গ্রন্থঃ যঈফ ও জাল হাদিস | p98

পরিচ্ছেদঃ

১৯৪১। আল্লাহ্ তা'য়ালা বান্দাদের মধ্য থেকে কিছু বান্দার সাথে কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদেরকে পবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন করবেন না এবং তাদের দিকে দৃষ্টিও দিবেন নাঃ পিতা-মাতা থেকে বিমুখ হয়ে তাদের দু'জন থেকে নিজেকে মুক্তকারী ব্যক্তি, পিতা কর্তৃক তার সন্তান হতে নিজেকে মুক্তকারী ব্যক্তি এবং সেই ব্যক্তি যাকে কোন সম্প্রদায় সহযোগিতা করেছে, অতঃপর সে তাদের সহযোগিতাকে অস্বীকার করে তাদের থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিয়েছে।

হাদিসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ২-৩) যাব্বান ইবনু ফায়েদ হতে, তিনি সাহল ইবনু মু'আয হতে, তিনি তার পিতা হতে মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। যাব্বান ইবনু ফায়েদ সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি নেককার ইবাদাতগার হওয়া সত্ত্বেও তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল।

من العباد عباد لا يكلمهم الله يوم القيامة ولا يزكيهم ولا يطهرهم ولا ينظر إليهم: المتبرىء من والديه رغبة عنهما، والمتبرىء من ولده، ورجل أنعم عليه قوم فكفر نعمتهم وتبرأ منهم
ضعيف

-

رواه ابن وهب في " الجامع " (2 - 3) عن زبان بن فائد عن سهل بن معاذ عن أبيه مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، زبان بن فائد قال الحافظ: " ضعيف الحديث مع صلاحه وعبادته ". والحديث من الأحاديث التي خلت منها " الجوامع " كما تقدم التنبيه عليه آنفا

من العباد عباد لا يكلمهم الله يوم القيامة ولا يزكيهم ولا يطهرهم ولا ينظر إليهم: المتبرىء من والديه رغبة عنهما، والمتبرىء من ولده، ورجل أنعم عليه قوم فكفر نعمتهم وتبرأ منهم ضعيف - رواه ابن وهب في " الجامع " (2 - 3) عن زبان بن فائد عن سهل بن معاذ عن أبيه مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، زبان بن فائد قال الحافظ: " ضعيف الحديث مع صلاحه وعبادته ". والحديث من الأحاديث التي خلت منها " الجوامع " كما تقدم التنبيه عليه آنفا
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৪২

১৯৪২। সব আরবরাই ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম (আঃ) এর সন্তানের অন্তর্ভুক্ত।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু ওয়াহাব "আলজামে" গ্রন্থে (পৃঃ ৫) ও ইবনু সাদ “আতত্ববাকাত” গ্রন্থে (১/৫১) ইবনু লাহী'য়াহ হতে, তিনি ইবনু আন'য়াম হতে, তিনি আখী বাকর ইবনু সাওয়াদাহ হতে, তিনি ওলাই ইবনু রাবাহ লাখমীকে বলতে শুনেছেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল, মুরসাল। কারণ ইবনু রাবাহ হচ্ছেন নির্ভরযোগ্য তাবেঈ। আর আখু বাকর ইবনু সাওয়াদাকে আমি চিনি না। আর ইবনু আনয়াম দুর্বল। তার নাম হচ্ছে আব্দুর রহমান ইবনু যিয়াদ আফরীকী ।

كل العرب من ولد إسماعيل بن إبراهيم عليه السلام
ضعيف

-

أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 5) وابن سعد في " الطبقات " (1/ 51) عن ابن لهيعة عن ابن أنعم عن أخي بكر بن سوادة أنه سمع علي بن رباح اللخمي يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف مرسل، فابن رباح تابعي ثقة. وأخوبكر بن سوادة لم أعرفه. وابن أنعم ضعيف، واسمه عبد الرحمن بن زياد الأفريقي

كل العرب من ولد إسماعيل بن إبراهيم عليه السلام ضعيف - أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 5) وابن سعد في " الطبقات " (1/ 51) عن ابن لهيعة عن ابن أنعم عن أخي بكر بن سوادة أنه سمع علي بن رباح اللخمي يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف مرسل، فابن رباح تابعي ثقة. وأخوبكر بن سوادة لم أعرفه. وابن أنعم ضعيف، واسمه عبد الرحمن بن زياد الأفريقي
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৪৩

১৯৪৩। লোকদের মধ্যে আশয়ারীদের উদাহরণ হচ্ছে এই যে, তারা নির্জিত কম্ভরির ন্যায়।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ৪) সাঈদ ইবনু আবী আইউব হতে, তিনি শুরাহবীল ইবনু শারীক হতে, তিনি ওলাই ইবনু রাবাহকে বলতে শুনেছেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। এর বর্ণনাকারীগণ হচ্ছেন ইমাম মুসলিমের নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। কিন্তু এর সমস্যা হচ্ছে মুরসাল হওয়া।

إن مثل الأشعريين في الناس كصرار المسك
ضعيف

-

خرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 4) : وأخبرني سعيد بن أبي أيوب عن شرحبيل بن شريك قال: سمعت علي بن رباح يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف، رجاله ثقات رجال مسلم، فإنما علته الإرسال

إن مثل الأشعريين في الناس كصرار المسك ضعيف - خرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 4) : وأخبرني سعيد بن أبي أيوب عن شرحبيل بن شريك قال: سمعت علي بن رباح يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف، رجاله ثقات رجال مسلم، فإنما علته الإرسال
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৪৪

পরিচ্ছেদঃ

১৯৪৪। তোমরা আমাকে আব্বাসের মধ্যে হেফাযাত কর। কারণ তিনিই হচ্ছেন আমার পিতাদের অবশিষ্ট। আর ব্যক্তির চাচা হচ্ছে স্বীয় পিতার সহোদর ভাই।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে খাতীব “তারীখু বাগদাদ” গ্রন্থে (১০/৬৮) ইয়াযীদ ইবনু আবী যিয়াদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনুল হারেস হতে, তিনি আব্দুল মুত্তালিব ইবনু রাবীয়াহ ইবনুল হারেস ইবনু আব্দুল মুত্তালিব হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। আব্দুল্লাহ ইবনুল হারেসের দাস ইয়াযীদ ইবনু আবু যিয়াদ হাশেমী সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি দুর্বল। তিনি বৃদ্ধ হলে তার মধ্যে পরিবর্তন সাধিত হয় এবং তাকে (ভুল) ধরিয়ে দিতে হতো।

এটিকে ত্ববারানী "আলমুজামুস সাগীর” গ্রন্থে (পৃঃ ১১৯) হাসান ইবনু আলী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে শেষাংশ (إن عم الرجل ) ছাড়া বর্ণনা করেছেন।

এর সনদটি দুর্বল। কারণ এর মধ্যে অপরিচিত এবং দুর্বল ব্যক্তি রয়েছেন। যেমনটি আমি (আলবানী) “আররাওযুন নায়ীর” গ্রন্থে (২৮৯) ব্যাখ্যা করেছি।

অনুরূপভাবে ইবনু আদী প্রমুখ আলী (রাঃ)-এর হাদীস হতে এটিকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এর সনদটি খুবই দুর্বল। সামনের হাদীসের ভাষাতেও হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে।

সতর্কবাণীঃ (إن عم الرجل صنوأبيه) “ব্যক্তির চাচা হচ্ছে নিজ পিতার সহোদর ভাই” হাদীসের এ অংশ সহীহ। এটি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে ইমাম মুসলিমের হাদীসের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে। “ইরওয়াউল গালীল” গ্রন্থে (৮৫৮) এটির তাখরীজ করা হয়েছে।

احفظوني في العباس، فإنه بقية آبائي، وإن عم الرجل صنوأبيه
ضعيف

-

أخرجه الخطيب في " تاريخ بغداد " (10 / 68) عن يزيد بن أبي زياد عن عبد الله بن الحارث قال: حدثني عبد المطلب بن ربيعة بن الحارث بن عبد المطلب قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف، يزيد بن أبي زياد هو الهاشمي مولى عبد الله بن الحارث قال الحافظ: " ضعيف، كبر فتغير، وصار يتلقن ". وأخرجه الطبراني في " المعجم الصغير " (ص 119) من حديث الحسن بن علي رضي الله عنهما مرفوعا به دون قوله: " وإن عم الرجل ... ". وإسناده ضعيف فيه من لا يعرف، ومن ضعف، كما شرحته في " الروض النضير " رقم (289) . وكذلك أخرجه ابن عدي وغيره من حديث علي رضي الله عنه، وإسناده ضعيف جدا، وقد روي باللفظ الآتي: (تنبيه) : قوله: " إن عم الرجل صنوأبيه ". صحيح جاء في حديث لمسلم عن أبي هريرة، مخرج في " الإرواء " (858)

احفظوني في العباس، فإنه بقية آبائي، وإن عم الرجل صنوأبيه ضعيف - أخرجه الخطيب في " تاريخ بغداد " (10 / 68) عن يزيد بن أبي زياد عن عبد الله بن الحارث قال: حدثني عبد المطلب بن ربيعة بن الحارث بن عبد المطلب قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف، يزيد بن أبي زياد هو الهاشمي مولى عبد الله بن الحارث قال الحافظ: " ضعيف، كبر فتغير، وصار يتلقن ". وأخرجه الطبراني في " المعجم الصغير " (ص 119) من حديث الحسن بن علي رضي الله عنهما مرفوعا به دون قوله: " وإن عم الرجل ... ". وإسناده ضعيف فيه من لا يعرف، ومن ضعف، كما شرحته في " الروض النضير " رقم (289) . وكذلك أخرجه ابن عدي وغيره من حديث علي رضي الله عنه، وإسناده ضعيف جدا، وقد روي باللفظ الآتي: (تنبيه) : قوله: " إن عم الرجل صنوأبيه ". صحيح جاء في حديث لمسلم عن أبي هريرة، مخرج في " الإرواء " (858)
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৪৫

১৯৪৫। তোমরা আব্বাস হতে কল্যাণকর অসিয়্যাত গ্রহণ কর। কারণ তিনি আমার চাচা এবং আমার পিতার সহোদর ভাই।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

এটিকে ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ১৫) ইবনু আদী (২/১৯৭), আর তার থেকে ইবনু আসাকির (৮/৪৬৩/১), ইবনুস সাম্মাক “জুযউম মিন হাদীসহি” গ্রন্থে (১/৬৭) আর তার থেকে ইবনু আসাকিরও হুসাইন ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু যামরাহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি আলী ইবনু আবী তালেব (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। কারণ হুসাইনকে ইমাম মালেক, আবু হাতিম প্রমুখ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন।

ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন এবং নিরাপদও নন।

আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে এর একটি শাহেদ বর্ণিত হয়েছে, এটিকে ত্ববারানী (৩/১১০/১) যায়েদ ইবনুল হুরাইশ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু খাররাস হতে, তিনি আওয়াম ইবনু হাওশাব হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

কিন্তু এটি খুবই দুর্বল। কারণ আব্দুল্লাহ ইবনু খাররাস সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি দুর্বল। ইবনু আম্মার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বর্ণনা করার অভিযোগ করেছেন।

আর যায়েদ ইবনুল হুরাইশকে ইবনু হিব্বান “আসসিকাত” গ্রন্থে (৮/২৫১) উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি কখনও কখনও ভুল করতেন।

ইবনুল কাত্তান বলেনঃ তিনি হাল (তার অবস্থা অজ্ঞাত)।

استوصوا بالعباس خيرا، فإنه عمي وصنوأبي
ضعيف جدا

-

واه ابن وهب في " الجامع " (ص 15) وابن عدي (197 / 2) وعنه ابن عساكر (8 / 463 / 1) وابن السماك في " جزء من حديثه " (67 / 1) وعنه ابن عساكر أيضا، عن حسين بن عبد الله بن ضمرة عن أبيه عن جده عن علي بن أبي طالب مرفوعا. قلت: وهذا إسناد واه جدا، الحسين هذا كذبه مالك وأبو حاتم وغيرهما. وقال ابن معين: " ليس بثقة ولا مأمون ". وله شاهد من حديث ابن عباس أخرجه الطبراني (3 / 110 / 1) عن زيد بن الحريش: أخبرنا عبد الله بن خراش عن العوام بن حوشب عن مجاهد عن ابن عباس مرفوعا. ولكنه ضعيف جدا، عبد الله بن خراش قال الحافظ: " ضعيف، وأطلق عليه ابن عمار الكذب ". وزيد بن الحريش قال ابن حبان في " الثقات " (8 / 251) : " ربما أخطأ ". وقال ابن القطان: مجهول الحال

استوصوا بالعباس خيرا، فإنه عمي وصنوأبي ضعيف جدا - واه ابن وهب في " الجامع " (ص 15) وابن عدي (197 / 2) وعنه ابن عساكر (8 / 463 / 1) وابن السماك في " جزء من حديثه " (67 / 1) وعنه ابن عساكر أيضا، عن حسين بن عبد الله بن ضمرة عن أبيه عن جده عن علي بن أبي طالب مرفوعا. قلت: وهذا إسناد واه جدا، الحسين هذا كذبه مالك وأبو حاتم وغيرهما. وقال ابن معين: " ليس بثقة ولا مأمون ". وله شاهد من حديث ابن عباس أخرجه الطبراني (3 / 110 / 1) عن زيد بن الحريش: أخبرنا عبد الله بن خراش عن العوام بن حوشب عن مجاهد عن ابن عباس مرفوعا. ولكنه ضعيف جدا، عبد الله بن خراش قال الحافظ: " ضعيف، وأطلق عليه ابن عمار الكذب ". وزيد بن الحريش قال ابن حبان في " الثقات " (8 / 251) : " ربما أخطأ ". وقال ابن القطان: مجهول الحال
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৪৬

পরিচ্ছেদঃ

১৯৪৬। আল্লাহ্ তা'য়ালা সেই পিতার প্রতি দয়া করুন যে তার সন্তানকে তার হকের ব্যাপারে সাহায্য করে। তারা বললঃ হে আল্লাহর রসূল! তা কিভাবে? তিনি বললেনঃ সে (পিতা) তার সৎকর্মগুলোকে গ্রহণ করবে আর অসৎকর্মগুলোকে এড়িয়ে যাবে।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ২১) উল্লেখ করে বলেছেনঃ আমার নিকট আতা ইবনু আবী রাবাহ হতে পৌছেছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল, মুরসাল এবং সনদে বিচ্ছিন্নতার কারণে।

মওসূল হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। এটিকে আবু আব্দুর রহমান সুলামী “আদাবুস সুহবাহ” গ্রন্থে (১/১৪৭) আহমাদ ইবনু আলী ইবনু মাহদী ইবনু সাদাকাহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আলী ইবনু মূসা রিযা হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি জা'ফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে (... قالوا) এ অংশ ছাড়া।

এ সনদটি খুবই দুর্বল। কারণ ইবনু সাদাকাকে হাফিয যাহাবী উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি তার পিতা হতে, তিনি আলী ইবনু মূসা রিযা হতে বর্ণনা করেছেন। সেটি মিথ্যা কপি। দারাকুতনী তাকে হাদীস জাল করার দোষে দোষী করেছেন। আর আমি অবগত হইনি যে, রিযা হতে কোন কিছু সহীহ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।

আর তার পিতা আলী ইবনু মাহদী ইবনু সাদাকাকে আমি চিনি না। হাফিয যাহাবী এবং ইবনু হাজার তাদের দু'কিতাবের মধ্যে তাকে উল্লেখ করেননি।

বৃদ্ধিকৃত অংশ ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (২/১৯৩) বলেনঃ এটিকে আবুশ শাইখ ইবনু হিব্বান “কিতাবুস সাওয়াব’ গ্রন্থে আলী ইবনু আবী তালেব এবং আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীস হতে দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন। আর শা'বীর বর্ণনা হতে নাওকানী মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

رحم الله والدا أعان ولده على بره، قالوا: كيف يا رسول الله؟ قال: يقبل إحسانه، ويتجاوز عن إساءته
ضعيف

-

أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 21) قال: بلغني عن عطاء بن أبي رباح أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف لإرساله وانقطاعه. وقد روي موصولا، أخرجه أبو عبد الرحمن السلمي في " آداب الصحبة " (147 / 1) عن أحمد بن علي بن مهدي بن صدقة: حدثنا أبي حدثنا علي بن موسى الرضا عن أبيه عن جعفر ابن محمد عن أبيه عن علي رضي الله عنه مرفوعا به، دون قوله: " قالوا ... ". وهذا إسناد واه جدا، ابن صدقة هذا أورده الذهبي، فقال: " عن أبيه عن علي بن موسى الرضا. وتلك نسخة مكذوبة، اتهمه الدارقطني بوضع الحديث، وما علمت للرضا شيئا يصح عنه ". وأبو هـ علي بن مهدي بن صدقة، لم أعرفه، ولم يورده الذهبي ولا العسقلاني في كتابيهما. والحديث دون الزيادة قال العراقي في " تخريج الإحياء " (2 / 193) : رواه أبو الشيخ ابن حيان في " كتاب الثواب " من حديث علي بن أبي طالب وابن عمر بسند ضعيف، ورواه النوقاني من رواية الشعبي مرسلا

رحم الله والدا أعان ولده على بره، قالوا: كيف يا رسول الله؟ قال: يقبل إحسانه، ويتجاوز عن إساءته ضعيف - أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 21) قال: بلغني عن عطاء بن أبي رباح أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف لإرساله وانقطاعه. وقد روي موصولا، أخرجه أبو عبد الرحمن السلمي في " آداب الصحبة " (147 / 1) عن أحمد بن علي بن مهدي بن صدقة: حدثنا أبي حدثنا علي بن موسى الرضا عن أبيه عن جعفر ابن محمد عن أبيه عن علي رضي الله عنه مرفوعا به، دون قوله: " قالوا ... ". وهذا إسناد واه جدا، ابن صدقة هذا أورده الذهبي، فقال: " عن أبيه عن علي بن موسى الرضا. وتلك نسخة مكذوبة، اتهمه الدارقطني بوضع الحديث، وما علمت للرضا شيئا يصح عنه ". وأبو هـ علي بن مهدي بن صدقة، لم أعرفه، ولم يورده الذهبي ولا العسقلاني في كتابيهما. والحديث دون الزيادة قال العراقي في " تخريج الإحياء " (2 / 193) : رواه أبو الشيخ ابن حيان في " كتاب الثواب " من حديث علي بن أبي طالب وابن عمر بسند ضعيف، ورواه النوقاني من رواية الشعبي مرسلا
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৪৭

১৯৪৭। দু'মুমিনের আত্মা অবশ্যই একদিনের চলার পথের দূরত্বের উপর মিলিত হবে। অথচ তারা একে অপরকে কখনও দেখেনি।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ২৭), আহমাদ (২/১৭৫, ২২০) ও বুখারী “আলআদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে (২৬১) দাররাজ সূত্রে ঈসা ইবনু হিলাল সাদাফী হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ ঈসা ইবনু হিলাল সদাফীর হাদীসের ব্যাপারে কিন্তু রয়েছে। তাকে ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর হাফিয যাহাবী “আলকাশেফ” গ্রন্থে তার নির্ভরযোগ্য আখ্যা দানকে দুর্বল ইঙ্গিত করেছেন তার এ ভাষার দ্বারা যে, তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়া হয়েছে। আর হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী।

আর দাররাজ দুর্বল। তাকে হাফিয যাহাবী "আয যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তাকে আবু হাতেম দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ তার হাদীসগুলো মুনকার। এর দ্বারাই মানবী হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করছেন। তিনি ইবনু লাহী'য়ার দ্বারাও হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটা ঠিক না, কারণ ইবনু ওয়াহাব এবং বুখারীর নিকট তার মুতাবা'য়াত করা হয়েছে।

إن روحي المؤمنين ليلتقيان على مسيرة يوم، وما رأى أحدهما صاحبه (قط)
ضعيف

-

أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 27) وأحمد في " المسند " (2 / 175 و220) والبخاري في " الأدب المفرد " (261) من طريق دراج عن عيسى بن هلال الصدفي عن عبد الله بن عمرو بن العاص عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال: فذكره. قلت: وهذا سند ضعيف، عيسى بن هلال الصدفي في النفس من حديثه شيء، وقد وثقه ابن حبان، وأشار الذهبي في " الكاشف " إلى تضعيف توثيقه بقوله: " وثق ". وقال الحافظ: " صدوق ". ودراج ضعيف، أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: " ضعفه أبو حاتم، وقال أحمد: أحاديثه مناكير ". وبهذا أعله المناوي، ولكنه أعله بابن لهيعة أيضا، وليس بشيء لأنه متابع عند ابن وهب والبخاري

إن روحي المؤمنين ليلتقيان على مسيرة يوم، وما رأى أحدهما صاحبه (قط) ضعيف - أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 27) وأحمد في " المسند " (2 / 175 و220) والبخاري في " الأدب المفرد " (261) من طريق دراج عن عيسى بن هلال الصدفي عن عبد الله بن عمرو بن العاص عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال: فذكره. قلت: وهذا سند ضعيف، عيسى بن هلال الصدفي في النفس من حديثه شيء، وقد وثقه ابن حبان، وأشار الذهبي في " الكاشف " إلى تضعيف توثيقه بقوله: " وثق ". وقال الحافظ: " صدوق ". ودراج ضعيف، أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: " ضعفه أبو حاتم، وقال أحمد: أحاديثه مناكير ". وبهذا أعله المناوي، ولكنه أعله بابن لهيعة أيضا، وليس بشيء لأنه متابع عند ابن وهب والبخاري
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৪৮

১৯৪৮। যদি কোন পাহাড় কোন পাহাড়ের বিপক্ষে সীমালঙ্ঘন করে তাহলে আল্লাহ্ তা'য়ালা দু'পাহাড়ের সীমালঙ্ঘনকারী পাহাড়কে কঁপিয়ে দেন।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনুল লাল আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যেমনটি “আলজামেউল কাবীর” (২/১৪২/১) এবং অনুরূপভাবে “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থেও এসেছে। তবে নিম্নের ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছেঃ

لوبغى جبل على جبل، لدك الباغي منهما

“যদি কোন পাহাড় অন্য কোন পাহাড়ের উপর করে তাহলে অবশ্যই দু’পাহাড়ের সীমালঙ্ঘনকারী পাহাড়কে কাঁপিয়ে দেয়া হয়।”

জানি না আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত কোন ভাষাটি ইবনু লালের ভাষা। আর এ হাদীসের সনদ সম্পর্কে অবগত হতে পারিনি। মানবী এ ব্যাপারে কোন কিছু না বলে সাদা স্থান ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তিনি সুয়ূতীর সমালোচনা করে বলেছেনঃ বাহ্যিক অবস্থা এই যে, লেখক হাদীসটির তাখরীজকারী হিসেবে তার (ইবনু লালের) চেয়ে প্রসিদ্ধ বা তার মত কাউকে দেখতে পাননি। এটা আজব ব্যাপার। কারণ হাদীসটিকে ইমাম বুখারী "আলআদাবুল মুফরাদ" গ্রন্থে উল্লেখিত ভাষায় ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে বাইহাকী “আশশুয়াব” গ্রন্থে, ইবনু হিব্বান, ইবনুল মুবারাক ও ইবনু মারদুবিয়্যাহ প্রমুখ বর্ণনা করেছেন। শুধুমাত্র ইবনু লালের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সমালোচনার দ্বারা সুয়ুতীর উপর আক্রমণ করা হয়েছে। বরং এ ব্যাপারে কয়েক দিক থেকে অশোভনীয়ভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছেঃ

১। তার এ কথা সন্দেহ সৃষ্টি করে যে, তারা সকলেই মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অথচ বিষয়টি এরূপ নয়। যেমন ইমাম বুখারী এটিকে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যেমনটি সামনে আসবে।

২। তার এ কথা সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে যে, তারা সকলেই আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা এর বিপরীত। কারণ ইবনু হিব্বান "আয যুয়াফা" গ্রন্থে আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল ফাযলের জীবনীতে এটিকে (১/১৫৫) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ তিনি হাদীস জালকারী ছিলেন।

আর ইবনু মারদুবিয়্যাহ এটিকে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যেমনটি "আলমাকাসিদুল হাসানাহ" গ্রন্থে (পৃঃ ৩৪২/৮৮৮) এবং অনুরূপভাবে ইবনু আদীর "আলকামেল" গ্রন্থে (১২/১) এসেছে। এর সনদের মধ্যে ইসমাঈল ইবনু ইয়াহইয়া তাইমী রয়েছেন, আর তিনি হচ্ছেন বড় মিথ্যুক ও জালকারী।

আর ইবনুল মুবারাক হাদিসটিকে "আয যুহদ" গ্রন্থে ফিতর ইবনু খালীফা হতে, তিনি আবূ ইয়াহইয়া হতে, তিনি মুজাহিদ হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

অনুরূপভাবে ইবনু আবী হাতিম হাদিসটিকে "আলইলাল" গ্রন্থে (২/৩৪১) উল্লেখ করে বলেছেনঃ আবু ইয়াহইয়া কাত্তাত হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে ফিতর ইবনু খালীফার বিরোধিতা করা হয়েছে। সাওরী ও ইসরাঈল হাদীসটিকে আবূ ইয়াহইয়া কাত্তাত হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবী হাতিম বলেনঃ আমার পিতা বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মুজাহিদের হাদীসটি বেশী সঠিক।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এভাবেই ইমাম বুখারী “আলআদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে (৫৮৮) আবূ নুয়াইম হতে, তিনি ফিতর হতে, তিনি আবূ ইয়াহইয়া হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। বাইহাকীও এভাবেই “আশশুয়াব’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আর ইবনু মারদুবিয়্যাহ ফিতর সূত্রে মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু ইয়াহইয়া কাত্তাত হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল। তিনি মারফু’ এবং মওকুফ উভয়ভাবে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে দুর্বল। তবে মওকুফ হিসেবে তার মুতাবা'য়াত করা হয়েছে। ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ৪৪) ইয়াহইয়া ইবনু আইউব হতে, তিনি ওবাইদুল্লাহ ইবনু যাহর হতে, তিনি সুলাইমান হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ...।

সুলাইমান হচ্ছেন আমাশ আর ইবনু যাহর হচ্ছেন দুর্বল। তবে তার মুতাবা'য়াত করা হয়েছে। আলী ইবনু হারব ত্বাই তার “হাদীস” গ্রন্থে (১/৭৯) আবু মুয়াবিয়্যাহ হতে, তিনি আমাশ হতে বর্ণনা করেছেন। সাওরীও আমাশ হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে তার মুতাবা'য়াত করেছেন।

এটিকে ইবনু মারদুবিয়্যাহ বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি সহীহ। সঠিক হচ্ছে হাদীসটি মওকুফ।

