গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস | page 41
যঈফ ও জাল হাদিস |
পরিচ্ছেদঃ
৮০১। আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক নবীর সন্তানদের তার পিঠেই রেখেছেন। আর আমার সন্তানদেরকে আল্লাহ তা'আলা আলী ইবনু আবী তালেবের পিঠে রেখেছেন।
হাদীছটি জাল।
এটি তাবারানী (১/২৫৮/২) ওবাদাহ ইবনু যিয়াদ আল-আসাদী হতে তিনি পিতা হতে তিনি জাবের (রাঃ) হতে মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে ইয়াহইয়া ইবনুল আলা। তিনি মিথ্যুক, জালকারী যেমনটি তার সম্পর্কে বহুবার আলোচনা করা হয়েছে।
হাদীছটি সুয়ূতী “আল-জামে” গ্রন্থে তাবারানীর বর্ণনায় জাবের (রাঃ) হতে আর আল-খাতীব "আত-তারীখ" গ্রন্থে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে উল্লেখ করেছেন। মানবী তাবারানীর বর্ণনায় বলেনঃ হায়ছামী (৯/১৭২) বলেছেনঃ তাতে ইয়াহইয়া ইবনুল আলা রয়েছেন, তিনি মাতরূক। ইবনুল জাওযী বলেন, ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ ইয়াহইয়া ইবনুল আলী মিথ্যুক, জালকারী। দারাকুতনী বলেনঃ তার হাদীছগুলো বানোয়াট। “আল-মীযান” গ্রন্থে ইবনু আলার জীবনীতে অনুরূপ কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
অতঃপর তিনি আল-খাতীবের বর্ণনার ব্যাপারে বলেনঃ ইবনুল জাওযী বলেনঃ হাদীছটি সহীহ নয়। তাতে ইবনুল মারযুবান রয়েছেন, তার সম্পর্কে ইবনুল কাতিব বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। তার উপরের বর্ণনাকারীগণ হয় মাজহুল না হয় নির্ভরযোগ্য নন। “আল-মীযান” গ্রন্থে বর্ণনাকারী আব্দুর রহমান ইবনু মুহাম্মাদ আল-হাসেব সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ তিনি কে তা জানা যায় না। তার খবর (হাদীছ) মিথ্যা।
إن الله عز وجل جعل ذرية كل نبي في صلبه، وإن الله تعالى جعل ذريتي في صلب علي بن أبي طالب
موضوع
-
رواه الطبراني (1 / 258 / 2) : عن عبادة بن زياد الأسدي: حدثنا يحيى بن العلاء الرازي عن جعفر بن محمد عن أبيه عن جابر مرفوعا
قلت: وهذا موضوع، آفته يحيى بن العلاء، كذاب يضع كما تقدم مرارا
والحديث أورده السيوطي في " الجامع "، من رواية الطبراني عن جابر، والخطيب في " التاريخ " عن ابن عباس، فقال المناوي في رواية الطبراني: " قال الهيثمي (9 / 172)
فيه يحيى بن العلاء وهو متروك. وقال ابن الجوزي قال أحمد: يحيى بن العلاء كذاب يضع
وقال الدارقطني: " أحاديثه موضوعة ". وذكر في " الميزان " نحوه في ترجمة العلاء، وأورد له أخبارا هذا منها ". ثم قال في رواية الخطيب: " قال ابن الجوزي: " حديث لا يصح، فيه ابن المرزبان، قال ابن الكاتب: كذاب، ومن فوقه إلى المنصور ما بين مجهول وغير موثوق ". وفي " الميزان " في ترجمة عبد الرحمن بن محمد الحاسب: " لا يدرى من ذا؟ وخبره كذب، رواه الخطيب ". ثم ساق هذا الخبر
পরিচ্ছেদঃ
৮০২। ফাতিমাহ (রাঃ)-এর সন্তান ছাড়া প্রত্যেক নারী সস্তানদের আসাবাহ হচ্ছে তাদের পিতার দিকের আত্মীয় স্বজনরা। কারণ আমি তাদের (ফাতিমার সন্তানদের) আসাবাহ (পিতার দিকের আত্মীয়) আর আমিই তাদের পিতা।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি তাবারানী (১/২৫৮/২) মুহাম্মাদ ইবনু যাকারিয়া আল-গাল্লাবী হতে তিনি বিশর ইবনু মিহরান হতে তিনি শুরায়িক ইবনু আবদিল্লাহ হতে তিনি শাবীব ইবনু গারকাদাহ হতে তিনি আল-মুসতাযিল ইবনু হুসায়েন হতে ... বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর তিনি শাইবাহ ইবনু না'আমাহ হতে তিনি ফাতিমাহ বিনতু হুসাইন হতে তিনি ফাতিমাহ আল-কুবরা হতে মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ প্রথম সূত্রটি একেবারে দুর্বল। শুরায়িক আল-কাযী দুর্বল। আর বিশর ইবনু মিহরান সম্পর্কে ইবনু আবী হাতিম বলেনঃ আমার পিতা তার হাদীছ পরিত্যাগ করেছেন। মানবী হায়ছামীর অনুসরণ করে এর দ্বারাই হাদীছটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন। তাদের উভয়ের নিকটেই লুক্কায়িত রয়ে গেছে যে, হাদীছটির সনদে মুহাম্মাদ ইবনু যাকারিয়া আল-গাল্লাবী রয়েছেন। অথচ তিনি মিথ্যুক।
তবে দ্বিতীয় সূত্রটি এর চেয়ে উত্তম। কারণ শাইবাহ ইবনু না'আমাহকে ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর ইবনু হিব্বান (১/৩৫৮) বলেছেনঃ তিনি আনাস (রাঃ) হতে এমন হাদীছ বর্ণনা করেছেন যা তার হাদীছের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। তিনি নির্ভরযোগ্যদের থেকে সে সব হাদীছ বর্ণনা করেছেন যেগুলো তাদের হাদীছ বিরোধী। তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা জায়েয নয়।
অতঃপর তার নিকট বিষয়টি অস্পষ্ট হয়ে গেলে তিনি তাকে নির্ভরযোগ্যদের মধ্যেও উল্লেখ করেছেন। তবে নির্ভরযোগ্য হচ্ছে এই যে, তিনি দুর্বল। হায়ছামী (৯/১৭৩) বলেনঃ শাইবাহর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা জায়েয না।
মানবী বলেনঃ হাদীছটি ইবনুল জাওযী "আল-আহাদীছুল ওয়াহিয়াহ" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদিসটি সহীহ নয়। মুসান্নিফ (সুয়ূতী) কর্তৃক হাসান বলা সঠিক না।
كل بني أنثى، فإن عصبتهم لأبيهم، ما خلا ولد فاطمة فإني أنا عصبتهم وأنا أبوهم
ضعيف
-
رواه الطبراني (1 / 258 / 2) : حدثنا محمد بن زكريا الغلابي: حدثنا بشر بن مهران: حدثنا شريك بن عبد الله عن شبيب بن غرقدة عن المستظل بن حصين عن عمر مرفوعا.
ثم رواه عن شيبة بن نعامة عن فاطمة بنت حسين عن فاطمة الكبرى مرفوعا. قلت: والطريق الأول واه بمرة: شريك هو القاضي وهو ضعيف. وبشر بن مهران قال ابن أبي حاتم: " ترك أبي حديثه ". وبه أعل المناوي الحديث تبعا للهيثمي. وخفي عليهما أنه من رواية محمد بن زكريا الغلابي، وهو كذاب. وأما الطريق الثاني: فهو خير من هذا، فإن شيبة بن نعامة، ضعفه يحيى بن معين و" يروي عن أنس ما لا يشبه حديثه، وعن غيره من الثقات ما يخالف حديث الأثبات، لا يجوز الاحتجاج به ". ثم تناقض فأورده في " الثقات " أيضا! والمعتمد أنه ضعيف
والحديث قال الهيثمي (9 / 173) : " رواه الطبراني وأبو يعلى وفيه شيبة بن نعامة لا يجوز الاحتجاج به
قال المناوي: " وأورده ابن الجوزي في " الأحاديث الواهية " وقال: " لا يصح
فقول المصنف (يعني السيوطي) : " هو حسن " غير حسن
৮০৩। কিয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তিই তৃষ্ণায় নিপতিত হবে।
হাদীছটি জাল।
এটি আল-খাতীব (৩/৩৫৬) মুহাম্মাদ ইবনু হারূন ইবনে বুরইয়াহ আল-হাশেমী সূত্রে আস-সারিউ ইবনু আসেম হতে তিনি ইবনুস সাম্মাক হতে তিনি আল-হায়ছাম ইবনু জামায হতে তিনি ইয়াযীদ আর-রুকাশী হতে বর্ণনা করেছেন।
আল-খাতীব বলেনঃ ইবনু বুরইয়াহর হাদীছে বহু মুনকার রয়েছে। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি কিছুই না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আল-খাতীব অন্যত্র (৭/৪০৩) বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীছ, তাকে জাল করার দোষে দোষী করা হয়। ইবনু আসাকির বলেনঃ তিনি হাদীছ জালকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি এককভাবে বর্ণনা করেননি। আবু নোয়াইম "আল-হিলইয়্যাহ" (৩/৫৪,৮/২১৬) গ্রন্থে আলী ইবনুল মুবারাক আল-মাসরুরী হতে ... বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই মাসরুরী দ্বারা সাক্ষ্য গ্রহণ করা যায় না। আল-খাতীব (১২/১০৫১০৬) তার হেফযে ক্রটি থাকার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। আর হাফিয যাহাবী মিথ্যা হাদীছ দ্বারা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থের “আল-ফাযায়েল” অধ্যায়ে হাদীছটি উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া বর্ণনাকারী আস-সারিউ ইবনু আসেমকে ইবনু খাররাশ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আর নাক্কাশ তাকে হাদীছ জাল করার দোষে দোষী করেছেন। যাহাবী তার কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করে বলেছেনঃ এগুলো তার বিপদ ও মুসীবত।
তাছাড়া হায়ছাম ইবনু জামায মাতরূক যেমনটি নাসাঈ ও আস-সাজী বলেছেন। বরং আল-বারকী তাকে মিথ্যুকদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আর ইয়াযীদ আর-রুকাশী দুর্বল।
জানি না কিভাবে সুয়ূতী হাদীছটিকে “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে আবু নোয়াইমের বর্ণনায় উল্লেখ করা জায়েয মনে করলেন। অথচ তাতে সেই সব মিথ্যুক এবং দুর্বল বর্ণনাকারীগণ রয়েছেন।
كل من ورد القيامة عطشان
موضوع
-
رواه الخطيب (3 / 356) من طريق محمد بن هارون بن برية الهاشمي قال: حدثنا السري بن عاصم: حدثنا ابن السماك: حدثنا الهيثم بن جماز قال: دخلت على يزيد الرقاشي في يوم شديد حر. فقال: ادخل يا هيثم! ادخل ادخل، حتى نبكي على الماء البارد، وقد عطش نفسه أربعين سنة، ثم قال: حدثني أنس بن مالك فذكره مرفوعا. وقال: " ابن برية في حديثه مناكير كثيرة، قال الدارقطني: لا شيء
قلت: وقال الخطيب في مكان آخر (7 / 403) : " ذاهب الحديث يتهم بالوضع ". وقال ابن عساكر: " يضع الحديث ". كما يأتي قريبا تحت الحديث (806)
قلت: لكنه لم يتفرد به، فقد أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (6 / 54، 8 / 216) عن علي بن المبارك المسروري (وفي الموضع الآخر، المروزي وهو تصحيف) حدثنا السري بن عاصم به. لكن المسروري هذا لا يستشهد به، فقد ترجمه الخطيب (12 / 105 - 106) وأشار إلى سوء حفظه، ولكن الذهبي اتهمه بخبر كذب. قال الحافظ في " اللسان ": " والخبر المذكور في " الفضائل " من كتاب " الموضوعات " لابن الجوزي
ثم إن السري بن عاصم كذبه ابن خراش، واتهمه النقاش بأنه وضع حديثا. وذكر له الذهبي أحاديث وصفها بأنها من بلاياه ومصائبه، منها الحديث الآتي عقب هذا. والهيثم بن جماز متروك كما قال النسائي والساجي، بل ذكره البرقي في الكذابين. ويزيد الرقاشي ضعيف
فلا أدري كيف استجاز السيوطي أن يورد هذا الحديث في " الجامع الصغير " من رواية أبي نعيم، مع ما في سنده من هؤلاء الكذابين والضعفاء! ومن هذا الوجه أخرجه ابن عساكر في " تاريخ دمشق (18 / 115 / 1) . ثم رواه من طريق أخرى عن السري بن عاصم به. فهذه ثلاث طرق إلى السري فهو آفة الحديث، إن سلم من الهيثم. والله أعلم
৮০৪। তকদীরে বিশ্বাস স্থাপন চিন্তা ও বিষণ্ণতা দূর করে।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি কাযাঈ "মুসনাদুশ শিহাব" (১/১৮) গ্রন্থে আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনু আহমাদ আত-তূসী হতে তিনি জামাহির ইবনু মুহাম্মাদ হতে তিনি আলী ইবনুল হুসাইন হতে তিনি আল-মাযাহেম ইবনু আওয়াম হতে তিনি আওযাঈ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। আওযাঈ ছাড়া এ সনদটির বর্ণনাকারীদের একজনকেও আমি চিনি না।
অতঃপর আমি দাইলামীর “মুসনাদুল ফিরদাউস” (১/২/৩৫৯) গ্রন্থে হাকিমের সূত্রে হাদীছটি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। তাতে আবাদাহ ইবনু আবী লুবাবাহ রয়েছেন, তিনি নির্ভরযোগ্য। সমস্যা হচ্ছে তার নীচের বর্ণনাকারীদের মধ্যে।
সুয়ুতী হাদীছটি হাকিম কর্তৃক তার "আত-তারীখ" গ্রন্থের বর্ণনা এবং কাযাঈর বর্ণনা হতে "আল-জামেউস সাগীর" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। মানবী বলেনঃ তাতে আস-সারিউ ইবনু আসেম হামদানী রয়েছীন। যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে তার সম্পর্কে বলেনঃ তাকে ইবনু আদী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আরো বলেছেনঃ তিনি হাদীছ চোব। তাকে ইবনু খাররাশ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ হাদীছটি তার বিপদগুলোর একটি। ইবনুল জাওযী হাদীছটি তার “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আস-সারিউ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হালাল নয়। তার সম্পর্কে পূর্বের হাদীছটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
الإيمان بالقدر يذهب الهم والحزن
ضعيف
-
رواه القضاعي في " مسند الشهاب " (18 / 1) عن أبي سعيد الحسن بن أحمد الطوسي قال: أخبرنا جماهر بن محمد قال: أخبرنا علي بن الحسين قال: أخبرنا المزاحم بن عوام عن الأوزاعي عن عمرو بن أبي لبابة عن أبي هريرة
مرفوعا. قلت: وهذا إسناد مظلم لم أعرف منه أحدا من رواته غير الأوزاعي، ولا أعرف في الرجال (عمرو) فلعل في النسخة تصحيفا. ثم وقفت على الحديث عند الديلمي في " مسند الفردوس " (1 / 2 / 359) من طريق الحاكم، فرأيته فيه " عبدة بن أبي لبابة " وهو ثقة، فالآفة ممن دونه. والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية الحاكم في " تاريخه " والقضاعي عن أبي هريرة، فقال المناوي: " وفيه السري بن عاصم الهمداني مؤدب المعتز، قال في " الميزان ": وهاه ابن عدي وقال: يسرق الحديث، وكذبه ابن خراش، قال: ومن بلاياه هذا الخبر، وأورده ابن الجوزي في " الواهيات " وقال: السري قال ابن حبان: " لا يحل الاحتجاج به ". قلت: وسبقت ترجمته بأتم منه في الحديث الذي قبله، لكنه ليس هو في إسناد القضاعي والحاكم كما رأيت، وهو يرويه عن محمد بن مصعب: حدثنا الأوزاعي به كما في " الميزان
পরিচ্ছেদঃ
৮০৫। যখন আল্লাহ তা'আলা তার কোন বান্দাকে খেলাফাত দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন তার হাত দিয়ে তার ললাট মুছে দেন।
হাদীছটি জাল।
এটি আল-খাতীব “আত-তারীখ” (২/১৫০) গ্রন্থে মুসিররাহ ইবনু আবদিল্লাহ হতে তিনি আল-হাসান ইবনু ইয়াযীদ হতে তিনি আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক হতে তিনি সুলায়মান ইবনু মিহরান হতে তিনি ইবরাহীম ইবনু জাফার আল-আনসারী ... হতে বর্ণনা করেছেন।
আল-খাতীব বলেনঃ মুসিররাহ ইবনু আবদিল্লাহ যাহেবুল হাদীছ।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাফিয যাহাবী তার জীবনীতে হাদীছটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি বানোয়াট। হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে আল-খাতীবের উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ এ হাদীছটি মিথ্যা। মুসিররাহই হচ্ছে তার কারণ। আমি বলছিঃ এটি তার বানোয়াটগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাফিয ইবনু হাজার তার তৃতীয় একটি হাদীছ উল্লেখ করে বলেছেনঃ মুসিররাহ মিথ্যুক, জালকারী। আল-খাতীবের বর্ণনায় সুয়ূতী হাদীছটি “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করে ভাল করেননি। কারণ আল-খাতীব নিজেই বলেছেনঃ হাদীছটি মিথ্যা।
ইবনু আব্বাস হতে বর্ণিত সম্মুখের হাদীছটি তার কোন উপকারে আসবে না। কারণ তাতেও হাদীছ জালকারী রয়েছেন। অনুরূপ আবু হুরাইরার (রাঃ) হাদীছও হাদীছটিকে শক্তিশালী করে না। যেটি উকায়লী "আয-যোয়াফা" (৪১৭) গ্রন্থে, ইবনু আদী “আল-কামিল” (২/৩২৭) গ্রন্থে এবং ইবনুন নাজ্জার (১০/১৮৩/১) মুসআব আন-নাওফালী হতে ... বর্ণনা করেছেন। উকায়লী বলেনঃ
মুসআব আন-নাওফালী মাজহুল। তার হাদীছ নিরাপদ নয়। তার অনুসরণও করা যায় না। ইবনু আদী বলেনঃ এ হাদীছটি এ সনদে মুনকার।
إن الله إذا أراد أن يجعل عبدا للخلافة مسح يده على جبهته
موضوع
-
رواه الخطيب في " التاريخ " (2 / 150) من طريق مسرة بن عبد الله - مولى المتوكل على الله - قال: نبأنا الحسن بن يزيد قال: نبأنا عبد الله بن المبارك قال: نبأنا سليمان بن مهران: قال إبراهيم بن جعفر الأنصاري المعروف بالراهب عن أنس بن مالك مرفوعا، وقال: " مسرة بن عبد الله ذاهب الحديث ". قلت: وساق له الذهبي في ترجمته حديثا قال: إنه موضوع، ونقل الحافظ في " اللسان " عن الخطيب أنه قال: " هذا الحديث كذب، والحمل فيه على مسرة. قلت: ومن موضوعاته....
