ইমাম মালিক বিন আনাস (রাহিমাহুল্লাহ)_ সুন্নাহর অনুসরণ ও তার বিপক্ষে ইমামগণের কথা বর্জন করার ব্যাপারে ইমামগণের উক্তি

ইমাম মালিক বিন আনাস (রাহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ

إنما أنا بشر آخطیء و أصیب، فانظروا فی رأیي، فکل ما وافق الكتاب والسنة فخذوه، وکل مالم يوافق الکتاب والسنة فاترکوه

অর্থঃ আমি নিছক একজন মানুষ। ভুলও করি শুদ্ধও বলি। তাই তোমরা লক্ষ্য করো আমার অভিমতের প্রতি। এগুলোর যতটুকু কুরআন ও সুন্নাহর সাথে মুলো গ্রহণ কর আর যতটুকু এতদুভয়ের সাথে গর্মিল হয় তা পরিত্যাগ কর।[1]

ليس أحد بعد النبى صلى الله عليه وسلم إلا ويؤخذ من قوله ويترك، إلا النبي صلى الله عليه وسلم (২)

অর্থঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ব্যতীত অন্য যে কোন লোকের কথা গ্ৰহণীয় এবং বর্জনীয় (কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সকল কথা গ্ৰহণীয়)।[2]

(৩) ইবনু অহাব বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে ‘ওযু তে পদ যুগলের অঙ্গুলিসমূহ খিলাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে শুনেছি তিনি (উত্তরে) বলেনঃ লোকদেরকে তা করতে হবে না। (ইবনু অহাব) বলেনঃ আমি তাকে লোকসংখ্যা কমে আসা পর্যন্ত ছেড়ে রাখলাম। অতঃপর বললাম, আমাদের কাছে এ বিষয়ে হাদীছ রয়েছে, তিনি বললেন, সেটা কী? আমি বললামঃ আমাদেরকে লাইছ ইবনু ছা’য়াদ, ইবনু লহীয়াহ ও আমর ইবনুল হারিছ ইয়াযীদ ইবনু আমর আল মু’য়াফিরী থেকে তিনি আবু আব্দির রহমান আল হুবালী থেকে তিনি আল মুসতাউরিদ বিন শাদ্দাদ আল কুরাশী থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ

رایت رسول الله صلى الله عليه وسلم یدلك بخنصره ما بین اصابع رجلیه

অর্থঃ আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে দেখেছি তিনি তাঁর কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা পদযুগলের অঙ্গুলিগুলোর মধ্যভাগ মর্দন করেছেন। এতদশ্রবণে ইমাম মালিক বললেন, এ-তো সুন্দর হাদীছ। আমি এ যাবৎ এটি শুনিনি। পরবর্তীতে তাঁকে জিজ্ঞাসিত হতে শুনেছি তাতে তিনি অঙ্গুলি মর্দনের আদেশ দিতেন।[3]

[1] ইবনু আব্দিল বর “আল-জামি’উস সাগীর” গ্রন্থে (২/৩২) তাঁর থেকে ইবনু হাযম “উসুলুল আহকাম” গ্রন্থে (৬/১৪৯) ফাল্লানী ৭২ পৃঃ।

[2] এটি ইমাম মালিকের কথা হিসেবে পরবর্তীদের কাছে প্ৰসিদ্ধি লাভ করে। তার থেকে বর্ণিত হওয়ার বিশুদ্ধতা ইবনু আব্দিল হাদী সাব্যস্ত করেছেন, “ইরশাদুস সালেক” (১/২২৭)। ইবনু আব্দিল বার ঘটনাটি “আল-জামে’” এর (২/৯১) পৃষ্ঠায় এবং ইবনু হাযম “উসুলুল আহকাম” এর (৬/১৪৫, ১৭৯) পৃষ্ঠায় হাকীম ইবনু উতাইবাহ ও মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন। তাকীউদ্দীন আস সুবকী “আল ফাতওয়া” এর (১/১৪৮) পৃষ্ঠায় ইবনু আব্বাসের কথা হিসাবে উদ্ধৃত করেন যার সৌন্দর্যে তিনি বিমোহিত হন। অতঃপর বলেন, কথাটি (মূলতঃ) ইবনু আব্বাসের কাছ থেকে মুজাহিদ গ্রহণ করেন, আর তাদের দু'জনের কাছ থেকে ইমাম মালিক তা গ্ৰহণ করেন এবং তার কথা বলে তা প্রসিদ্ধি লাভ করে।

আমি বলছিঃ অতঃপর তাদের কাছ থেকে ইমাম আহমাদ এটি গ্রহণ করেন, তাই আবু দাউদ “মাসায়েল ইমাম আহমাদ” গ্রন্থের ২৭৬ পৃষ্ঠায় বলেছেন, আমি আহমদকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ এমন কোন লোক নাই যার সব কথাই গ্রহণযোগ্য কেবল নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ব্যতীত।

[3] ইবনু আবী হাতিম “আলজারহু ওয়াত তা’দীল” গ্রন্থের ভূমিকা (৩১-৩২ পৃঃ)। বাইহাকী এটিকে পূর্ণরূপে “আস-সুনান” গ্রন্থের (১/৮১)-তে বর্ণনা করেছেন।

Comments

|| Popular Posts ||

The Story of The Aad And The Thamud Nation_ Qur'an Tafseer

Chapter_ THE STORY OF THE PEOPLE OF THE DITCH, THE MAGICIAN, THE MONK AND THE SLAVE:

Moving the finger during Tashahhud _ Important Masala-Masael,

√√√√40 short hadiths filled with wisdom°°°°

The ‎Prophet ‎Muhammad ‎‎(ﷺ )‎ ‏ ‏Salat ‎(Prayer) ‏According ‎to ‎Ahadith: ‏Step ‎by ‎step ‎ With Images‎

The Story of Qarun(Korah)

টাখনুর নীচে কাপড় পরিধানের শাস্তি :

40 Hadith Qudsi_ Al Nawawi's Forty Hadith

Subject__ The punishment of jahannam___The seven gate of Jahannam: