীসটির বিরোধ হওয়ার কারণে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "আহলে কিতাবদ্বয়ের দিয়াত মুসলিমদের দিয়াতের অর্ধেক, তারা হচ্ছে ইয়াহুদ ও নাসারা। এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (নং ৬৬৯২-৫৭১৬), ইবনু আবী শায়বা "আল মুসান্নাফ" গ্রন্থে (১১/২৬/২) এবং সুনানের রচয়িতাগণ বর্ণনা করেছেন। দারাকুতনী এবং বাইহাকীও বর্ণনা করেছেন। হাদীসটিকে তিরমিযী হাসান আখ্যা দিয়েছেন এবং ইবনু খুযায়মা বলেছেনঃ সহীহ; যেমনিভাবে হাফিয ইবনু হাজার "বুলুগুল মারাম" গ্রন্থে (৩/৩৪২-সুবুলুস সলাম সহ) বলেছেন। আমার নিকটেও এ হাদীসটির সনদ হাসান। আর এ কারণেই সুয়ুতীর উচিত ছিল আলোচ্য হাদীসটিকে "জামেউস সাগীর" গ্রন্থে উল্লেখ না করা।
আবু দাউদেও এরূপ হাদীস এসেছে। যার শাহেদও ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীস হতে “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (১/১৮৮/১) এসেছে। আমি আলোচ্য হাদীসের বিপরীতে এ হাসান হাদীসটির “ইরওয়াউল গালীল” গ্রন্থে (২২৫১) তাখরীজ করেছি।
دية ذمي دية مسلم
منكر
-
أخرجه الطبراني في " الأوسط " (1 / 45 ـ 46 / 780) والدارقطني في " سننه " (ص 343، 349) والبيهقي (8 / 102) من طريق أبي كرز القرشي عن نافع عن ابن عمر مرفوعا، وضعفه الدارقطني بقوله: لم يرفعه عن نافع غير أبي كرز وهو متروك، واسمه عبد الله بن عبد الملك الفهري، وذكر الذهبي في ترجمته من " الميزان " أن هذا الحديث من أنكر ما له، ثم رواه الدارقطني من حديث أسامة بن زيد، وأعله بأن فيه عثمان بن عبد الرحمن الوقاصي متروك الحديث
قلت: بل هو متهم، وقد تقدم له غير ما حديث، ثم رواه البيهقي من حديث ابن عباس، وأعله بأن فيه الحسن بن عمارة قال: وهو متروك لا يحتج به
ومن طريق أخرى عنه، وفيه أبو سعد البقال، قال البيهقي
لا يحتج به، وقال الزيلعي (4 / 336) : فيه لين
ورواه الرافقي في حديثه (19 / 2) عن أبي هريرة، وفيه بركة بن محمد الأنصاري وهو الحلبي وليس فيه بركة، قال الدارقطني: كان يضع الحديث
ثم رواه البيهقي من حديث الزهري مرسلا، وقال: رده الشافعي بكونه مرسلا، وبأن الزهري قبيح المرسل
قال الشوكاني (7 / 55) مبينا وجه ذلك: لأنه حافظ كبير لا يرسل إلا لعلة
ورواه الإمام محمد في " كتاب الآثار " (ص 104) قال: أخبرنا أبو حنيفة عن الهيثم مرفوعا
قلت: وهذا معضل، فإن الهيثم هذا هو ابن حبيب الصيرفي الكوفي وهو من أتباع التابعين، روى عن عكرمة وعاصم بن ضمرة، وأبي حنيفة
وتوضيحا لذلك أقول: وأبو حنيفة ضعفوا حديثه كما سبق بيانه عند الحديث (397)
وتوضيحا لذلك أقول: ذكرت هناك أن الإمام رحمه الله قد ضعفه من جهة حفظه
البخاري، ومسلم، والنسائي، وابن عدي وغيرهم من أئمة الحديث، فأذكر هنا نصوص الأئمة المشار إليهم وغيرهم ممن صح ذلك عنهم، ليكون القاريء على بينة من الأمر، ولا يظن أحد منهم أن فيما ذكرنا هناك ما يمكن أن يدعي مدع أنه اجتهاد منا، وإنما هو الاتباع لأهل العلم والمعرفة والاختصاص، والله عز وجل يقول: (فاسألوا أهل الذكر إن كنتم لا تعلمون) ، ويقول: (فاسأل به خبيرا)
1 - قال الإمام البخاري في " التاريخ الكبير " (4 / 2 / 81) : سكتوا عنه
2 - وقال الإمام مسلم في " الكنى والأسماء " (ق 31 / 1) : مضطرب الحديث ليس له كبير حديث صحيح
3 - وقال النسائي في آخر " كتاب الضعفاء والمتروكين " (ص 57) : ليس بالقوي في الحديث، وهو كثير الغلط على قلة روايته
4 - وقال ابن عدي في " الكامل " (403 / 2) : له أحاديث صالحة، وعامة ما يرويه غلط وتصاحيف وزيادات في أسانيدها ومتونها، وتصاحيف في الرجال، وعامة ما يرويه كذلك، ولم يصح له في جميع ما يرويه، إلا بضعة عشر حديثا، وقد روى من الحديث لعله أرجح من ثلاثمائة حديث، من مشاهير وغرائب، وكله على هذه الصورة، لأنه ليس هو من أهل الحديث، ولا يحمل عمن يكون هذه صورته في الحديث
5 - قال ابن سعد في " الطبقات " (6 / 256) : كان ضعيفا في الحديث
6 - وقال العقيلي في " الضعفاء " (ص 432) : حدثنا عبد الله بن أحمد قال
سمعت أبي يقول: حديث أبي حنيفة ضعيف
7 - وقال ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " (4 / 1 / 450) : حدثنا حجاج ابن حمزة قال: أنبأنا عبدان بن عثمان قال: سمعت ابن المبارك يقول: كان أبو حنيفة مسكينا في الحديث
8 - وقال أبو حفص بن شاهين: وأبو حنيفة، فقد كان في الفقه ما لا يدفع من علمه فيه، ولم يكن في الحديث بالمرضي، لأنه للأسانيد نقادا، فإذا لم يعرف الإسناد ما يكتب وما كذب نسب إلى الضعف
كذا في فوائد ثبتت في آخر نسخة " تاريخ جرجان " (ص 510 - 511)
9 - قال ابن حبان: وكان رجلا جدلا ظاهر الورع لم الحديث صناعته حدث بمئة وثلاثين حديثا مسانيد ما له حديث في الدنيا غيرها أخطأ منها في مئة وعشرين حديثا إما أن يكون أقلب إسناده أو غير متنه من حيث لا يعلم فلما غلب خطؤه على صوابه استحق ترك الاحتجاج به في الأخبار
10 - وقال الدارقطني في " سننه " وقد ساق عن أبي حنيفة عن موسى بن أبي عائشة عن عبد الله بن شداد عن جابر مرفوعا: " من كان له إمام فقراءة الإمام له قراءة "، فقال الدارقطني عقبه (ص 123) : لم يسنده عن موسى بن أبي عائشة غير أبي حنيفة، والحسن بن عمارة، وهما ضعيفان
11 - وأورده الحاكم في " معرفة علوم الحديث " في جماعة من الرواة من أتباع التابعين فمن بعدهم، لم يحتج بحديثهم في الصحيح، وختم ذلك بقوله (ص 256)
فجميع من ذكرناهم، قوم قد اشتهروا بالرواية، ولم يعدوا في طبقة الأثبات المتقنين الحفاظ
12 - وذكر الحافظ عبد الحق الأشبيلي في " الأحكام " (ق 17 / 2) حديث خالد بن علقمة عن عبد خير عن على في وضوئه صلى الله عليه وسلم: فمسح برأسه مرة، وقال عقبه: كذا رواه الحفاظ الثقات عن خالد، ورواه أبو حنيفة عن خالد فقال: ومسح رأسه ثلاثا
ولا يحتج بأبي حنيفة لضعفه في الحديث
13 - وأورده ابن الجوزي في كتابه " الضعفاء والمتروكين " (3 / 163) ونقل تضعيف النسائي وغيره ممن تقدم ذكره وعن الثوري أنه قال: ليس بثقة وعن النضر ابن شميل: متروك الحديث
14 - قال الذهبي في " ديوان الضعفاء " (ق 215 / 1 - 2) : النعمان الإمام رحمه الله، قال ابن عدي: عامة ما يرويه غلط وتصحيف وزيادات، وله أحاديث صالحة، وقال النسائي: ليس بالقوي في الحديث كثير الغلط والخطأ على قلة روايته، وقال ابن معين: لا يكتب حديثه
وهذا النقل عن ابن معين معناه عنده أن أبا حنيفة من جملة الضعفاء، وهو يبين لنا أن توثيق ابن معين للإمام أبي حنيفة الذي ذكره الحافظ في " التهذيب " ليس قولا واحدا له فيه، والحقيقة أن رأى ابن معين كان مضطربا في الإمام، فهو
تارة يوثقه، وتارة يضعفه كما في هذا النقل، وتارة يقول فيما يرويه ابن محرز عنه في " معرفة الرجال " (1 / 6 / 1) : كان أبو حنيفة لا بأس به، وكان لا يكذب، وقال مرة أخرى: أبو حنيفة عندنا من أهل الصدق، ولم يتهم بالكذب
ومما لا شك فيه عندنا أن أبا حنيفة من أهل الصدق، ولكن ذلك لا يكفي ليحتج بحديثه حتى ينضم إليه الضبط والحفظ، وذلك مما لم يثبت في حقه رحمه الله، بل ثبت فيه العكس بشهادة من ذكرنا من الأئمة، وهم القوم لا يضل من أخذ بشهادتهم واتبع أقوالهم، ولا يمس ذلك من قريب ولا من بعيد مقام أبي حنيفة رحمه الله في دينه وورعه وفقهه، خلافا لظن بعض المتعصبين له من المتأخرين فكم من فقيه وقاض وصالح تكلم فيهم أئمة الحديث من قبل حفظهم، وسوء ضبطهم، ومع ذلك لم يعتبر ذلك طعنا في دينهم وعدالتهم، كما لا يخفى ذلك على المشتغلين بتراجم الرواة، وذلك مثل محمد بن عبد الرحمن بن أبي ليلى القاضي وحماد بن أبي سليمان الفقيه وشريك بن عبد الله القاضي وعباد بن كثير وغيرهم، حتى قال يحيى بن سعيد القطان: لم نر الصالحين في شيء أكذب منهم في الحديث، رواه مسلم في مقدمة صحيحه (1 / 13) وقال في تفسيره: يقول يجري الكذب على لسانهم، ولا يتعمدون الكذب، وروى أيضا عن عبد الله بن المبارك قال: قلت لسفيان الثوري: إن عباد بن كثير من تعرف حاله (يعني في الصلاح والتقوى) وإذا حدث جاء بأمر عظيم، فترى أن أقول للناس: لا تأخذوا عنه؟ قال: سفيان: بلى، قال عبد الله: فكنت إذا كنت في مجلس ذكر فيه عباد أثنيت عليه في دينه، وأقول: لا تأخذوا عنه
قلت: فهذا هو الحق والعدل وبه قامت السماوات والأرض، فالصلاح والفقه شيء وحمل الحديث وحفظه وضبطه شيء آخر، ولكل رجاله وأهله، فلا ضير على أبي حنيفة رحمه الله أن لا يكون حافظا ضابطا، ما دام أنه صدوق في نفسه، أضف إلى ذلك جلالة قدره في الفقه والفهم، فليتق الله بعض المتعصبين له ممن يطعن في مثل الإمام الدارقطني لقوله في أبي حنيفة ضعيف في الحديث
ويزعم أنه ما قال ذلك إلا تعصبا على أبي حنيفة، ولم يدر البعض المشار إليه أن مع الدارقطني أئمة الحديث الكبار مثل الشيخين وأحمد وغيرهم ممن سبق ذكرهم أفكل هؤلاء متعصبون ضد أبي حنيفة؟ ! تالله إن شخصا يقبل مثل هذه التهمة توجه إلى مثل هؤلاء، لأيسر عليه وأقرب إلى الحق أن يعكس ذلك فيقول: صدوق هؤلاء فيما قالوه في الإمام أبي حنيفة، ولا ضير عليه في ذلك، فغايته أن لا يكون محدثا ضابطا، وحسبه ما أعطاه الله من العلم والفهم الدقيق حتى قال الإمام الشافعي: الناس عيال في الفقه على أبي حنيفة، ولذلك ختم الحافظ الذهبي ترجمة الإمام في " سير النبلاء " (5 / 288 / 1) بقوله وبه نختم
قلت: الإمامة في الفقه ودقائقه مسلمة إلى هذا الإمام، وهذا أمر لا شك فيه
وليس يصح في الأذهان شيء * إذا احتاج النهار إلى دليل "
ثم إن الحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 127) من الطريق الأولى، وقال: قال الدارقطني: باطل لا أصل له، وأبو كرز عبد الله بن كرز متروك، وأقره السيوطي في " اللآليء " (2 / 189) وزاد عليه، فذكر ما سبق نقله عن الذهبي وأنه أخرجه الطبراني في " الأوسط " يعني من الطريق المذكور
وهذا شيء غير معهو د من السيوطي فإن عادته أن يتعقب ابن الجوزي في مثل هذا الحديث، الذي له ما سبق ذكره من الشواهد! ولعله إنما أمسك عن ذكرها لأنها مع ضعفها تعارض الحديث الثابت، وهو قوله صلى الله عليه وسلم
" إن عقل أهل الكتابين نصف عقل المسلمين "، وهم اليهود والنصارى
أخرجه أحمد (رقم 6692، 5716) وابن أبي شيبة في " المصنف " (11 /26 / 2) وأصحاب " السنن " والدارقطني والبيهقي من طريق عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده وحسنه الترمذي (1 / 312) وصححه ابن خزيمة كما قال الحافظ في " بلوغ المرام " (3 / 342 بشرح سبل السلام) وهو حسن الإسناد عندي، وعلى هذا فكان على السيوطي أن لا يورد الحديث في " الجامع الصغير " لمعارضته لهذا الحديث الثابت، ولفظه عند أبي داود: كانت قيمة الدية على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم ثمانمائة دينار: ثمانية آلاف درهم، ودية أهل الكتاب يومئذ النصف من دية المسلمين، وله شاهد من حديث ابن عمر في " المعجم الأوسط " (1 / 188 / 1)
وقد خرجته في " الإرواء " (2251)
ومن أراد تحقيق القول في هذا الحديث من الناحية الفقهية فليراجع " سبل السلام " للصنعاني "، و" نيل الأو طار " للشوكاني
৪৫৯ (ঈদুল) ফিতর এবং যুহার (কুরবানী) দিন বাদ দিয়ে নূহ (আঃ) সারা বছর ধরে সওম পালন করেছেন।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি ইবনু মাজাহ (১/৫২৪) ইবনু লাহী'য়াহ সূত্রে জাফার ইবনু রাবীয়াহ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