قلت: ثم ساق الحافظ له حديثا ثالثا فيظهر مما ذكرنا أن مسرة كذاب وضاع. فما كان يحسن بالسيوطي أن يورد هذا الحديث من رواية الخطيب هذه في " الجامع الصغير "! لاسيما مع قول الخطيب: " إنه حديث كذب ". ولا يبرر له ذلك إتباعه إياه بحديث ابن عباس الآتي بعده، لأن فيه وضاعا أيضا، وإن خفي ذلك على بعضهم
وكذلك ما رواه العقيلي في " الضعفاء " (417) وابن عدي في " الكامل " (327 / 2) وابن النجار (10 / 183 / 1) عن مصعب النوفلي عن ابن أبي ذئب عن صالح مولى التوأمة عن أبي هريرة مرفوعا به. فقد قال العقيلي: " مصعب النوفلي مجهول بالنقل، حديثه غير محفوظ، ولا يتابع عليه ". وقال ابن عدي: " وهذا حديث منكر بهذا الإسناد، والبلاء فيه من مصعب بن عبد الله النوفلي هذا، ولا أعلم له شيئا آخر ". وأما حديث ابن عباس فهو: (الاتي)
পরিচ্ছেদঃ
৮০৬। যখন আল্লাহ তা'আলা তার কোন সৃষ্টিকে খেলাফাত দেয়ার ইচ্ছার সৃষ্টি করেন, তখন তার হাত দিয়ে তার কপাল মুছে দেন। ফলে তার উপর কোন ব্যক্তির দৃষ্টি পড়লেই সে তাকে ভালবাসে।
হাদীছটি জাল।
এটি হাকিম (৩/৩৩১) আবু বাকর ইবনু আবী দারেম আল-হাফিয হতে তিনি আবু ইসহাক মুহাম্মাদ ইবনু হারূণ হতে তিনি মূসা ইবনু আবদিল্লাহ হতে তিনি ইয়াকুব ইবনু জাফার হতে ... বর্ণনা করেছেন।
হাকিম বলেনঃ এ হাদীছটির বর্ণনাকারী শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত সকলেই হাশেমী তার সম্মানিত হওয়ার দিক দিয়ে প্রসিদ্ধ।
হাফিয যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ তারা নির্ভরযোগ্য নন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার কথায় অস্পষ্টতা রয়েছে। এখানে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলোঃ
আবূ জাফার আল-মানসূর আব্বাসীয়দের প্রসিদ্ধ খালীফাহ। হাদীছের ক্ষেত্রে তার অবস্থা পরিচিত নয়।
ইয়াকুব ইবনু জাফার ইবনে সুলায়মান ও তার পিতার জীবনী কে আলোচনা করেছেন আমি পাচ্ছি না।
মুহাম্মাদ ইবনু হারূণ- তিনিই হচ্ছেন হাদীছটির সমস্যা। তিনি ইবনু বুরইয়াহ নামে প্রসিদ্ধ। আল-খাতীব তার জীবনী আলোচনা করে (৩/৩৫৬) বলেছেনঃ তার হাদীছে বহু মুনকার রয়েছে। অতঃপর তিনি দারাকুতনীর উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তিনি কিছুই না। অন্যত্র আল-খাতীব (৭/৪০৩) বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীছ। জাল করার দোষে দোষী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু আসাকির "তারীখু দেমাস্ক" (৪/৩২৮/২) গ্রন্থে বলেনঃ তিনি আবু জাফার আল-মানসূরের ছেলে। তিনি হাদীছ জালকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি তার জালকৃত তাতে কোন সন্দেহ নেই।
হাদীছটি ইবনুল জাওযী “আল-মাওযু আত” (৩/৯৭) গ্রন্থে দুটি সূত্রে আবু হুরাইরাহ (রাঃ) এবং আনাস (রাঃ) হতে উল্লেখ করেছেন। সে দু'টো সম্পর্কে ২২১৭ নম্বর হাদীছে আলোচনা আসবে।
إن الله إذا أراد أن يخلق خلقا للخلافة مسح يده على ناصيته، فلا تقع عليه عين أحد إلا أحبه
موضوع
-
رواه الحاكم (3 / 331) : حدثنا أبو بكر بن أبي دارم الحافظ - بالكوفة -: حدثنا أبو إسحاق محمد بن هارون بن عيسى الهاشمي: حدثنا موسى بن عبد الله بن موسى الهاشمي: حدثنا يعقوب بن جعفر بن سليمان قال: سمعت أبي يقول: " دخلت على أبي جعفر المنصور فرأيت له جمة، فجعلت أنظر إلى حسنها، فقال: كان لأبي محمد بن علي جمة، وحدثني أن أباه علي بن عبد الله كانت له جمة، وحدثني أن أباه عبد الله بن عباس كانت له جمة، وكان للعباس جمة، وحدثني أن النبي صلى الله عليه وسلم كانت له جمة، وكان لهاشم بن عبد مناف جمة، فقلت
لأبي إني لأعجب من حسنها، قال: ذلك نور الخلافة، قال: حدثني أبي عن أبيه عن جده قال: فذكره
وقال: " رواة هذا الحديث عن آخرهم كلهم هاشميون معروفون بشرف الأصل ". ورده الذهبي بقوله: " قلت: ليسوا معتمدين
قلت: وهذا كلام مجمل، وهاك تفصيله: أبو جعفر المنصور هو الخليفة العباسي المعروف، وحاله في الحديث غير معروف. ويعقوب بن جعفر بن سليمان وأبوه، لم أجد من ترجمهما. وأما محمد بن هارون بن عيسى الهاشمي، فهو آفة الحديث، ويعرف بابن برية، ترجمه الخطيب (3 / 356) وقال: " في حديثه مناكير كثيرة ". ثم روى عن الدارقطني أنه قال: " لا شيء
وقال الخطيب في مكان آخر (7 / 403)
" ذاهب الحديث، يتهم بالوضع ". قلت: وقال الحافظ ابن عساكر في " تاريخ دمشق " (4 / 328 / 2) : " هو من ولد أبي جعفر المنصور، يضع الحديث ". قلت: فهذا من وضعه ولا شك، ولا أدري كيف فات هذا الحافظ ابن حجر فقد أعله بشيخ الحاكم كما في " فيض القدير " وقال: " إنه ضعيف، وهو من الحفاظ "! ولا يستقيم هذا الإعلال لوجهين: الأول: ما عرفته من حال ابن برية
الثاني: أن شيخ الحاكم لم يتفرد به، فقد أخرجه ابن الجوزي في " المسلسلات " (الحديث - 43) والكازروني في " مسلسلاته " أيضا (ق 331 / 2) من طريق أحمد بن يعقوب قال: حدثنا محمد بن هارون به دون قوله: " فلا تقع عليه ... ". وأحمد بن يعقوب هذا هو أبو الحسن المعدل، ترجمه الخطيب (5 / 227) وذكر أنه روى عن جماعة منهم ابن برية هذا، ثم روى عن أبي نعيم أنه قال فيه: ثقة . فبرئت منه عهدة شيخ الحاكم، وانحصرت التهمة في ابن برية، والله الموفق
والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 97) من طريقين آخرين من حديث أبي هريرة وأنس، وسيأتي تحقيق الكلام عليهما برقم (2217)
পরিচ্ছেদঃ
৮০৭। আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত বান্দাহ সেই, যার কাপড় দুটি তার কর্মের তুলনায় বেশী উত্তম। তার কাপড়গুলো হবে নবীগণের কাপড় আর তার কর্ম হবে দাম্ভিকদের কর্ম।
হাদীছটি জাল।
এটি উকায়লী "আয-যোয়াফা" (১৭২) গ্রন্থে লাইছের কাতিব আবু সালেহ হতে তিনি সুলায়েম ইবনু ঈসা হতে তিনি সুফিয়ান ছাওরী হতে তিনি জাফার ইবনু বুরকান হতে তিনি মায়মূল ইবনু মিহরান হতে ... বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর বলেছেনঃ সুলায়েম মাজহুল। তার হাদীছ মুনকার, নিরাপদ নয়। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তিনি ছাওরী হতে মুনকার হাদীছ বর্ণনা করেছেন। উকায়লী সেটিকে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তিনি (যাহাবী) তার সূত্রেই হাদীছটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি বাতিল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীছটি ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” (৩/৫১) গ্রন্থে উকায়লীর সূত্রে উল্লেখ করে তার কথা দ্বারা সমস্যা বর্ণনা করে বলেছেনঃ ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি (সুলায়েম) কিছুই না। সুয়ূতী “আল-লাআলী” (নং ২২৮৭) গ্রন্থে হাদীছটি যে জাল তা স্বীকার করেছেন। যাহাবী যে বলেছেনঃ হাদীছটি বাতিল তিনি তাও উল্লেখ করেছেন। ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" (২/৩৩৫) গ্রন্থেও তাকে সমর্থন করেছেন।