لوبغى جبل على جبل، لجعل الله عز وجل الباغي منهما دكا
ضعيف

-

رواه ابن لال عن أبي هريرة مرفوعا، كما في " الجامع الكبير " (2 / 142 / 1) وكذا في " الجامع الصغير " أيضا، لكنه ذكره بلفظ: " لوبغى جبل على جبل، لدك الباغي منهما ". فلا أدري أي اللفظين منهما هو لفظ ابن لال عن أبي هريرة! وأما إسناده، فلم أقف عليه، وبيض له المناوي، فلم يتكلم عليه بشيء، ولكنه تعقب السيوطي بقوله: وظاهره أن المصنف لم يره مخرجا لأشهر منه، ولا أمثل، وهو ذهو ل عجيب، فقد خرجه البخاري في " الأدب المفرد
" باللفظ المذكور عن ابن عباس، وكذا البيهقي في " الشعب " وابن حبان وابن المبارك وابن مردويه وغيرهم، فاقتصاره على ابن لال من ضيق العطن ". قلت: وفي هذا التعقب تحامل ظاهر على السيوطي، بل فيه إيهام فاحش، من وجوه: الأول: أنه يوهم أن هؤلاء جميعا أخرجوه مرفوعا، وليس كذلك، فالبخاري مثلا إنما أخرجه موقوفا كما يأتي. الثاني أنه يوهم أنهم أخرجوه كلهم عن ابن عباس، وهو خلاف الواقع، فابن حبان أخرجه في " الضعفاء " (1 / 155) عن أنس، في ترجمة أحمد بن محمد بن الفضل، وقال: " إنه كان يضع الحديث ". وابن مردويه رواه عن ابن عمر كما في " المقاصد الحسنة " (ص 342 / 888) وكذا ابن عدي في " الكامل " (12 / 1) ومنه تبين أن فيه إسماعيل بن يحيى التيمي، وهو كذاب
وضاع. وابن المبارك رواه في " الزهد " عن فطر بن خليفة عن أبي يحيى عن مجاهد مرسلا. وكذلك ذكره ابن أبي حاتم في " العلل " (2 / 341) ، وقال: " اختلف
فيه على أبي يحيى القتات، ورواه الثوري وإسرائيل عن أبي يحيى القتات عن مجاهد عن ابن عباس. فقال أبي: حديث مجاهد عن ابن عباس قوله أصح ". قلت: وهكذا موقوفا عليه أخرجه البخاري في " الأدب المفرد " (588) : حدثنا أبو نعيم قال: حدثنا فطر عن أبي يحيى سمعت مجاهدا عن ابن عباس به. وهكذا رواه البيهقي في " الشعب ". وأما ابن مردويه فرواه من طريق فطر به مرفوعا. قلت: وأبو يحيى القتات لين الحديث، فهو ضعيف مرفوعا وموقوفا، لكنه قد توبع على وقفه، فقال ابن وهب في " الجامع " (ص 44) : أخبرني يحيى بن أيوب عن عبيد الله بن لأعمش، وابن زحر ضعيف، لكنه قد توبع، فقال علي بن حرب الطائي في " حديثه " (79 / 1): حدثنا أبو معاوية قال: حدثنا الأعمش به. وتابعه الثوري عن الأعمش به
رواه ابن مردويه. وهذا إسناد صحيح. فالصواب في الحديث الوقف. وبالله التوفيق

لوبغى جبل على جبل، لجعل الله عز وجل الباغي منهما دكا ضعيف - رواه ابن لال عن أبي هريرة مرفوعا، كما في " الجامع الكبير " (2 / 142 / 1) وكذا في " الجامع الصغير " أيضا، لكنه ذكره بلفظ: " لوبغى جبل على جبل، لدك الباغي منهما ". فلا أدري أي اللفظين منهما هو لفظ ابن لال عن أبي هريرة! وأما إسناده، فلم أقف عليه، وبيض له المناوي، فلم يتكلم عليه بشيء، ولكنه تعقب السيوطي بقوله: وظاهره أن المصنف لم يره مخرجا لأشهر منه، ولا أمثل، وهو ذهو ل عجيب، فقد خرجه البخاري في " الأدب المفرد " باللفظ المذكور عن ابن عباس، وكذا البيهقي في " الشعب " وابن حبان وابن المبارك وابن مردويه وغيرهم، فاقتصاره على ابن لال من ضيق العطن ". قلت: وفي هذا التعقب تحامل ظاهر على السيوطي، بل فيه إيهام فاحش، من وجوه: الأول: أنه يوهم أن هؤلاء جميعا أخرجوه مرفوعا، وليس كذلك، فالبخاري مثلا إنما أخرجه موقوفا كما يأتي. الثاني أنه يوهم أنهم أخرجوه كلهم عن ابن عباس، وهو خلاف الواقع، فابن حبان أخرجه في " الضعفاء " (1 / 155) عن أنس، في ترجمة أحمد بن محمد بن الفضل، وقال: " إنه كان يضع الحديث ". وابن مردويه رواه عن ابن عمر كما في " المقاصد الحسنة " (ص 342 / 888) وكذا ابن عدي في " الكامل " (12 / 1) ومنه تبين أن فيه إسماعيل بن يحيى التيمي، وهو كذاب وضاع. وابن المبارك رواه في " الزهد " عن فطر بن خليفة عن أبي يحيى عن مجاهد مرسلا. وكذلك ذكره ابن أبي حاتم في " العلل " (2 / 341) ، وقال: " اختلف فيه على أبي يحيى القتات، ورواه الثوري وإسرائيل عن أبي يحيى القتات عن مجاهد عن ابن عباس. فقال أبي: حديث مجاهد عن ابن عباس قوله أصح ". قلت: وهكذا موقوفا عليه أخرجه البخاري في " الأدب المفرد " (588) : حدثنا أبو نعيم قال: حدثنا فطر عن أبي يحيى سمعت مجاهدا عن ابن عباس به. وهكذا رواه البيهقي في " الشعب ". وأما ابن مردويه فرواه من طريق فطر به مرفوعا. قلت: وأبو يحيى القتات لين الحديث، فهو ضعيف مرفوعا وموقوفا، لكنه قد توبع على وقفه، فقال ابن وهب في " الجامع " (ص 44) : أخبرني يحيى بن أيوب عن عبيد الله بن لأعمش، وابن زحر ضعيف، لكنه قد توبع، فقال علي بن حرب الطائي في " حديثه " (79 / 1): حدثنا أبو معاوية قال: حدثنا الأعمش به. وتابعه الثوري عن الأعمش به رواه ابن مردويه. وهذا إسناد صحيح. فالصواب في الحديث الوقف. وبالله التوفيق
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৪৯

পরিচ্ছেদঃ

১৯৪৯। যে বক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া রুখসাতকে (অনুমতিকে) গ্রহণ করবে না আরাফার পাহাড়ের ন্যায় তার গুনাহ হবে।

হাদীসটি মুনকার।

এটিকে ইমাম আহমাদ “আলমুসনাদ’ গ্রন্থে (২/৭১), আব্দু ইবনু হুমায়েদ “আলমুনতাখাব মিন মুসনাদিহি” গ্রন্থে (২/৯১), ইবনু আব্দুল হাকাম "ফাতুহু মিসর" গ্রন্থে (২৬৫, ২৯২) বিভিন্ন সূত্রে ইবনু লাহীয়াহ হতে, তিনি আবু ত্ব'মাহ হতে, তিনি বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর নিকটে ছিলাম এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বললঃ হে আবু আব্দুর রহমান! আমি সফরে সওম পালন করার ব্যাপারে সামর্থ্যবান। তখন তিনি বললেনঃ ... মারফু' হিসেবে।

কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ ইবনু লাহীয়াহ হতে, তিনি রুযায়েক সাকাফী হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবু শামাসাহ হতে, তিনি উকবাহ ইবনু আমের (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এটিকে আহমাদ (৪/১৫৮), ইবনু মান্দাহ "আলমারিফাহ" গ্রন্থে (২/৯২/২), অনুরূপভাবে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে (১/১০৪/২) বর্ণনা করেছেন। আর তিনি (ত্ববারানী) বলেছেনঃ উকবাহ (রাঃ) হতে একমাত্র এ সনদেই বর্ণনা করা হয়ে থাকে। ইবনু লাহীয়াহ এটিকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছি তার মন্দ হেফযের কারণে তিনি দুর্বল। আর তার সনদে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে যেমনটি দেখছেন। সম্ভবত হাইসামী এ দিকে লক্ষ্য করেননি। কারণ তিনি হাদীসটিকে প্রথম সূত্রে (৩/১৬২) উল্লেখ করে সনদটিকে হাসান আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ, ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে রুযায়েক সাকাফী রয়েছেন। পাচ্ছি না কে তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন আর কে তার সমালোচনা করেছেন। অন্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।

এটা তার থেকে পরিচিত শিথিলতার অন্তর্ভুক্ত। কারণ ইবনু লাহীয়া সম্পর্কে তার মন্দ হেফযের কারণে বহু কথা রয়েছে। আর এ হাদীসে তার থেকে ইযতিরাব সংঘটিত হওয়ায় তাকে আরো শক্তিশালী করছে। এ কারণেই ইমাম বুখারী তার এ হাদীস সম্পর্কে বলেন যেমনটি “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছেঃ এটি মুনকার। আর হাফিয যাহাবী নিজেও তা স্বীকার করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ থেকে জানা যাচ্ছে যে, হাফিয মুনযেরী যে তার শাইখ আবুল হাসানের উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ আহমাদের সনদটি হাসান, আসলে তার কথা হাসান (ভালো) নয়। ইবনু লাহীয়াহ দুর্বল হওয়ার এবং তার সনদে ইযতিরাব সংঘটিত হওয়ার কারণে এবং ইমাম বুখারী কর্তৃক এটিকে মুনকার আখ্যা দেয়ার কারণে। যদিও এটিকে ইরাকীও হাসান আখ্যা দিয়েছেন যেমনটি মানবী নকল করেছেন আর "আততায়সীর" গ্রন্থে তিনি তার অনুসরণ করেছেন।