বুসয়র “আয-যাওয়াইদ” গ্রন্থে (কাফ ১০৮/২) বলেনঃ ইবনু লাহীয়াহ দুর্বল হওয়ার কারণে সনদটি দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদের অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
মুনযেরী “আত-তারগীব” গ্রন্থে (২/৮২) আবু ফারাসকে চেনা যায় না হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তা ঠিক নয়, কারণ তার নাম হচ্ছে ইয়াযীদ ইবনু রাবাহ আস-সাহমী মিসরী। আজালী তাকে “আস-সিকাত” গ্রন্থে (নং ১৫৭২) উল্লেখ করেছেন। তিনি তাবেঈ নির্ভরযোগ্য। তিনি ইমাম মুসলিমের বর্ণনাকারী।
এছাড়া যদি হাদীসটি সহীহও হয়; তবুও তার উপর আমল করা জায়েয হবে না। কারণ এটি ছিল আমাদের পূর্ববর্তীদের শারীয়াতে। সেটি আমাদের শারীয়াত নয়। কারণ আমাদেরকে সিয়ামুদ দাহার হতে নিষেধ করা হয়েছে, যা নাসাঈ (১/৩২৪) সহীহ্ সনদে বর্ণনা করেছেন।
صام نوح عليه الصلاة والسلام الدهر إلا يوم الفطر ويوم الأضحى
ضعيف
-
أخرجه ابن ماجه (1 / 524) من طريق ابن لهيعة عن جعفر بن ربيعة عن أبي فراس أنه سمع عبد الله بن عمر يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ... فذكره
قال البوصيري في " الزوائد " (ق 108 / 2) : هذا إسناد ضعيف لضعف ابن لهيعة قلت: وبقية رجال الإسناد ثقات، وأبو فراس اسمه يزيد بن رباح السهمي المصري قال العجلي في " الثقات " (رقم 1572 - نسختي) : مصري (الأصل: بصري) تابعي ثقة، وهو من رجال مسلم، وقد خفي هذا على المنذري في " الترغيب " (2 / 82) ثم الهيثمي في " المجمع " (3 / 195) فقالا: إنه لا يعرف، وبه أعلا الحديث وقد أورداه بزيادة من رواية الطبراني في " الكبير "، وإنما علته ابن لهيعة كما سبق، ثم إن الحديث لوصح لم يجز العمل به لأنه من شريعة من قبلنا، وهي ليست شريعة لنا على ما هو الراجح عندنا، ولا سيما وقد ثبت النهى عن صيام الدهر في غير ما حديث عنه صلى الله عليه وسلم حتى قال صلى الله عليه وسلم في رجل يصوم الدهر: وددت أنه لم يطعم الدهر
رواه النسائي (1 / 324) ، بسند صحيح
পরিচ্ছেদঃ
৪৬০। যে তার যিম্মাদারিত্ব পূর্ণ করে তাদের মধ্যে আমি উত্তম। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাটি সেই সময়ে বলেছিলেন যখন তিনি যিম্মীদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করার দায়ে এক মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যার নির্দেশ দেন।
হাদীসটি মুনকার।
এটি ইবনু আবী শায়বা (১১/২৭/১), আব্দুর রাযযাক (১৮৫১৪), আবু দাউদ "আল-মারাসীল" গ্রন্থে (২০৭/২৫০), তাহাবী (২/১১১), দারাকুতনী (পৃ. ৩৪৫) ও বাইহাকী (৮/২০-২১) রাবীয়াহ ইবনু আবী আবদির রহমান সূত্রে আব্দুর রহমান ইবনু বায়লামানী হতে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম তাহাবী মুরসাল বলে এটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন। দারাকুতনী এবং বাইহাকী এটিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত আম্মার ইবনু মাতার সূত্রে পৌছিয়েছেন। যার সনদে ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ আসলামী এবং ইবনু বায়লামানী রয়েছেন। দারাকুতনী বলেনঃ এটিকে ইবরাহীম ছাড়া অন্য কেউ মুসনাদ হিসাবে বর্ণনা করেননি। তিনি মাতরূকুল হাদীস। সঠিক হচ্ছে রাবীয়াহ ইবনুল বায়লামানীর মধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইবনুল বায়লামান দুর্বল। যখন তিনি মওসুল হিসাবে বর্ণনা করেন, তখন তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। অতএব কীভাবে তার মুরসালকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করা যায়?
হাফিয ইবনু হাজার তার এ কথাকে "ফাতহুল বারী" গ্রন্থে (১২/২২১) সমর্থন করেছেন। বাইহাকী সালেহ ইবনু মুহাম্মাদের উদ্ধৃতিতে বলেনঃ হাদীসটি মুরসাল মুনকার।
আমি (আলবানী) বলছিঃ অন্য দুটি সূত্রে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ
১। একটির সনদে ইয়াহইয়া ইবনু সলাম রয়েছেন। তিনি তার শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবী হুমায়েদ হতে ... বর্ণনা করেছেন। এটি তাহাবী বর্ণনা করেছেন। এটি মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও নিতান্তই দুর্বল। ইয়াহইয়াকে দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন আর মুহাম্মাদ ইবনু আবী হুমায়েদ নিতান্তই দুর্বল। বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
২। এ সনদটিতে আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াকুব রয়েছেন। তিনি তার শাইখ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দিল আযীয ইবনে সালেহ হাযরামী হতে ... বর্ণনা করেছেন। এটি আবু দাউদ তার “আল-মারাসীল” গ্রন্থে (২০৮/২৫১) বর্ণনা করেছেন। যায়লাঈ “নাসবুর রায়া” গ্রন্থে (৪/৩৩৬) বলেন, ইবনুল কাত্তান তার কিতাবে বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াকুব এবং আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দিল আযীয তারা উভয়েই মাজহুল। তাদের দু'জনের জীবনী পাচ্ছি না। অতঃপর তিনি (যায়লাঈ) তা স্বীকার করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সূত্রগুলো খুবই দুর্বল। এসব দ্বারা আলোচ্য হাদীসটি শক্তিশালী হয় না। এছাড়া সহীহ হাদীস তার বিপরীতে থাকার কারণে হাদীসটির দুর্বলতাকে আরো বৃদ্ধি করছে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃلا يقتل مسلم بكافر “কাফিরকে হত্যার দায়ে কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না।’ হাদীসটি বুখারী (১২/২২০) ও অন্যরা আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। এটিই হচ্ছে জামহুরে ওলামার মত। কিন্তু হানাকী আলেমগণ সহীহ হাদীস বাদ দিয়ে আলোচ্য দুর্বল ও মুনকার হাদীসটি গ্রহণ করেছেন। অবশ্য তাদের কেউ কেউ সহীহ হাদীসের দিকে ফিরে এসে ইনসাফ করেছেন। যেমন বাইহাকী এবং খাতীব বাগদাদীর "আল-ফাকীহ" গ্রন্থের (২/৫৭) মধ্যে এসেছে আব্দুল ওয়াহেদ ইবনু যিয়াদের সাথে আলোচনার পর ইমাম যুফার প্রত্যাবর্তন করেন। আবু ওবায়দাও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এটির সনদটি সহীহ যেমনভাবে হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন।
উসতাদ মওদূদী তার “হুকুকুল আম্মা লি আহলিয যিম্মা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ
১। “যিম্মীর দিয়াত হচ্ছে মুসলিমের দিয়াত।” এ হাদীসটির অবস্থা সম্পর্কে ৪৫৮ নং হাদীসের মধ্যে অবহিত হয়েছেন।
২। “যিম্মীর খুন মুসলিম ব্যক্তির খুনের ন্যায়। যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি কোন যিম্মীকে হত্যা করে, তাহলে তার থেকে তার জন্য কিসাস নেয়া হবে, যেমনভাবে কোন মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে কিসাস নেয়া হতো।” এ হাদীসটি দারাকুতনীর বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। যেটির সনদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। দারাকুতনী নিজেই এটিকে দুর্বল বলেছেন। অতঃপর তিনি কতিপয় আসার তিন খালীফা হতে বর্ণনা করেছেন; উমার, উসমান ও আলী (রাঃ) থেকে।