তা সত্ত্বেও সুয়ুতী হাদীছটি “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উকায়লী ও দাইলামীর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। এ কারণে তার ভাষ্যকার মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ইবনুল জাওযী বলেনঃ হাদীছটি বানোয়াট। আর সুয়ুতী তা “আল-জামেউল কাবীর” গ্রন্থে স্বীকার করেছেন। ইবনু ইরাক এবং আল-হিন্দীও হাদীছটি বানোয়াট বলে হুকুম লাগিয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এই সুলায়েম ইবনু ঈসা হচ্ছেন সুলায়মান ইবনু ঈসা ইবনে নাজীহ। তিনি মিথ্যার দোষে দোষী। দাইলামী “মুসনাদুল ফিরদাউস" (১/১/৮০) গ্রন্থে সুলায়মান ইবনু ঈসা ইবনে নাজীহর মাধ্যমে ছাওরী হতে এরূপই বর্ণনা করেছেন।
তার পরক্ষণেই হাফিয বলেনঃ সুলায়মান মাতরূক। যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি হালেক। জুযজানী বলেনঃ তিনি সুস্পষ্ট মিথ্যুক। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। ইবনু আদী বলেনঃ তিনি হাদীছ জালকারী।
أبغض العباد إلى الله عز وجل من كان ثواباه خيرا من عمله، أن تكون ثيابه ثياب الأنبياء، وعمله عمل الجبارين
موضوع
-
رواه العقيلي في " الضعفاء " (172) عن أبي صالح كاتب الليث: حدثنا سليم بن عيسى أبو يحيى عن سفيان الثوري عن جعفر بن برقان عن ميمون بن مهران عن عائشة مرفوعا. ذكره في ترجمة سليم هذا وقال: " مجهول في النقل، حديثه (هذا) منكر غير محفوظ ". وقال الذهبي: " روى عن الثوري خبرا منكرا، ساقه العقيلي ". ثم ساقه من طريقه ثم قال: " قلت: هذا باطل
قلت: وأورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 51) من طريق العقيلي هذه وأعله بكلامه الذي نقلته آنفا وبكاتب الليث، وقال: قال أحمد: ليس بشيء، وأقره السيوطي في " اللآليء " (برقم 2287) على وضعه، وزاد عليه أنه نقل كلمة الذهبي أنه باطل. وأقره ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (335 / 2)
ومع ذلك أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية العقيلي والديلمي! فتعقبه شارحه المناوي بما خلاصته أن ابن الجوزي قال: " موضوع ". وأقره عليه السيوطي في الأصل (يعني الجامع الصغير) " وممن جزم بوضعه ابن عراق والهندي. قلت: وسليم بن عيسى هذا الذي جهلوه، إنما هو - فيما أرى - سليمان بن عيسى بن نجيح المعروف بالكذب، فقد أخرجه الديلمي في " مسند الفردوس " (1 / 1 / 80 من مختصره للحافظ) هكذا: عن سليمان بن عيسى بن نجيح عن الثوري به. وقال الحافظ عقبه: " قلت: سليمان متروك ". وقال الذهبي في " الميزان
هالك، قال الجوزجاني: كذاب مصرح. وقال أبو حاتم: كذاب. وقال ابن عدي: يضع الحديث ". ثم ذكر له عدة أحاديث من بلاياه
পরিচ্ছেদঃ
৮০৮। আল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার নিকট অহী মারফৎ বলেনঃ তুমি খেদমাত কর সেই ব্যক্তির যে আমার খেদমাত করে। আর কষ্ট দাও সেই ব্যক্তিকে যে তোমার খেদমাত করে।
হাদীছটি জাল।
এটি আল-খাতীব “আত-তারীখ” (৮/৪৪) গ্রন্থে হুসাইন ইবনু দাউদ আল-বালখী হতে তিনি ফুযায়েল ইবনু আয়ায হতে তিনি মানসূর হতে তিনি ইবরাহীম হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ ফুযায়েল হতে হুসাইন এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এটি বানোয়াট। হুসাইন ব্যতীত সকলেই নির্ভরযোগ্য।
হাদীছটি ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” (৩/১৩৬) গ্রন্থে আল-খাতীবের সূত্রে এবং অন্য সূত্রেও হুসাইন আল-বালখী হতে উল্লেখ করেছেন।
أو حى الله إلى الدنيا: أن اخدمي من خدمني، وأتعبي من خدمك
موضوع
-
رواه الخطيب في " التاريخ " (8 / 44) عن الحسين بن داود البلخي: حدثنا الفضيل بن عياض عن منصور عن إبراهيم عن علقمة عن عبد الله مرفوعا
وقال: " تفرد بروايته الحسين عن الفضيل وهو موضوع، ورجاله كلهم ثقات سوى الحسين بن داود ولم يكن ثقة ". وأورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 136) من طريق الخطيب هذه ومن طريق أخرى عن الحسين البلخي به وذكر كلام الخطيب محتجا به. وتعقبه السيوطي بأن له شاهدا عن قتادة بن النعمان، ولكن فيه مجاهيل، وهو: " أنزل الله إلي جبريل في أحسن ما كان يأتي صورة فقال: إن الله عز وجل يقرئك السلام يا محمد! ويقول لك: إني أو حيت إلى الدنيا أن تمرري وتكدري وتضيقي وتشددي على أوليائي، كي يحبوا لقائي، وتسهلي وتوسعي وتطيبي لأعدائي، حتى يكرهو القائي، فإن خلقتها سجنا لأوليائي، وجنة لأعدائي
পরিচ্ছেদঃ
৮০৯। আল্লাহ তা'আল জিবরীলকে আমার নিকট সব চেয়ে সুন্দর আকৃতিতে প্রেরণ করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ তা'আলা আপনার উপর সালাম প্রেরণ করে বলেছেনঃ আমি দুনিয়ার নিকট ওহী করে তাকে আমার ওয়ালীদের জন্য তিক্ত, ময়লা যুক্ত, সংকীর্ণ এবং কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যাতে করে তারা আমার সাক্ষাত প্রাপ্তিকে ভালবাসে। আর সহজ, প্রসস্ত ও সুগন্ধিযুক্ত হয়ে যাও আমার দুশমনদের জন্য। যাতে করে তারা আমার সাক্ষাত লাভকে অপছন্দ করে। কারণ আমি দুনিয়াকে আমার বন্ধুদের জন্য জেলখানা স্বরূপ আর আমার দুশমনদের জন্য জান্নাত স্বরূপ সৃষ্টি করেছি।
হাদীছটি মুনকার।
এটি তাবারানী ও তার থেকে ইবনুল মারযুবান "আল-ফাওয়ায়েদ" (১/২) গ্রন্থে এবং ইবনু আসাকির “আত-তারীখ” (১৭/৪০৯/১-২) গ্রন্থে বাইহাকীর “আশ-শু'আব” গ্রন্থের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাবারানী বলেনঃ হাদীছটি ওয়ালীদ ইবনু হাম্মাদ আর-রামালী আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবনুল ফাযল ইবনে আসেম হতে তিনি তার পিতা ফাযল হতে তিনি তার পিতা আসেম হতে ... বর্ণনা করেছেন।
বাইহাকী বলেনঃ এ হাদীছটি একমাত্র এ সনদেই আমরা লিখেছি। তাদের মধ্যে বহু মাজহুল বর্ণনাকারী রয়েছেন। সুয়ুতী হাদীছটি “আল-লাআলী” (পৃঃ ৫০৬) গ্রন্থে পূর্বের হাদীছটির শাহেদ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, তিনি “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে শুধুমাত্র বাইহাকীর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। যে সব মাজহুল বর্ণনাকারীদের দিকে বাইহাকী ইঙ্গিত করেছেন, তারা হচ্ছেন ফাযল ইবনু আসেম, তার ছেলে আব্দুল্লাহ এবং তাবরানীর শাইখ ওয়ালীদ আর-রামালী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীছটির ভাষাতেও সুস্পষ্ট মুনকার লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।