من لم يقبل رخصة الله كان عليه من الإثم مثل جبال عرفه
منكر

-

رواه أحمد في " المسند " (2 / 71) وعبد بن حميد في " المنتخب من مسنده ". (91 / 2) وابن عبد الحكم في " فتوح مصر " (265 و292) من طرق عن ابن لهيعة: حدثنا أبو طعمة قال: كنت عند ابن عمر إذ جاءه رجل فقال: يا أبا عبد الرحمن إني أقوى على الصيام في السفر؟ فقال: فذكره مرفوعا. وخالفهم قتيبة بن سعيد فقال: عن ابن لهيعة عن رزيق الثقفي عن عبد الرحمن بن شماسة عن عقبة بن عامر مرفوعا. أخرجه أحمد (4 / 158) وابن منده في " المعرفة " (2 / 92 / 2) وكذا الطبراني في " الأوسط " (1 / 104 / 2) وقال: " لا يروى عن عقبة إلا بهذا الإسناد تفرد به ابن لهيعة ". قلت: وهو ضعيف لسوء حفظه، وقد
اضطرب في إسناده كما ترى، وكأن الهيثمي لم يتنبه لهذا، فإنه بعد أن ساقه من الوجه الأول (3 / 162) وحسن إسناده، ساقه من هذا الوجه، وقال: " رواه أحمد، والطبراني في " الأوسط "، وفيه رزيق الثقفي، ولم أجد من وثقه ولا جرحه، وبقية رجاله ثقات "! كذا قال، وهو من تساهله المعروف، فابن لهيعة فيه كلام كثير لسوء حفظه، واضطرابه في هذا الحديث يؤيد ذلك، ولذلك قال البخاري في حديثه هذا كما في " الميزان "، وأقره: " منكر ". قلت: ومنه يعلم أن قول الحافظ المنذري عن شيخه الحافظ أبي الحسن: أنه قال: " إسناد أحمد
حسن ". فليس بحسن، لضعف ابن لهيعة، واضطرابه في إسناده، واستنكار الإمام البخاري إياه، وإن كان العراقي حسنه أيضا كما نقله عنه المناوي، وتبعه في التيسير

من لم يقبل رخصة الله كان عليه من الإثم مثل جبال عرفه منكر - رواه أحمد في " المسند " (2 / 71) وعبد بن حميد في " المنتخب من مسنده ". (91 / 2) وابن عبد الحكم في " فتوح مصر " (265 و292) من طرق عن ابن لهيعة: حدثنا أبو طعمة قال: كنت عند ابن عمر إذ جاءه رجل فقال: يا أبا عبد الرحمن إني أقوى على الصيام في السفر؟ فقال: فذكره مرفوعا. وخالفهم قتيبة بن سعيد فقال: عن ابن لهيعة عن رزيق الثقفي عن عبد الرحمن بن شماسة عن عقبة بن عامر مرفوعا. أخرجه أحمد (4 / 158) وابن منده في " المعرفة " (2 / 92 / 2) وكذا الطبراني في " الأوسط " (1 / 104 / 2) وقال: " لا يروى عن عقبة إلا بهذا الإسناد تفرد به ابن لهيعة ". قلت: وهو ضعيف لسوء حفظه، وقد اضطرب في إسناده كما ترى، وكأن الهيثمي لم يتنبه لهذا، فإنه بعد أن ساقه من الوجه الأول (3 / 162) وحسن إسناده، ساقه من هذا الوجه، وقال: " رواه أحمد، والطبراني في " الأوسط "، وفيه رزيق الثقفي، ولم أجد من وثقه ولا جرحه، وبقية رجاله ثقات "! كذا قال، وهو من تساهله المعروف، فابن لهيعة فيه كلام كثير لسوء حفظه، واضطرابه في هذا الحديث يؤيد ذلك، ولذلك قال البخاري في حديثه هذا كما في " الميزان "، وأقره: " منكر ". قلت: ومنه يعلم أن قول الحافظ المنذري عن شيخه الحافظ أبي الحسن: أنه قال: " إسناد أحمد حسن ". فليس بحسن، لضعف ابن لهيعة، واضطرابه في إسناده، واستنكار الإمام البخاري إياه، وإن كان العراقي حسنه أيضا كما نقله عنه المناوي، وتبعه في التيسير
হাদিসের মানঃ মুনকার (সর্বদা পরিত্যক্ত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫০

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫০। যার মধ্যে তিনটি বস্তু থাকবে সেগুলোর কুপরিণতি তার দিকেই ফিরে আসবেঃ ব্যভিচার, মাক্‌র (চক্রান্ত) ও অঙ্গীকার ভঙ্গ। অতঃপর তিনি পাঠ করেনঃ “কু-চক্রান্ত তাকেই ঘিরে ধরবে যে তা করবে” (সূরা আল-ফাত্বিরঃ ৪৩) তিনি আরো বললেনঃ "ওহে মানুষ! তোমাদের এ বিদ্রোহ তো (প্রকৃতপক্ষে) তোমাদের নিজেদেরই বিপক্ষে" (সূরা ইউনুস ২৩) এবং বললেনঃ "এক্ষণে যে এ ওয়াদা ভঙ্গ করে, এ ওয়াদা ভঙ্গের কুফল তার নিজেরই উপর পড়বে।" (সূরা আল-ফাত্হঃ ১০)।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/৭১) আর তার থেকে খাতীব (৮/৪৫০) নাযর ইবনু হিশাম হতে, তিনি মারওয়ান ইবনু সবীহ হতে, তিনি আব্দুল আযীয ইবনু সুহাইব হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ মারওয়ান ইবনু সবীহ সম্পর্কে হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে বলেনঃ আমি তাকে চিনি না, আর তার মুনকার হাদীস রয়েছে। অতঃপর তিনি আবু নুয়াইম সূত্র হতে এটিকে উল্লেখ করে পরক্ষণেই বলেছেনঃ নাযর সম্পর্কে ইবনু আবী হাতেম বলেনঃ তিনি আসবাহানী সত্যবাদী। “আললিসান” গ্রন্থে এসেছেঃ নাযর সম্পর্কে ইবনু আবী হাতেম বলেনঃ মারওয়ান আসবাহানী সত্যবাদী।

এটা মুদ্রণগত ক্রটি। “আলমীযান” গ্রন্থে যা উল্লেখ করা হয়েছে সেটিই হচ্ছে সঠিক। যার প্রমাণ বহন করছে “আলজারহু অততা'দীল”এর (৪/১/৪৮১) বর্ণনা, কারণ তিনি এ মারওয়ানকে আসলেই উল্লেখ করেননি।

হাদীসটিকে আবুশ শাইখ ও ইবনু মারদুবিয়্যাহ এক সাথে “তাফসীর” গ্রন্থে এ সূত্রেই উল্লেখ করেছেন যেমনটি “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে এসেছে। আর মানবীর “আততাইসীর” গ্রন্থে এসেছেঃ এর সনদটি দুর্বল।

ثلاث من كن فيه فهي راجعة على صاحبها: البغي والمكر والنكث، ثم قرأ " ولا يحيق المكر السيء إلا بأهله " وقال: " يا أيها الناس إنما بغيكم على أنفسكم " وقرأ " فمن نكث فإنما ينكث على نفسه
ضعيف

-

رواه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 71) وعنه الخطيب (8 / 450) عن النضر بن هشام: حدثنا مروان بن صبيح حدثنا عبد العزيز بن صهيب عن أنس بن مالك مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، مروان بن صبيح قال الذهبي في " الميزان ": " لا أعرفه، وله خبر منكر ". ثم ساق له هذا من طريق أبي نعيم، وقال عقبه: " النضر، قال ابن أبي حاتم: أصبهاني صدوق ". ووقع في " اللسان ": " النضر، قال ابن أبي حاتم: مروان الأصبهاني صدوق ". وهذا خطأ مطبعي، والصواب ما في " الميزان " كما يشهد له ما في " الجرح والتعديل " (4 / 1 / 481) ولم يورد مروان هذا أصلا. والحديث رواه أبو الشيخ أيضا وابن مردويه معا في " التفسير " من هذا الوجه كما في " الجامع الصغير "، وقال في " التيسير ": " إسناده ضعيف

ثلاث من كن فيه فهي راجعة على صاحبها: البغي والمكر والنكث، ثم قرأ " ولا يحيق المكر السيء إلا بأهله " وقال: " يا أيها الناس إنما بغيكم على أنفسكم " وقرأ " فمن نكث فإنما ينكث على نفسه ضعيف - رواه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 71) وعنه الخطيب (8 / 450) عن النضر بن هشام: حدثنا مروان بن صبيح حدثنا عبد العزيز بن صهيب عن أنس بن مالك مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، مروان بن صبيح قال الذهبي في " الميزان ": " لا أعرفه، وله خبر منكر ". ثم ساق له هذا من طريق أبي نعيم، وقال عقبه: " النضر، قال ابن أبي حاتم: أصبهاني صدوق ". ووقع في " اللسان ": " النضر، قال ابن أبي حاتم: مروان الأصبهاني صدوق ". وهذا خطأ مطبعي، والصواب ما في " الميزان " كما يشهد له ما في " الجرح والتعديل " (4 / 1 / 481) ولم يورد مروان هذا أصلا. والحديث رواه أبو الشيخ أيضا وابن مردويه معا في " التفسير " من هذا الوجه كما في " الجامع الصغير "، وقال في " التيسير ": " إسناده ضعيف
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫১