উমার (রাঃ) হতে ইব্রাহীম নাখ'ঈর বর্ণনায় একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে যে, বানু বাকরের এক ব্যক্তি কর্তৃক এক যিম্মীকে হত্যার দায়ে কাতিলকে উমার (রাঃ) মাকতুলের অভিভাবকদের নিকট তুলে দিতে বলেছিলেন এবং তাই করা হয়েছিল। অতঃপর তারা তাকে হত্যা করে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদটি সহীহ নয়। কারণ ইবরাহীম নাখ'ঈ উমার (রাঃ)-এর যুগকে পাননি। এটি আব্দুর রাযযাক তার "আল-মুসান্নাফ" গ্রন্থে সংক্ষেপে (১০/১০১/১৮৫১৫) এবং বাইহাকী “আল-মারিফাত” গ্রন্থে পূরোটাই বর্ণনা করেছেন, যেমনভাবে “নাসবুর রায়া” গ্রন্থে (৪/৩৩৭) এসেছে। বাইহাকীর সনদে আবু হানীফা (রহঃ) রয়েছেন। তার অবস্থা সম্পর্কে আপনারা একটি হাদীস পূর্বে অবহিত হয়েছেন।
এটি মওসূল হিসাবে অন্য সূত্র হতে এসেছে। তবে ভাষায় কিছু বেশী আছে যা দলীল গ্রহণ করাকে নষ্ট করে দেয়, যদি সেটি সহীহ্ হত। কারণ তাতে বলা হয়েছেঃ উমার (রাঃ) দিয়াত দিতে বলেছেন। হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। এটি তাহাবী (২/১১২) বর্ণনা করেছেন। উসমান (রাঃ)-এর আসার দীর্ঘ ঘটনার সার সংক্ষেপ হচ্ছে এই যে, উমার (রাঃ)-কে হত্যাকারী আবু লুলুওয়াকে হত্যার জন্য তাঁর ছেলে ওবায়দুল্লাহ আবু লুলুওয়ার ছোট মেয়ের নিকট যান। সে ছিল ইসলামের দাবীদার। অতঃপর তিনি তাকে হত্যা করেন এবং তার সাথে হুরমুযান ও যুফায়নাকে (সে নাসরানী ছিল) হত্যা করেন। ঘটনা উসমান (রাঃ)-এর নিকট পৌঁছলে তিনি এ বিষয়ে সকলের সাথে পরামর্শ করেন। যাতে তারা সকলে তাকে কিসাস হিসাবে হত্যার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু লোকদের মাঝে বেশী হট্টগোল দেখা দিলে, তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। যার ফলে দু’ব্যক্তি এবং এক মেয়ের দিয়াত দেয়া হয়।
এটি তাহাবী “শারহু মায়ানীল আসার” গ্রন্থে (২/১১১) সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব হতে বর্ণনা করেছেন। যার সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ রয়েছেন। তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু ইবনু সা'দ “আত-তাবাকাত” গ্রন্থে (৩/১/২৫৬-২৫৮) অন্য সূত্রে সহীহ সনদে সাঈদ হতে বর্ণনা করেছেন। যার বাহ্যিকতা প্রমাণ করছে যে, এটি মুরসাল। কারণ উমার (রাঃ) কে হত্যা করার সময় সে (সাঈদ) ছিল ছোট। তার বয়স তখন নয় বছরেরও কম। যার বয়স এত কম সে কীভাবে এরূপ সংবাদ শিক্ষা নিতে পারে? যাই হোক যিম্মী হত্যার দায়ে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঘটনাটি এমন নয়। কারণ তিনি যুফায়না নাসরানীর সাথে আরো দু’জন মুসলিমকে হত্যা করেন। আবু লুলুয়ার মেয়ে এবং হুরমুযানকে। হুরমুযান ছিল একজন মুসলিম, যেমনভাবে বাইহাকীর বর্ণনায় এসেছে। অতএব তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল দু’জন মুসলিমকে হত্যার জন্যে। সেই নাসরানীকে হত্যার দায়ে নয়।
আলী (রাঃ) হতে যে আসারটি এসেছে; সেটি উমার (রাঃ)-এর আসারের ন্যায়। তাতে মাকতুলের [নিহতের] ভাই হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন...। এটির সনদটি দুর্বল। যায়লাঈ (৪/৩৩৭) এবং অন্যরা এটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তার আসারটির সমস্যায় বলেছেনঃ তাতে হুসাইন ইবনু মায়মুন রয়েছেন। তার সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে শক্তশালী নন। বুখারী তাকে দুর্বলদের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। এটির সনদে আরো রয়েছেন কায়স ইবনু রাবী', তিনিও দুর্বল। তার পরেও এটি সহীহ হাদীস বিরোধী, যেটি পূর্বে আলোচিত হয়েছে।
أنا أولى من وفى بذمته " قاله صلى الله عليه وسلم حين أمر بقتل مسلم كان قتل رجلا من أهل الذمة
منكر
-
أخرجه ابن أبي شيبة (11 / 27 / 1) وعبد الرزاق (18514) وأبو داود في المراسيل (207 / 250) والطحاوي (2 / 111) والدارقطني (ص 345) والبيهقي (8 / 20 - 21) من طريق ربيعة بن أبي عبد الرحمن عن عبد الرحمن بن البيلماني أن النبي صلى الله عليه وسلم أتي برجل من المسلمين قد قتل معاهدا من أهل الذمة فأمر به فضرب عنقه وقال ... فذكره، وأعله الطحاوي بالإرسال، وقد وصله الدارقطني والبيهقي من طريق عمار بن مطر، أنبأنا إبراهيم بن محمد الأسلمي عن ربيعة بن أبي عبد الرحمن عن ابن البيلماني عن ابن عمر به، وقال الدارقطني: لم يسنده غير إبراهيم بن أبي يحيى وهو متروك الحديث، والصواب عن ربيعة عن ابن البيلماني مرسل عن النبي صلى الله عليه وسلم وابن البيلماني ضعيف لا تقوم به حجة إذا وصل الحديث فكيف بما يرسله؟
وأقره الحافظ في " الفتح " (12 / 221) ، ونقل البيهقي عن الإمام صالح بن محمد الحافظ أنه قال: هو مرسل منكر
قلت: وروى من وجهين آخرين مرسلين
الأول: عن يحيى بن سلام عن محمد بن أبي حميد عن محمد بن المنكدر عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله، أخرجه الطحاوي
وهذا مع إرساله ضعيف جدا، يحيى بن سلام ضعفه الدارقطني، ومحمد بن أبي حميد ضعيف جدا، قال البخاري: منكر الحديث، وقال النسائي: ليس بثقة
الآخر: عن عبد الله بن يعقوب حدثنا عبد الله بن عبد العزيز بن صالح الحضرمي عنه صلى الله عليه وسلم نحوه
أخرجه أبو داود في " المراسيل " (208 / 251) قال الزيلعي في " نصب الراية " (4 / 336)
وقال ابن القطان في كتابه: وعبد الله بن يعقوب وعبد الله بن عبد العزيز مجهولان ولم أجد لهما ذكرا
وأقره الزيلعي
قلت: فهذه طرق شديدة الضعف لا يتقوى بها الحديث، ويزيده ضعفا أنه معارض للحديث الصحيح وهو قوله صلى الله عليه وسلم: لا يقتل مسلم بكافر
أخرجه البخاري (12 / 220) وغيره عن علي رضي الله عنه وهو مخرج في الإرواء (2209) ، وبه أخذ جمهو ر الأئمة، وأما الحنفية فأخذوا بالأول على ضعفه ومعارضته للحديث الصحيح! وقد أنصف بعضهم فرجع إلى الحديث الصحيح فروى البيهقي والخطيب في " الفقيه " (2 / 57) عن عبد الواحد بن زياد قال: لقيت زفر فقلت له صرتم حديثا في الناس وضحكة! قال: وما ذلك؟ قال: قلت
تقولون في الأشياء كلها: ادرءوا الحدود بالشبهات، وجئتم إلى أعظم الحدود فقلتم: تقام بالشبهات! قال: وما ذلك؟ قلت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " لا يقتل مؤمن بكافر "، فقلتم: يقتل به! قال: فإنى أشهدك الساعة أني قد رجعت عنه، ورواه أبو عبيد بنحوه، وسنده صحيح كما قال الحافظ
ثم وقفت بعد ذلك على فصل للأستاذ المودودي في " الحقوق العامة لأهل الذمة " في كتابه " نظرية الإسلام وهديه "، لفت انتباهي فيه مسألتان
الأولى: قوله: إن دية الذمى دية المسلم، وقد سبق بيان ما فيه عند الكلام على الحديث (458) : والأخرى قوله (ص 341)
دم الذمي كدم المسلم، فإن قتل مسلم أحدا من أهل الذمة اقتص منه له كما لو قتل مسلما، ثم ذكر هذا الحديث من رواية الدارقطني محتجا به، وقد عرفت من تخريجنا للحديث أن الدارقطني رحمه الله لما خرجه عقبه ببيان ضعفه، فالظاهر أن الأستاذ لم يقف على هذا التضعيف، وإنما رأى بعض فقهاء الحنفية الذين لا معرفة عندهم بالتخريج عزى هذا الحديث إلى الدارقطني ولم يذكر معه تضعيفه، فظن الأستاذ أن الدارقطني سكت عنه، ولولا ذلك لما سكت عنه الأستاذ ولأتبعه بنقل التضعيف كما تقتضيه الأمانة العلمية، ثم إن الأستاذ أتبع الحديث ببعض الآثار عن الخلفاء الثلاثة: عمر وعثمان وعلى رضي الله عنهم، استدل بها أيضا على قوله المذكور، فرأيت الكلام عليها بما يقتضيه علم الحديث حتى يكون المسلم على بينة من الأمر، أما أثر عمر فخلاصته أن رجلا من بني بكر بن وائل قتل رجلا من أهل الذمة، فأمر عمر بتسليم القاتل إلى أولياء المقتول، فسلم إليهم فقتلوه