أنزل الله إلي جبريل في أحسن ما كان يأتي صورة فقال: إن الله عز وجل يقرئك السلام يا محمد! ويقول لك: إني أو حيت إلى الدنيا أن تمرري وتكدري وتضيقي وتشددي على أوليائي، كي يحبوا لقائي، وتسهلي وتوسعي وتطيبي لأعدائي، حتى يكرهو القائي، فإن خلقتها سجنا لأوليائي، وجنة لأعدائي
منكر
-
رواه الطبراني، وعنه ابن المرزبان في " الفوائد " (1 / 2) وابن عساكر في " التاريخ " (17 / 409 / 1 - 2) من طريق البيهقي وهذا في " الشعب "، قال الطبراني: حدثنا الوليد بن حماد الرملي: أنبأنا أبو محمد عبد الله بن
الفضل (الأصل المفضل وهو خطأ) بن عاصم بن عمر بن قتادة الأنصاري: حدثني أبي، الفضل عن أبيه عاصم عن أبيه عن قتادة بن النعمان مرفوعا. وقال البيهقي: " لم نكتبه إلا بهذا الإسناد، وفيهم مجاهيل ". وأورده السيوطي في " اللآليء " (ص 506) شاهدا للحديث الذي قبله
ومن غرائبه أنه أورده في " الجامع الصغير " من رواية البيهقي فقط دون رواية الطبراني! والمجاهيل الذين أشار إليهم البيهقي هم الفضل بن عاصم، وابنه عبد الله، وشيخ الطبراني الوليد الرملي، وقد أورده الحافظ ابن حجر في " اللسان " وساق له هذا الحديث، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، إشارة منه إلى أنه مجهول، ولكنه قال: أخرجه الطبراني عن الوليد، وقد أشار العلائي في " الموشى " إلى أن عبد الله وأباه لا يعرفان ". قلت: وفي متن الحديث عندي نكارة ظاهرة، والله أعلم، ثم رأيت الحديث في " المجموع " (6 / 76 / 1) ساق فيه كاتبه إسناد الحديث نقلا عن الطبراني كما في " اللآليء مع التصحيح الذي ذكرناه في اسم الفضل
পরিচ্ছেদঃ
৮১০। আমাকে আল্লাহ তা'আলা লোকদের সাথে নরম আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন, যেরূপ তিনি আমাকে ফরযগুলো আদায় করা নির্দেশ দিয়েছেন।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি ইবনু আদী “আল-কামিল” (১/৩৪) গ্রন্থে এবং ইবনু মারদুবিইয়াহ “ছালাছাতু মাজালিস মিনাল আমলী” (১/১৯২) গ্রন্থে বিশর ইবনু ওবায়েদ আদ-দারেসী হতে তিনি আম্মার ইবনু আব্দির রহমান হতে তিনি আল-মাসউদী হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আবী মুলায়কাহ হতে তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
একই সূত্রে আবু মুতী আল-মিসর “আল-আমলী” (১/৩৩/২) গ্রন্থে এবং দাইলামী (১/২/৩২০) বর্ণনা করেছেন। সুয়ূতী "আদ-দুররুল মানছুর" (২/৯০) গ্রন্থে হাকীম আত-তিরমিযী এবং ইবনু আদীর উদ্ধৃতিতে এমন এক সনদে উল্লেখ করেছেন যাতে মাতরূক বর্ণনাকারী রয়েছেন। ইবনু আদী বলেনঃ বিশর ইবনু ওবায়েদ মুনকারুল হাদীছ। তিনি স্পষ্ট দুর্বল। তিনি যখন বর্ণনা করেছেন তখন তার ন্যায় দুর্বল বা মাজহুল বর্ণনাকারী হতে বর্ণনা করেছেন। তাকে আযদী মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। যাহাবী তার কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করেছেন। এটি সেগুলোর একটি।
যাহাবী তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করেছেন। এটি সেগুলোর একটি। অতঃপর বলেছেনঃ এ হাদীছগুলো সহীহ নয়।
إن الله أمرني بمداراة الناس كما أمرني بإقامة الفرائض
ضعيف جدا
-
رواه ابن عدي في " الكامل " (34 / 1) وابن مردويه في " ثلاثة مجالس من الأمالي " (192 / 1) عن بشر بن عبيد الدارسي: أخبرنا عمار بن عبد الرحمن عن المسعودي عن عبد الله بن أبي ملكية عن عائشة مرفوعا. ومن هذا
الوجه رواه أبو مطيع المصري في " الأمالي " أيضا (1 / 33 / 2) والديلمي (1 / 2 / 320) . وعزاه السيوطي في " الدر المنثور " (2 / 90) للحكيم الترمذي وابن عدي بسند فيه متروك. وقال ابن عدي: " بشر بن عبيد منكر الحديث، وهو بين الضعف ولم أجد للمتقدمين فيه كلاما، وهو إذا روى إنما يروي عن ضعيف مثله أو مجهول أو محتمل، أو يروي عمن يرويه عن أمثالهم ". وكذبه الأزدي. وساق له الذهبي أحاديث منها هذا، ثم عقبها بقوله: " وهذه الأحاديث غير صحيحة، والله المستعان
৮১১। আমাকে লোকদের সাথে নরম আচরণ করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
হাদিছটি জাল।
এটি আবু সা’আদ আল-মালীনী “আল-আরবাউনুস সুফিয়াহ (২/৮) গ্রন্থে ওবায়দুল্লাহ ইবনু লুউলুউ আস-সূফী হতে তিনি উমর ইবনু ওয়াসেল হতে তিনি সাহল ইবনু ওবায়দিল্লাহ হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু সাওয়ার হতে তিনি মালেক ইবনু দীনার হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি নিতান্তই দুর্বল। তার সমস্যা ইবনু লুউলুউ ও তার শাইখ উমারের মধ্যে। তারা উভয়েই বাগদাদী। আল-খাতীব “আত-তারীখ” (১০/৩৫৮) গ্রন্থে বলেনঃ ঘটনা বর্ণনাকারীদের থেকে এটি একটি বানোয়াট হাদীছ। উমার ইবনু ওয়াসেল এটিকে জাল করেছেন অথবা তার উপর জাল করা হয়েছে।
সুয়ূতী “আল-জামে” গ্রন্থে বাইহাকীর "আশ-শু'আব" গ্রন্থের বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ তাতে ওবায়দুল্লাহ ইবনু লুউলুউ উমার ইবনু ওয়াসেল হতে বর্ণনা করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি তার থেকে বানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করেছেন। আল-খাতীব উমার ইবনু ওয়াসেলকে জাল করার দোষে দোষী করেছেন। তাতে মালেক ইবনু দীনার আয-যাহেদও রয়েছেন। তাকে যাহাবী “আয-যো'য়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আবার তাকে কেউ কেউ নির্ভরযোগ্যও বলেছেন।
بعثت بمدارة الناس
موضوع
-
رواه أبو سعد الماليني في " الأربعين الصوفية " (8 / 2) عن عبيد الله بن لؤلؤ الصوفي: أخبرني عمر بن واصل قال: سمعت سهل بن عبيد الله يقول: أخبرني محمد بن سوار: أخبرني مالك بن دينار، ومعروف بن علي عن الحسن عن محارب بن دثار عن جابر بن عبد الله قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أنزلت سورة براءة: فذكره
قلت: وهذا سند ضعيف جدا، وآفته ابن لؤلؤ هذا أو شيخه، وهما بغداديان، وقد ترجم لهما الخطيب في " تاريخه "، وساق في ترجمة الأول منهما حديثا ظاهر الوضع ثم قال (10 / 358) : " هذا الحديث موضوع من عمل القصاص وضعه عمر بن واصل، أو وضع عليه. والله أعلم
ولما ترجم لابن واصل لم يقل فيه شيئا سوى أنه ساق له حديثا آخر من طريق ابن لؤلؤ هذا عنه، وسكت عليه، ولوائح الوضع عليه ظاهرة كهذا الحديث. والله أعلم
والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية البيهقي في " الشعب " عن جابر
وتعقبه المناوي بقوله: " وفيه عبيد الله بن لؤلؤ عن عمر بن واصل، قال في " لسان الميزان ": يروي عنه الموضوع وعمر بن واصل اتهمه الخطيب بالوضع، وفيه أيضا مالك بن دينار الزاهد، أورده الذهبي في " الضعفاء "، ووثقه بعضهم
পরিচ্ছেদঃ
৮১২। হে আয়েশা তুমি কি জানো না যে, আল্লাহ তা'আলা জান্নাতের মধ্যে আমাকে মারিয়াম বিনতু ইমরান, মূসার বোন কুলসুম এবং ফেরাউনের স্ত্রীর সাথে বিয়ে দিয়ে দিবেন।
হাদীছটি মুনকার।