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫১। তিনটি বস্তু রয়েছে যে ব্যক্তি সেগুলো করবে সে অত্যাচারী হয়ে যাবেঃ যে না-হক ঝাণ্ডায় বিশ্বাসী হবে, অথবা তার পিতা মাতার অবাধ্য হবে, অথবা কোন অত্যাচারীর সাথে তাকে সহযোগিতা করার জন্য চলবে সে অত্যাচারী। আল্লাহ্ তা'য়ালা বলেনঃ "অবশ্যই আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব।" (সূরা আস-সিজদা ২২)।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে সা'লাবী (৩/৮৯/১) ও অহেদী “আলঅসীত” গ্রন্থে (৩/২০৩/২) ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি আব্দুল আযীয ইবনু ওবাইদুল্লাহ হতে, তিনি উবাদাহ ইবনু নুসাই হতে, তিনি জুনাদাহ ইবনু আবী উমাইয়্যাহ হতে, তিনি মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। আব্দুল আযীয ইবনু ওবাইদুল্লাহ ছাড়া এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তিনি হচ্ছেন ইবনু হামযাহ ইবনু সুহায়েব।

হাফিয যাহাবী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি দুর্বল। তাকে ইবনু আবী হাতেম, ইবনু মাঈন ও ইবনুল মাদীনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তার থেকে শুধুমাত্র ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশই বর্ণনা করেছেন।

তার সুত্র হতে ইবনু মানী' "আলমু'জাম" গ্রন্থে, ইবনু জারীর ও ইবনু আবী হাতেম বর্ণনা করেছেন যেমনটি “আলজামেউল কাবীর” গ্রন্থে এসেছে এবং ত্ববারানী "আলকাবীর" গ্রন্থে (২০/৬১/১১২) বর্ণনা করেছেন। আর তার দ্বারাই হাইসামী “আলমাজমা” গ্রন্থে (৭/৯০) সমস্যা বর্ণনা করেছেন। আর মানবী “আলফায়েয” গ্রন্থে তা স্বীকার করেছেন। অতঃপর “আততাইসীর” গ্রন্থে দৃঢ়তার সাথে এর সনদকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

ثلاث من فعلهن فقد أجرم: من اعتقد لواء في غير حق، أوعق والديه، أومشى مع ظالم لينصره فقد أجرم، يقول الله سبحانه: إنا من المجرمين منتقمون
ضعيف

-

رواه الثعلبي (3 / 89 / 1) والواحدي في " الوسيط " (3 / 203 / 2) عن إسماعيل بن عياش عن عبد العزيز بن عبيد الله عن عبادة بن نسي عن جنادة بن أبي أمية عن معاذ بن جبل مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، رجاله ثقات غير عبد العزيز بن عبيد الله، وهو ابن حمزة ابن صهيب، قال الذهبي: " واه، ضعفه أبو حاتم وابن معين وابن المديني، وما روى عنه سوى إسماعيل بن عياش ". ومن طريقه رواه ابن منيع " في المعجم "، وابن جرير، وابن أبي حاتم كما في " الجامع الكبير ". والطبراني في " الكبير " (20 / 61 / 112) وبه أعله الهيثمي في " المجمع " (7 / 90) وأقره المناوي في " الفيض "، ومن ثم جزم بضعف إسناده في التيسير

ثلاث من فعلهن فقد أجرم: من اعتقد لواء في غير حق، أوعق والديه، أومشى مع ظالم لينصره فقد أجرم، يقول الله سبحانه: إنا من المجرمين منتقمون ضعيف - رواه الثعلبي (3 / 89 / 1) والواحدي في " الوسيط " (3 / 203 / 2) عن إسماعيل بن عياش عن عبد العزيز بن عبيد الله عن عبادة بن نسي عن جنادة بن أبي أمية عن معاذ بن جبل مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، رجاله ثقات غير عبد العزيز بن عبيد الله، وهو ابن حمزة ابن صهيب، قال الذهبي: " واه، ضعفه أبو حاتم وابن معين وابن المديني، وما روى عنه سوى إسماعيل بن عياش ". ومن طريقه رواه ابن منيع " في المعجم "، وابن جرير، وابن أبي حاتم كما في " الجامع الكبير ". والطبراني في " الكبير " (20 / 61 / 112) وبه أعله الهيثمي في " المجمع " (7 / 90) وأقره المناوي في " الفيض "، ومن ثم جزم بضعف إسناده في التيسير
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫২

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫২। যার মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকবে তাকে নিজের কৃপণতা থেকে রক্ষা করা হবেঃ যে যাকাত আদায় করবে, মেহমানদারী করবে এবং বিপদের সময় দান করবে।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ত্ববারানী (১/২০৫/২) ইবরাহীম ইবনু ইসমাঈল ইবনু মুজাম্মা হতে, তিনি মুজাম্মা ইবনু ইয়াহইয়া হতে, তিনি তার চাচা খালেদ ইবনু যায়েদ ইবনু জারিয়্যাহ হতে মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হাইসামী (৩/৬৮) বলেনঃ ইবরাহীম ইবনু ইসমাঈল ইবনু মুজাম্মা দুর্বল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এর অন্য একটি সূত্র রয়েছে, সেটিকে ত্ববারানী "আসসাগীর" গ্রন্থে (পৃঃ ২৫) যাকারিয়া ইবনু ইয়াহইয়া অকার হতে, তিনি বিশর ইবনু বাকর হতে, তিনি আওযাঈ হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর হতে, তিনি আবূ সালামাহ হতে, তিনি জাবের (রাঃ) হতে মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটিকে আওযাঈ হতে শুধুমাত্র বিশর বর্ণনা করেছেন। যাকারিয়া এটিকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনিও দুর্বল যেমনটি হাইসামী বলেছেন। বরং তিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত, তাকে একাধিক ব্যক্তি মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু উমার ইবনু আলী মুকাদ্দামী তার মুতাবায়াত করেছেন মাজমা ইবনু ইয়াহইয়া জারিয়্যাহ হতে নিম্নের ভাষায় বর্ণনা করেঃ কৃপণতা হতে মুক্ত যে ... আদায় করবে ...। আলহাদীস।

এ মুকাদ্দামী নির্ভরযোগ্য। কিন্তু তিনি কঠিন প্রকৃতির তাদলীস করতেন যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন। তবে তার মুতাবা'য়াত করা হয়েছে যেমনটি আসবে।

হাদিসটিকে সুয়ূতী দ্বিতীয় ভাষায় হান্নাদ, আবূ ইয়ালা ও ত্ববারানীর বর্ণনায় খালেদ ইবনু যায়েদ ইবনু জারিয়্যাহ হতে বর্ণনা করেছেন। আর হাফিয ইবনু হাজার শুধুমাত্র শেষ দু’জনের বর্ণনায় মুজাম্মা ইবনু ইয়াহইয়া হতে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এর সনদ হাসান। কিন্তু খালেদ ইবনু যায়েদকে ইমাম বুখারী ও ইবনু হিব্বান তাবেঈনদের অন্তর্ভুক্ত উল্লেখ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির মধ্যে এটি আরেক এক সমস্যা। আর তা হচ্ছে মুরসাল হওয়া। আর হাফিয ইবনু হাজার যে হাসান আখ্যা দিয়েছেন, সম্ভবত উপরোক্ত দুটি সূত্র ছাড়া আবু ইয়ালার নিকট মুজাম্মা হতে অন্য সূত্রে। আর এটাকে দূরবর্তী বিষয়ই মনে করছি। (আল্লাহই বেশী জানেন)।

অতঃপর আমার ধারণা সঠিক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে যখন ইবনু হিব্বানকে দেখলাম হাদীসটিকে “আসসিকাত” গ্রন্থে (৪/২০২) আবূ ইয়ালার সূত্ৰে-তিনি হচ্ছেন তার শাইখ- তার সনদে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি মুজাম্মা ইবনু ইয়াহইয়া হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি খালেদকে অতিক্রম করেননি। এভাবেই হান্নাদ “আযযুহুদ” গ্রন্থে (২/৫১৪/১০৬০) অন্য সূত্রে মুজাম্মা হতে বর্ণনা করেছেন। আর ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ এটি মুরসাল।