قلت: فهذا لا يصح إسناده لأنه من رواية إبراهيم وهو النخعي أن رجلا.. هكذا رواه عبد الرزاق في " مصنفه " (10 / 101 / 18515) مختصرا ورواه البيهقي في " المعرفة " بتمامه كما في " نصب الراية " للزيلعي (4 / 337) ، وإبراهيم لم يدرك زمان عمر وفي إسناد البيهقي أبو حنيفة وقد عرفت ما قيل فيه قبل حديث، على أنه قد جاء موصولا من طريق أخرى فيها زيادة في آخره تفسد الاستدلال به لوصح، وهي: فكتب عمر: أن يودى ولا يقتل
رواه الطحاوى (2 / 112) عن النزال بن سبرة قال: قتل رجل من المسلمين رجلا من الكفار
أما أثر عثمان ففيه قصة طويلة، خلاصتها أن أبا لؤلؤة لعنه الله لما قتل عمر رضي الله عنه، ذهب ابنه عبيد الله إلى ابنة لأبي لؤلؤة صغيرة تدعي الإسلام، فقتلها وقتل معها الهرمزان وجفينة وكان نصرانيا، فعل ذلك لظنه أنهم تمالؤوا على قتل أبيه، فلما استخلف عثمان رضي الله عنه استشار المهاجرين على قتله، فكلهم أشاروا عليه بذلك، ثم حال بينه وبين ذلك أن كثر اللغط والاختلاف من جل الناس يقولون لجفينة والهرمزان: أبعدهما الله، لعلكم تريدون أن تتبعوا عمر ابنه! ثم قال عمرو بن العاص لعثمان: يا أمير المؤمنين إن هذا الأمر قد كان قبل أن يكون لك على الناس سلطان، فتفرق الناس عن خطبة عمرو، وانتهى إليه عثمان، وودى الرجلان والجارية
أخرجه الطحاوي في " شرح المعاني " (2 / 111) عن سعيد بن المسيب، وفي سنده عبد الله بن صالح وفيه ضعف، لكن رواه ابن سعد في " الطبقات " (3 / 1 / 256 - 258) من طريق أخرى بسند صحيح عن سعيد، وظاهره الإرسال لأنه كان صغيرا لما قتل عمر، كان عمره يومئذ دون التاسعة، ويبعد لمن كان في مثل هذه السن أن يتلقى هذا الخبر عن صاحب القصة مباشرة وهو عبيد الله بن عمر، ثم لا يسنده عنه، فإن كان سمعه منه أو من غيره ممن أدرك القصة من الثقات فالسند صحيح، وإلا فلا، لجهالة الواسطة، اللهم إلا عند من يقول بأن مراسيل سعيد حجة
وعلى كل حال فليس في القصة نص على أن المسلم يقتل بالذمي لأن عثمان والمهاجرين الذين أرادوا قتله لم يصرحوا بأن ذلك لقتله جفينة النصراني، كيف وهو قد قتل مسلمين معه: ابنة أبي لؤلؤة، والهرمزان فإنه كان مسلما كما رواه البيهقي، فهو يستحق القتل لقتله إياهما، لا من أجل النصراني والله أعلم
وأما أثر علي، فهو نحوأثر عمر، إلا أن فيه
" فجاء أخوه (أي القتيل) فقال: قد عفوت، فقال: لعلهم فزعوك أو هددوك؟ قال
لا ... ". فهذا إسناده ضعيف، ضعفه الزيلعي (4 / 337) وغيره، وأعلوه بأن فيه حسين بن ميمون، قال أبو حاتم: ليس بالقوي في الحديث، وذكره البخاري في " الضعفاء "، وفيه أيضا قيس بن الربيع وهو ضعيف
على أنه بالإضافة إلى ضعف إسناده، فإنه مخالف لحديثه المتقدم " لا يقتل مسلم بكافر " ولهذا قال الزيلعي
قال الشافعي: فيه دليل على أن عليا لا يروي عن النبي صلى الله عليه وسلم شيئا يقول بخلافه
فتبين أن هذه الآثار لا يثبت شيء منها، فلا يجوز الاستدلال بها، هذا لو لم تعارض حديثا مرفوعا؟ فكيف وهي معارضة لحديث علي المذكور؟ ! فهذا يبين لك بوضوح أثر الأحاديث الضعيفة بحيث أنه استبيح بها دماء المسلمين
وعورضت بها الأحاديث الصحيحة الثابتة عن سيد المرسلين صلى الله عليه وسلم
Comments
Post a Comment