এটি আবুশ শাইখ "আত-তারীখ" (পৃঃ ২৮৮) গ্রন্থে সহীহ সনদে আবুর রাবী' আস-সামতী হতে তিনি আব্দুন নূর ইবনু আবদিল্লাহ হতে তিনি ইউনুস ইবনু শুয়ায়িব হতে ... বর্ণনা করেছেন।
উকায়লী হাদীছটি "আয-যোয়াফা" (৪৬৯) গ্রন্থে ইবরাহীম ইবনু আর'আরা সূত্রে আব্দুন নূর হতে ... বর্ণনা করে বলেছেনঃ ইউনুস ইবনু শুয়ায়িবের হাদীছ নিরাপদ নয়। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। ইবনু আদী বলেন (যেরূপ "আল-লিসান" গ্রন্থে এসেছে) তার এ হাদীছটিকেই ইমাম বুখারী ইনকার করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার থেকে বর্ণনাকারী (আব্দুল্লাহ ইবনু সিনান) তার ন্যায় বা তার চেয়েও নিকৃষ্ট। তার সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। অতঃপর তাকে হাদীছ জালকারী হিসাবে দোষারোপ করেছেন। সা’আদ ইবনু জানাদাহ হতে ... বর্ণনা করেছেন। মানবী বলেনঃ হায়ছামী বলেছেনঃ তাতে এমন বর্ণনাকারী আছেন, যাকে আমি চিনি না।
يا عائشة! أما تعلمين أن الله زوجني في الجنة مريم بنت عمران، وكلثم أخت موسى، وامرأة فرعون
منكر
-
رواه أبو الشيخ في " التاريخ " (ص 288) بسند صحيح عن أبي الربيع السمتي: حدثنا عبد النور بن عبد الله بن سنان عن يونس بن شعيب عن أبي أمامة مرفوعا. ذكره من حسان حديث أبي عبيد الله محمد بن أحمد بن عمرو الأبهري. ورواه العقيلي في " الضعفاء " (469) عن إبراهيم بن عرعرة: حدثنا عبد النور به
وقال: " يونس بن شعيب حديثه غير محفوظ، قال البخاري: منكر الحديث ". وقال ابن عدي كما في اللسان ": " هذا الحديث هو الذي أنكره عليه البخاري
قلت: لكن الراوي عنه مثله أو شر منه، فقد قال فيه الذهبي: " كذاب ". ثم اتهمه بوضع الحديث. لكن الحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية الطبراني في " الكبير " عن سعد بن جنادة وقال المناوي: " قال الهيثمي: فيه من لم أعرفه
পরিচ্ছেদঃ
৮১৩। আল্লাহ তা’আলা নারীদের উপর ঈর্ষা করাকে ফরয করেছেন আর পুরুষদের উপর জেহাদকে ফরয করেছেন। নারীদের মধ্য হতে যেজন ধৈর্য ধারণ করবে তার জন্য এক শহীদের সমান ছাওয়াব হবে।
হাদীছটি মুনকার।
এটি তাবারানী “আল-মুজামুল কাবীর” (৩/৬১/২) গ্রন্থে, উকায়লী (পৃঃ ২৬৮), ইবনুল আ'রাবী তার "মুজাম" (১/৮২) গ্রন্থে, তার থেকে কাযাঈ (১/৯৩), দুলাবী (২/১০০), ইবনু আদী (২৭৯-২৮০) এবং বাযযার ওবায়েদ ইবনুস সাবাহ হতে তিনি কামিল ইবনুল আলা হতে তিনি আল-হাকাম হতে তিনি ইবরাহীম হতে তিনি আলকামাহ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
মানবী বলেনঃ বাযযার বলেছেনঃ হাদীছটি একমাত্র এ সূত্রেই আমরা অবহিত হয়েছি। ওবায়েদের মধ্যে সমস্যা নেই ...। হায়ছামী (৪/৩২০) বলেনঃ হাদীছটির সনদে ওবায়েদ রয়েছেন, আবু হাতিম তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। বাযযার তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু আবী হাতিম তার এ হাদীছটি “আল-ইলাল” (১/৩১৩) গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ আমি আমার পিতাকে হাদীছটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেনঃ এ হাদীছটি মুনকার। আরেকবার বলেনঃ এ সনদে হাদীছটি বানোয়াট।
যাহাবী ওবায়েদের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে তার মুনকারগুলো উল্লেখ করেছেন।
সম্ভবত তিনি তার এ কথা ভুলে গিয়ে তার অন্য একটি হাদীছকে হাকিমের অনুসরণ করে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।
إن الله تبارك وتعالى كتب الغيرة على النساء، والجهاد على الرجال، فمن صبر منهن كان لها مثل أجر الشهيد
منكر
-
رواه الطبراني في " المعجم الكبير " (3 / 61 / 2) والعقيلي (ص 268) وابن الأعرابي في " معجمه " (82 / 1) وعنه القضاعي (93 / 1) والدولابي (2 / 100) وابن عدي (279 - 280) والبزار عن عبيد بن الصباح عن كامل بن العلاء عن الحكم عن إبراهيم عن علقمة عن ابن مسعود مرفوعا، قال المناوي: " قال البزار لا نعلمه إلا من هذا الوجه، وعبيد لا بأس به، وكامل كوفي مشهور، على أنه لم يشاركه أحد فيه ". وقال الهيثمي (4 / 320) : رواه البزار والطبراني وفيه عبيد بن الصباح، ضعفه أبو حاتم، ووثقه البزار، وبقية رجاله ثقات ". قلت: وأورد ابن أبي حاتم حديثه هذا في " العلل " (1 / 313) وقال: " سألت أبي عنه؟ قال: هذا حديث منكر، وقال مرة أخرى: هذا حديث موضوع بهذا الإسناد ". قلت: وساقه الذهبي في ترجمة عبيد بن الصباح من مناكيره، وكأنه نسي هذا فصحح له حديثا آخر تبعا للحاكم: بلفظ: " إذا أردت أن تغزو ... " وهو في " الترغيب " (2 / 162)
৮১৪। ঘোড় দৌড়ে এবং তীর নিক্ষেপে প্রতিযোগিতা করা ব্যতীত অন্য কোন খেলার জন্য ফেরেশতারা সাক্ষ্য দেন না।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি তাবারানী (৩/২০৩/১) আমর ইবনু আব্দিল গাফফার হতে তিনি আমাশ হতে তিনি মুজাহেদ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি নিতান্তই দুর্বল। এই আমর সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃ তিনি জাল করার দোষে দোষী। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীছ। ইবনু আদী বলেনঃ তাকে হাদীছ জাল করার দোষে দোষী করা হয়েছে। উকায়লী ও অন্য বিদ্বানগণ বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ।
তা সত্ত্বেও সুয়ূতী হাদীছটি "আল-জামে" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
ما تشهد الملائكة من لهو كم إلا الرهان والنضال
ضعيف جدا
-
رواه الطبراني (3 / 203 / 1) عن عمرو بن عبد الغفار عن الأعمش عن مجاهد عن ابن عمر مرفوعا. قلت: وهذا سند ضعيف جدا، عمرو هذا قال الذهبي: " متهم، قال أبو حاتم: متروك الحديث، وقال ابن عدي: اتهم بوضع الحديث. وقال العقيلي وغيره: منكر الحديث ". والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية الطبراني هذه، وبيض له المناوي فلم يتكلم عليه بشيء
৮১৫। নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা নেককার মুসলিম ব্যক্তির দ্বারা তার প্রতিবেশী একশত পরিবারের বিপদ দূর করে দিবেন।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি ইবনু জারীর “আত-তাফসীর” (৫/৫৭৪/৫৭৫৩) গ্রন্থে, উকায়লী “আয-যোয়াফা” (৪৬৩) গ্রন্থে এবং আল-ওয়াহেদী “আল-ওয়াসীত" (১/৯১/২) গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-আত্তার হতে তিনি হাফস ইবনু সুলায়মান হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু সাওকাহ হতে তিনি অবারাহ ইবনু আবদির রহমান হতে ... বর্ণনা করেছেন। উকায়লী বলেনঃ ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-আত্তার শামী- মুনকারুল হাদীছ। তার হাদীছের অনুসরণ করা যায় না। তিনি বর্ণনার দিক দিয়ে প্রসিদ্ধ নন। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি কিছুই না।