ثلاث من كن فيه وقي شح نفسه: من أدى الزكاة وقرى الضيف وأعطى في النائبة
ضعيف

-

رواه الطبراني (1 / 205 / 2) عن إبراهيم بن إسماعيل بن مجمع عن مجمع بن يحيى عن عمه خالد بن زيد بن جارية مرفوعا. قال الهيثمي (3 / 68): " وإبراهيم بن إسماعيل بن مجمع ضعيف ". قلت: وله طريق أخرى أخرجه في " الصغير " (ص 25) عن زكريا بن يحيى الوقار: حدثنا بشر بن بكر عن الأوزاعي عن يحيى بن أبي كثير عن أبي سلمة عن جابر مرفوعا. وقال: " لم يروه عن الأوزاعي، إلا بشر، تفرد به زكريا ". قلت: وهو ضعيف أيضا كما قال الهيثمي، بل هو هالك فقد كذبه غير واحد. لكن تابعه عمر بن علي المقدمي عن مجمع بن يحيى بن جارية به بلفظ: " برىء من الشح من أدى ... " الحديث. والمقدمي هذا ثقة، ولكنه كان يدلس شديدا كما قال الحافظ، لكنه توبع كما يأتي. والحديث أورده السيوطي باللفظ الثاني من رواية هناد وأبي يعلى والطبراني عن خالد ابن زيد بن جارية. وعزاه الحافظ في " الإصابة " للأخيرين فقط من طريق مجمع بن يحيى به، وقال: " إسناده حسن، لكن ذكره (يعني خالد بن زيد) البخاري وابن حبان في التابعين ". قلت: فهذه علة أخرى في الحديث، ألا وهي الإرسال. وأما تحسين الحافظ لإسناده، فلعله عند أبي يعلى من غير الطريقين المتقدمين عن مجمع، وذلك ما أستبعده. والله أعلم. ثم صدق ظني حين رأيت ابن حبان قد أخرج الحديث في " الثقات " (4 / 202) من طريق أبي يعلى - وهو شيخه - بسنده عن ابن المبارك عن مجمع بن يحيى به لم يجاوز خالدا. وهكذا رواه هناد في " الزهد " (2 / 514 / 1060) من طريق أخرى عن مجمع به. وقال ابن حبان: مرسل

ثلاث من كن فيه وقي شح نفسه: من أدى الزكاة وقرى الضيف وأعطى في النائبة ضعيف - رواه الطبراني (1 / 205 / 2) عن إبراهيم بن إسماعيل بن مجمع عن مجمع بن يحيى عن عمه خالد بن زيد بن جارية مرفوعا. قال الهيثمي (3 / 68): " وإبراهيم بن إسماعيل بن مجمع ضعيف ". قلت: وله طريق أخرى أخرجه في " الصغير " (ص 25) عن زكريا بن يحيى الوقار: حدثنا بشر بن بكر عن الأوزاعي عن يحيى بن أبي كثير عن أبي سلمة عن جابر مرفوعا. وقال: " لم يروه عن الأوزاعي، إلا بشر، تفرد به زكريا ". قلت: وهو ضعيف أيضا كما قال الهيثمي، بل هو هالك فقد كذبه غير واحد. لكن تابعه عمر بن علي المقدمي عن مجمع بن يحيى بن جارية به بلفظ: " برىء من الشح من أدى ... " الحديث. والمقدمي هذا ثقة، ولكنه كان يدلس شديدا كما قال الحافظ، لكنه توبع كما يأتي. والحديث أورده السيوطي باللفظ الثاني من رواية هناد وأبي يعلى والطبراني عن خالد ابن زيد بن جارية. وعزاه الحافظ في " الإصابة " للأخيرين فقط من طريق مجمع بن يحيى به، وقال: " إسناده حسن، لكن ذكره (يعني خالد بن زيد) البخاري وابن حبان في التابعين ". قلت: فهذه علة أخرى في الحديث، ألا وهي الإرسال. وأما تحسين الحافظ لإسناده، فلعله عند أبي يعلى من غير الطريقين المتقدمين عن مجمع، وذلك ما أستبعده. والله أعلم. ثم صدق ظني حين رأيت ابن حبان قد أخرج الحديث في " الثقات " (4 / 202) من طريق أبي يعلى - وهو شيخه - بسنده عن ابن المبارك عن مجمع بن يحيى به لم يجاوز خالدا. وهكذا رواه هناد في " الزهد " (2 / 514 / 1060) من طريق أخرى عن مجمع به. وقال ابن حبان: مرسل
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫৩

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫৩। আল্লাহ্ তা'য়ালা প্রত্যেক যবানের নিকটেই রয়েছেন। অতএব ব্যক্তি যেন আল্লাহকে ভয় করে সে যা বলছে তা জেনে।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে কাযাঈ (১/৯৩) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি উমার ইবনু যার হতে, তিনি তার পিতা হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি ইবনুল মুবারাকের "আযযুহুদ" গ্রন্থে (১৭১/১-২ কাওয়াকিব (৫৭৫) হতে- নং ৩৬৭) বর্ণিত হয়েছে। এটিকে "আলহিলইয়্যাহ" গ্রন্থে (৮/৩৫২, ৯/৪৪) ও খাতীব তার "তারীখ" গ্রন্থে (৯/৩২৯) বিভিন্ন সূত্রে উমার ইবনু যার হতে বর্ণনা করেছেন।

এ সনদের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য, তবে সনদটি মুযাল। কারণ যার কোন সাহাবী হতে শ্রবণ করেননি। মওসূল হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। এটিকে আবূ নুয়াইম “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (৮/১৬০) ওহাইব ইবনু অরদ মাক্কী সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু যুহায়ের হতে, তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ এটি গারীব, একমাত্র ইবনু ওহাইবের হাদীস হতে এটিকে আমরা মারফু মুত্তাসিল হিসেবে বর্ণনা করেছি।

আমি (আলবানী) বলছি আর এ মুহাম্মাদ ইবনু যুহায়ের হচ্ছেন মাজহুল যেমনটি হাফিয যাহাবী বলেছেন। হাদীসটিকে ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (৫৪) মুসলমাহ ইবনু আলী আদাবী হতে, তিনি এক ব্যক্তি হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

কিন্তু এ সনদটি ধ্বংসাত্মক। কারণ মাসলামাহ হচ্ছেন খুশানী আর তিনি মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী। আর তার উপরের কয়েকজন অপরিচিত (মাজহুল) বর্ণনাকারী।

إن الله عند لسان كل قائل، فاتقى الله امرؤ وعلم ما يقول
ضعيف

-

رواه القضاعي (93 / 1) عن عبد الله بن المبارك قال: أخبرنا عمر بن ذر عن أبيه مرفوعا. وهو في " الزهد " لابن المبارك " (171 / 1 - 2 من الكواكب 575، برقم 367 - ط) ورواه أبو نعيم في " الحلية " (8 / 352، 9 / 44) والخطيب في " تاريخه " (9 / 329) من طرق عن عمر بن ذر به. وهذا إسناد رجاله ثقات لكنه معضل، فإن ذرا لم يسمع من أحد من الصحابة. وقد روي موصولا، أخرجه أبو نعيم (8 / 160) من طريق وهيب بن الورد المكي عن محمد بن زهير عن ابن عمر مرفوعا به. وقال: " غريب لم نكتبه متصلا مرفوعا إلا من حديث وهيب ". قلت: ومحمد بن زهير هذا مجهول كما قال الذهبي. ورواه ابن وهب في " الجامع " (54) : حدثني مسلمة (يعني ابن علي) عن العدوي عن رجل عن أبيه عن
أبيه عن أنس بن مالك مرفوعا به. وهذا إسناد هالك، مسلمة وهو الخشني متهم، ومن فوقه مجاهيل

إن الله عند لسان كل قائل، فاتقى الله امرؤ وعلم ما يقول ضعيف - رواه القضاعي (93 / 1) عن عبد الله بن المبارك قال: أخبرنا عمر بن ذر عن أبيه مرفوعا. وهو في " الزهد " لابن المبارك " (171 / 1 - 2 من الكواكب 575، برقم 367 - ط) ورواه أبو نعيم في " الحلية " (8 / 352، 9 / 44) والخطيب في " تاريخه " (9 / 329) من طرق عن عمر بن ذر به. وهذا إسناد رجاله ثقات لكنه معضل، فإن ذرا لم يسمع من أحد من الصحابة. وقد روي موصولا، أخرجه أبو نعيم (8 / 160) من طريق وهيب بن الورد المكي عن محمد بن زهير عن ابن عمر مرفوعا به. وقال: " غريب لم نكتبه متصلا مرفوعا إلا من حديث وهيب ". قلت: ومحمد بن زهير هذا مجهول كما قال الذهبي. ورواه ابن وهب في " الجامع " (54) : حدثني مسلمة (يعني ابن علي) عن العدوي عن رجل عن أبيه عن أبيه عن أنس بن مالك مرفوعا به. وهذا إسناد هالك، مسلمة وهو الخشني متهم، ومن فوقه مجاهيل
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫৪

১৯৫৪। তুমি যার দ্বারা তোমার ভাইকে সম্বোধন করাকে অপছন্দ কর তাই গীবাত।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু আসাকির (১৪/৩৩৯/২) আহমাদ ইবনু সালেহ ইবনু আরসালান ফাইসূমী হতে মক্কায়, তিনি আব্দুল ফায়েয যুননূন ইবনু ইবরাহীম মিসরী হতে, তিনি ইউনুস ইবনু যায়েদ হতে, তিনি যুহরী হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। আহমাদ ইবনু সালেহ, আমার ধারণা তিনি মাক্কী সাওয়াক, তাকে দারাকুতনী প্রমুখ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু “আললিসান” গ্রন্থে যিনমূন মিসরী হতে আহমাদ ইবনু সুবাইহ ফাউমীকে উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে দু’স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। জানি না এটি সঠিক নাকি যা “আততারীখ” গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।