ইবনু আদী বলেনঃ হাফস ছাড়া ইবনু সাওকাহ হতে অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। তার অধিকাংশ হাদীছ নিরাপদ নয়।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি হচ্ছেন আবু উমার আল-আসাদী আল-কারী। তিনি খুবই দুর্বল। বরং ইবনু খাররাশ বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, হাদীছ জালকারী।
সুয়ূতী হাদিসটি তাবারানীর বর্ণনায় "আল-জামে" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষ্যকার মানবী বলেছেনঃ মুনযের হাদীছটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। হায়ছামী বলেনঃ তাতে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-আত্তার রয়েছেন, তিনি দুর্বল। "আল-মীযান" গ্রন্থে এসেছেঃ ইবনু মাঈন এই ইয়াহইয়াকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর আবু দাউদ তাকে নিতান্তই দুর্বল বলেছেন। ইবনু খুযায়মাহ বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। অতঃপর তিনি তার এ হাদীছটি উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাফস ইবনু সুলায়মানের দ্বারা হাদীছটির সমস্যা বর্ণনা করাই উত্তম যেমনটি ইবনু আদী করেছেন। কারণ তিনি অত্যন্ত দুর্বল এবং তিনি আত্তারের উপরের স্তরের।
إن الله ليدفع بالمسلم الصالح عن مائة أهل بيت من جيرانه البلاء
ضعيف جدا
-
رواه ابن جرير في " التفسير " (5 / 574 / 5753) والعقيلي في " الضعفاء " (463) والواحدي في تفسيره " الوسيط " (1 / 91 / 2) عن يحيى بن سعيد العطار: حدثنا حفص بن سليمان عن محمد بن سوقة عن وبرة بن عبد الرحمن عن ابن عمر مرفوعا، ثم قرأ عبد الله بن عمر (ولولا دفع الله الناس بعضهم ببعض لفسدت الأرض)
وقال العقيلي: " يحيى بن سعيد العطار شامي منكر الحديث لا يتابع على حديثه، وليس بمشهور بالنقل، قال ابن معين: ليس بشيء ". ورواه ابن عدي (100 / 2) من هذا الطريق في ترجمة حفص وقال: لا يرويه عن ابن سوقة غير حفص، وعامة حديثه غير محفوظ
قلت: وهو أبو عمر الأسدي القاريء، وهو ضعيف جدا، بل قال ابن خراش: " كذاب يضع الحديث ". والحديث أورده السيوطي في " الجامع " برواية الطبراني فقد، وقال شارحه المناوي: " ضعفه المنذري، وقال الهيثمي: فيه يحيى بن سعيد العطار وهو ضعيف. وفي " الميزان ": يحيى هذا ضعفه ابن معين ووهاه أبو داود، وقال ابن خزيمة: لا يحتج به، ثم أورد له هذا الخبر ". قلت: إعلال الحديث بحفص بن سليمان كما فعل ابن عدي أولى من إعلاله بالعطار لشدة ضعفه كما عرفت، ولأنه فوقه في الطبقة
পরিচ্ছেদঃ
৮১৬। স্থলের শহীদের ঋণ এবং আমানত ব্যতীত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর সমুদ্রের শহীদের ঋণ ও আমানতের গুনাহ সহ সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি আবু নোয়াইম "আল-হিলইয়্যাহ" (৮/৫১) গ্রন্থে এবং ইবনুন নাজ্জার (১০/১৬৭/২) নাজদাহ ইবনুল মুবারাক হতে তিনি হাসান আল-মুরহেবী হতে তিনি তালূত হতে তিনি ইবরাহীম ইবনু আদহাম হতে তিনি হিশাম হতে তিনি ইয়াযীদ আর-রুকাশী হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। এই নাজদাহ সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি মাকবুল (গ্রহণযোগ্য)। আর ইয়াযীদ আর-রুকাশী আয-যাহেদ। হাদীছটি সুয়ূতী "আল-জামেউস সাগীর" গ্রন্থে আবু নোয়াইমের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। এ কারণে মানবী তার সমালোচনা করেছেন।
شهيد البر يغفر له كل ذنب إلا الدين والأمانة، وشهيد البحر يغفر له كل ذنب والدين والأمانة
ضعيف
-
رواه أبو نعيم في " الحلية " (8 / 51) وابن النجار (10 / 167 / 2) عن نجدة ابن المبارك: حدثنا حسن المرهبي عن طالوت عن إبراهيم بن أدهم عن هشام بن حسان عن يزيد الرقاشي عن بعض عمات النبي صلى الله عليه وسلم مرفوعا.
قلت: وهذا سند ضعيف، نجدة هذا قال الحافظ: " مقبول ". ويزيد الرقاشي زاهد ضعيف. والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية أبي نعيم فقط، وتعقبه المناوي بقوله: " قضية صنيع المصنف أن هذا لم يخرجه أحد من الستة وإلا لما عدل عنه، والأمر بخلافه، فقد عزاه في " الفردوس " وغيره إلى ابن ماجة من حديث أنس مرفوعا. قال ابن حجر: " وسنده ضعيف ". وقال جدنا الأعلى الإمام الزين العراقي: وفيه يزيد الرقاشي ضعيف ". قلت: وما تعقب به السيوطي لا وجه له، بل هو ذهول عن أن السيوطي قد ساق حديث ابن ماجه عن أنس عقب هذا الحديث مباشرة! وهو حديث طويل، هذا الحديث قطعه منه. وسنده أشد ضعفا من هذا وهو الحديث الآتي
পরিচ্ছেদঃ
৮১৭। দরিয়ার শহীদ স্থলের শহীদের ন্যায়। দরিয়ার মধ্যে ঝুলন্ত ব্যক্তি স্থলে তার রক্তে রঞ্জিত ব্যক্তির ন্যায়। দুই তরঙ্গের মধ্যে পার্থক্য আল্লাহর আনুগত্যের জন্য দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারীর ন্যায়। আল্লাহ তা'আলা দরিয়ার শহীদ ব্যতীত সকল আত্মা কবয করার জন্য মালাকুল মাওতকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কারণ তিনি নিজে তাদের আত্মা কবয করবেন। তিনি স্থলের শহীদের ঋণ ব্যতীত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। আর দরিয়ার শহীদের ঋণ সহ সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
হাদীছটি জাল।
এটি ইবনু মাজাহ (নং ২৭৭৮) এবং তাবারানী "আল-মুজামুল কাবীর" (কাফ ১/২৫) গ্রন্থে কায়স ইবনু মুহাম্মাদ আল-কিন্দী হতে তিনি উফায়ের ইবনু মি’দান আশ-শামী হতে তিনি সুলায়েম ইবনু আমের হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। বরং অধিকাংশ ধারণা এই যে, এটি নির্ভরযোগ্য সুলায়েম ইবনু আমেরের উপর বানোয়াট হাদীছ। কারণ হাদীছটির ভাষায় এমন অতিরঞ্জন করা হয়েছে যা সহীহ হাদীছগুলোর মধ্যে মিলে না। আমার নিকট এটির সমস্যা হচ্ছে এই উফায়ের। কারণ তিনি মিথ্যার দোষে দোষী।
আবু হাতিম বলেনঃ তিনি সুলায়েম হতে... এরূপ বহু কিছু বর্ণনা করেছেন যেগুলোর কোন ভিত্তি নেই।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত। তার একটি জাল হাদীছ (২৯১) নম্বরে আলোচিত হয়েছে।
হাদীছটি সুয়ূতী “আল-জামে” গ্রন্থে ইবনু মাজাহ এবং তাবারানীর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। মানবী বলেনঃ যায়ন আল-ইরাকী বলেছেনঃ উফায়ের ইবনু মি’দান নিতান্তই দুর্বল। জেনে রাখুন এ হাদীছ এবং উপরের হাদীছটি সহীহ হাদীছ বিরোধী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃيغفر للشهيد كل ذنب إلا الدين ‘ঋণ ব্যতীত শহীদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ এটি ইমাম মুসলিম সহ অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ ইবনু উমারের (রাঃ) হাদীছ হতে বর্ণনা করেছেন। দেখুন "ইরওয়াউল গালীল" (১১৮২), "তাখরাজু মুশকিলাতুল ফাকর" (৬৭) এবং "তাখরীজুল হালাল ওয়াল হারাম" (৩৪৮)।
شهيد البحر مثل شهيد البر، والمائد في البحر كالمتشحط في دمه في البر، وما بين الموجتين كقاطع الدنيا في طاعة الله، وإن الله عز وجل وكل ملك الموت بقبض الأرواح إلا شهيد البحر، فإنه تولى قبض أرواحهم، ويغفر لشهيد البر الذنوب كلها إلا الدين، ولشهيد البحر الذنوب والدين
موضوع بهذا التمام
-
رواه ابن ماجه رقم (2778) والطبراني في " المعجم الكبير " (ق 25 / 1 مجموع 6) عن قيس بن محمد الكندي: حدثنا عفير بن معدان الشامي عن سليم بن عامر قال: سمعت أبا أمامة يقول فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، بل الغالب أنه موضوع على سليم بن عامر الثقة، فإن في متن الحديث من المبالغة ما لا نعرفه في الأحاديث الصحيحة، وآفته عندي عفير هذا، فإنه متهم. قال أبو حاتم: " يكثر عن سليم عن أبي أمامة بما لا أصل له ". قلت: وهذا منه، وتقدم له حديث آخر موضوع برقم (291)
والحديث عزاه السيوطي في " الجامع " لابن ماجه والطبراني في الكبير ". وذكر المناوي أن الطبراني رواه عن الكندي أيضا ثم قال: " قال الزين العراقي: وعفير بن معدان ضعيف جدا ". واعلم أن هذا الحديث والذي قبله مخالف لعموم قوله صلى الله عليه وسلم: " يغفر للشهيد كل ذنب إلا الدين ". أخرجه مسلم وغيره من حديث ابن عمرو رضي الله عنهما، وهو مخرج عندي في " إرواء الغليل " (118) و" تخريج مشكلة الفقر " (67) و" تخريج الحلال والحرام " (348)
পরিচ্ছেদঃ
৮১৮। তোমরা সেই পায়খানার মধ্যে উযু করো না যাতে তোমরা পেশাব করো। কারণ মুমিনের উযুর পানি তার সৎকর্মগুলোর সাথে ওজন করা হবে।
হাদীছটি জাল।
এটি ইবনুন নাজ্জার (১০/১২৯/১) ইয়াহইয়া ইবনু আম্বাসাহ হতে তিনি হুমায়েদ হতে তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এই ইয়াহইয়া সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি দাজ্জাল, জালকারী। ইবনু আদী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। যাহাবী তার কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করেছেন, এটি সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর বলেছেনঃ এ সবগুলো তারই জালকৃত।
لا تتؤضؤوا في الكنيف الذي تبولون فيه، فإن وضوء المؤمن يوزن مع حسناته
موضوع
-
رواه ابن النجار (10 / 129 / 1) عن يحيى بن عنبسة حدثنا حميد عن أنس مرفوعا. قلت: ويحيى هذا قال ابن حبان: " دجال وضاع ". وقال ابن عدي: " منكر الحديث مكشوف الأمر ". ذكره الذهبي. ثم ساق له أحاديث منها هذا ثم قال: " هذا كله من وضع هذا المدبر
৮১৯। দ্বীনের বিপদ হচ্ছে তিনটিঃ পাপাচারী ফাকীহ, অত্যাচারী ইমাম এবং অজ্ঞ মুজতাহিদ।
হাদীছটি জাল।
এটি আবু নোয়াইম “আখবারু আসবাহান” (২/৩২৮) গ্রন্থে এবং তার থেকে দাইলামী "আল-মুসনাদ" (১/১/৭৬) গ্রন্থে নাহশাল ইবনু সাঈদ আত-তিরমিযী হতে তিনি যহহাক হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি একেবারে দুর্বল। তাতে দু'টি সমস্যা রয়েছেঃ
১। যহহাক এবং ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা।
২। নাহশাল ইবনু সাঈদ মিথ্যুক। যেমনটি ইবনু রাহওয়াইহ এবং তায়ালিসী বলেছেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে যা তাদের হাদীছ নয় তাই বর্ণনা করতেন। আবু সাঈদ আন-নাক্কাশ বলেনঃ তিনি যহহাক হতে বানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
হাফিয সুয়ুতীর তার শর্ত পূরণ করার স্বার্থে হাদীছটি “আল-জামে” গ্রন্থে উল্লেখ না করা উচিত ছিল।
آفة الدين ثلاثة: فقيه فاجر، وإمام جائر، ومجتهد جاهل
موضوع
-
رواه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 328) وعنه الديلمي في " المسند " (1 / 1 / 76) عن نهشل بن سعيد الترمذي عن الضحاك عن ابن عباس مرفوعا. قلت: وهذا إسناد واه بمرة، وفيه علتان
الانقطاع بين الضحاك وابن عباس
نهشل بن سعيد كذاب كما قال ابن راهويه والطيالسي، وقال ابن حبان: " يروي عن الثقات ما ليس من أحاديثهم ". وقال أبو سعيد النقاش: " روى عن الضحاك الموضوعات ". والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية الديلمي عن ابن عباس. فقال المناوي: " ورواه عنه أبو نعيم. ومن طريقه وعنه تلقاه الديلمي، ونهشل قال الذهبي في " الضعفاء ": " قال ابن راهويه:
كان كذابا، والضحاك لم يلق ابن عباس، ومن ثم قال المؤلف في درر البحار: " سنده واه ". قلت: فكان على السيوطي أن لا يورده في " الجامع " وفاء بشرطه
৮২০। সর্বাপেক্ষা ক্ষুধার্ত ব্যক্তি হচ্ছে জ্ঞান অর্জনকারী আর সেই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা তৃপ্ত যে তা তালাশ করে না।
হাদীছটি জাল।
এটি ইবনু হিব্বান "কিতাবুল মাজরুহীন" (২/২৬১-২৬২) গ্রন্থে, আবু নোয়াইম “আখবারু আসবাহান” (১/২৫৯) গ্রন্থে এবং তার থেকে দাইলামী (১/১/৮৫) মুহাম্মাদ ইবনুল হারিছ হতে তিনি ইবনুল বায়লামানী হতে তিনি তার পিতা হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীছটির সমস্যা হচ্ছে ইবনুল বায়লামানী। তার নাম মুহাম্মাদ ইবনু আবদির রহমান। যাহাবী বলেনঃ মুহাদ্দিছগণ তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। নাসাঈ ও আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি তার পিতা হতে আনুমানিক দু’শত হাদীছ সম্বলিত একটি কপি বর্ণনা করেছেন, যার সবগুলোই বানোয়াট।
আমি(আলবানী) বলছিঃ অতঃপর তিনি তার হাদীছগুলো উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে এটিও রয়েছে। ইবনু আদী বলেনঃ বায়লামানী যা কিছুই বর্ণনা করবেন তার সমস্যা তিনি নিজেই। মুহাম্মাদ ইবনু হারিছও দুর্বল।
হাফিয ইবনু হাজার "আল-গারায়েবুল মুলতাকাত মিন মুসনাদুল ফিরদাউস" গ্রন্থে বলেনঃ মুহাম্মাদ এবং তার শাইখ দুর্বল।
أجوع الناس طالب العلم، وأشبعهم الذي لا يبتغيه
موضوع
-
رواه ابن حبان في " كتاب المجروحين " (2 / 261 - 262) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1 / 259) وعنه الديلمي (1 / 1 / 85) عن محمد بن الحارث عن ابن البيلماني عن أبيه عن ابن عمر قال: سئل النبي صلى الله عليه وسلم: أي الناس أجوع؟ قال: طالب العلم. قال: فأيهم أشبع؟ قال: الذي لا يبتغيه ". قلت: آفته ابن البيلماني، واسمه محمد بن عبد الرحمن، قال الذهبي: " ضعفوه، قال النسائي وأبو حاتم: منكر الحديث، وقال ابن حبان: حدث عن أبيه بنسخة شبيها بمائتين حديث كلها موضوعة
قلت: ثم ساق له أحاديث هذا أحدها. وقال ابن عدي: " كل ما يرويه البيلماني فإن البلاء فيه منه، ومحمد بن الحارث أيضا ضعيف ". وقال الحافظ ابن حجر في " الغرائب الملتقطة من مسند الفردوس قلت: محمد بن الحارث وشيخه ضعيفان ". قلت: وتقدم لهما حديث آخر برقم (54)
Comments
Post a Comment