আর ইবনু সুবাইহির জীবনী আমি পাচ্ছি না।

আর যুন্নুন সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ মালেক হতে তিনি কতিপয় হাদীস বর্ণনা করেছেন সেগুলোর ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে।

আলোচ্য এ হাদীসটির সনদের মধ্যে বিরোধিতা করা হয়েছে। ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ৫৪) বলেনঃ আমাকে হাদীসটি সেই বর্ণনা করে শুনিয়েছেন যিনি আকীল ইবনু খালেদ হতে শুনেছেন, তিনি ইবনু শিহাব হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি এটিকে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত মুরসাল হওয়াই সঠিক। ইবনু ওয়াহাব অন্য একটি সূত্রে ভিন্ন ভাষায় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সেটি একটি হাদীস পরে আসবে।

হাদীসটিকে সুয়ূতী ইবনু আসাকিরের বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। আর মানবী এর জন্য সাদা স্থান ছেড়ে দিয়ে তার দু'গ্রন্থের মধ্যে এর সনদ সম্পর্কে কোন কিছুই বলেননি। বাহ্যিক অবস্থা এই যে, সম্ভবত তিনি এর সনদ সম্পর্কে অবগত হননি।

ما كرهت أن تواجه به أخاك فهو غيبة
ضعيف

-

رواه ابن عساكر (14 / 339 / 2) عن أحمد بن صالح بن أرسلان الفيومي - بمكة -: حدثنا أبو الفيض ذوالنون بن إبراهيم المصري: حدثني يونس - يعني ابن زيد - حدثني الزهري عن أنس مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، أحمد بن صالح هذا أظنه المكي، السواق ضعفه الدارقطني وغيره. لكن وقع في الرواة عن ذي النون المصري من " اللسان أحمد بن صبيح الفيومي. وقع ذلك في موضعين منه، فلا أدري هل الصواب هذا، أم ما في " التاريخ ". وابن صبيح لم أجد له ترجمة. وذوالنون قال الدارقطني: " روى عن مالك أحاديث فيها نظر ". وقد خولف في إسناد هذا الحديث، فقال ابن وهب في " الجامع " (ص 54) : " وحدثني من سمع عقيل بن خالد يحدث عن ابن شهاب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره

قلت: فأرسله. ولعله الصواب. وقد رواه ابن وهب من طريق أخرى، بلفظ آخر، يأتي بعد حديث، وهو أصح. والحديث أورده السيوطي من رواية ابن عساكر، وبيض له المناوي، فلم يتكلم على إسناده بشيء في كل من كتابيه، فالظاهر أنه لم يقف على إسناده

ما كرهت أن تواجه به أخاك فهو غيبة ضعيف - رواه ابن عساكر (14 / 339 / 2) عن أحمد بن صالح بن أرسلان الفيومي - بمكة -: حدثنا أبو الفيض ذوالنون بن إبراهيم المصري: حدثني يونس - يعني ابن زيد - حدثني الزهري عن أنس مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، أحمد بن صالح هذا أظنه المكي، السواق ضعفه الدارقطني وغيره. لكن وقع في الرواة عن ذي النون المصري من " اللسان أحمد بن صبيح الفيومي. وقع ذلك في موضعين منه، فلا أدري هل الصواب هذا، أم ما في " التاريخ ". وابن صبيح لم أجد له ترجمة. وذوالنون قال الدارقطني: " روى عن مالك أحاديث فيها نظر ". وقد خولف في إسناد هذا الحديث، فقال ابن وهب في " الجامع " (ص 54) : " وحدثني من سمع عقيل بن خالد يحدث عن ابن شهاب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره قلت: فأرسله. ولعله الصواب. وقد رواه ابن وهب من طريق أخرى، بلفظ آخر، يأتي بعد حديث، وهو أصح. والحديث أورده السيوطي من رواية ابن عساكر، وبيض له المناوي، فلم يتكلم على إسناده بشيء في كل من كتابيه، فالظاهر أنه لم يقف على إسناده
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫৫

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫৫। যেই অতিতের সব কিছুর উপর এবং কিয়ামত দিবস পর্যন্ত ভবিষ্যতের সব কিছুর উপর বিশ্বাসী (মুমিন) হবে অবশ্যই তার এক প্রতিবেশী হবে যে তাকে কষ্ট দিবে।

হাদীসটি বানোয়াট।

এটিকে ইবনু শাহীন “আততারগীব” গ্রন্থে (১/২৯৮) আলী ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু মাহরুবিয়্যাহ কাযবিনী হতে, তিনি দাউদ ইবনু সুলাইমান কাযবিনী হতে, তিনি আলী ইবনু মূসা রিযা হতে, তিনি মূসা ইবনু জা'ফার হতে, তিনি তার পিতা জা'ফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি তার পিতা মুহাম্মাদ ইবনু আলী হতে, তিনি তার পিতা আলী ইবনুল হুসাইন হতে, তিনি তার পিতা হুসাইন ইবনু আলী হতে, তিনি তার পিতা আলী ইবনু আবী তালেব (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে দাউদ ইবনু সুলাইমান কাযবীনী, তিনি হচ্ছেন জুরজানী গায়ী। হাফিয যাহাবী তার সম্পর্কে বলেনঃ তাকে ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আর আবু হাতিম তাকে চিনেননি। সর্বাবস্থায় তিনি মিথ্যুক শাইখ। রিযা হতে তার একটি বানোয়াট পাণ্ডলিপি রয়েছে। সেটাকে আলী ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু জাহরাবিয়্যাহ কাযবীনী আসসদক তার থেকে বর্ণনা করেছেন।

অতঃপর তিনি এ সনদে তার আরো দু'টি হাদীস উল্লেখ করেছেন। মানবী আরো অগ্রসর হয়ে রিযার দ্বারা হাদিসটির সমস্যা বর্ণনা করে বলেছেনঃ এর সনদে আলী ইবনু মূসা রিযা রয়েছেন। ইবনু তাহের বলেনঃ তিনি তার পিতাদের উদ্ধতিতে আজব আজব বস্তু নিয়ে এসেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ মানবী কিছুই করেননি। কারণ সমস্যা হচ্ছে রিযা হতে বর্ণনাকারী হতে যেমনটি অবগত হয়েছেন।

হাদীসটিকে “আলজামে” গ্রন্থে শুধুমাত্র দাইলামীর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন! আর তিনি হাদীসটিকে (৩/২৯/১) ইবনু শাহীনের সূত্র হতে বর্ণনা করেছেন।

ما كان ولا يكون إلى يوم القيامة مؤمن، إلا وله جار يؤذيه
موضوع

-

رواه ابن شاهين في " الترغيب " (298 / 1) : حدثنا علي بن محمد بن مهرويه القزويني حدثنا داود بن سليمان القزويني حدثنا علي بن موسى الرضا حدثنا موسى بن جعفر عن أبيه جعفر بن محمد عن أبيه محمد بن علي عن أبيه علي بن الحسين عن أبيه الحسين ابن علي عن أبيه علي بن أبي طالب رفعه. قلت: وهذا إسناد موضوع، آفته داود بن سليمان القزويني، وهو الجرجاني الغازي، قال الذهبي: " كذبه يحيى بن معين، ولم يعرفه أبو حاتم، وبكل حال، فهو شيخ كذاب، له نسخة موضوعة عن الرضا، رواه علي بن محمد بن جهرويه القزويني الصدوق عنه ... " ثم ذكر له بهذا الإسناد حديثين غير هذا. ولقد أبعد المناوي النجعة، فأعله
بالرضا، فقال: " وفيه علي بن موسى الرضا. قال ابن طاهر: يأتي عن آبائه بعجائب. وقال الذهبي: الشأن في صحة الإسناد إليه "! قلت: فلم يصنع المناوي شيئا، وإنما العلة من الراوي عن الرضا كما عرفت. والحديث في " الجامع " من رواية الديلمي فقط! وهو أخرجه (3 / 29 / 1) من طريق ابن شاهين

ما كان ولا يكون إلى يوم القيامة مؤمن، إلا وله جار يؤذيه موضوع - رواه ابن شاهين في " الترغيب " (298 / 1) : حدثنا علي بن محمد بن مهرويه القزويني حدثنا داود بن سليمان القزويني حدثنا علي بن موسى الرضا حدثنا موسى بن جعفر عن أبيه جعفر بن محمد عن أبيه محمد بن علي عن أبيه علي بن الحسين عن أبيه الحسين ابن علي عن أبيه علي بن أبي طالب رفعه. قلت: وهذا إسناد موضوع، آفته داود بن سليمان القزويني، وهو الجرجاني الغازي، قال الذهبي: " كذبه يحيى بن معين، ولم يعرفه أبو حاتم، وبكل حال، فهو شيخ كذاب، له نسخة موضوعة عن الرضا، رواه علي بن محمد بن جهرويه القزويني الصدوق عنه ... " ثم ذكر له بهذا الإسناد حديثين غير هذا. ولقد أبعد المناوي النجعة، فأعله بالرضا، فقال: " وفيه علي بن موسى الرضا. قال ابن طاهر: يأتي عن آبائه بعجائب. وقال الذهبي: الشأن في صحة الإسناد إليه "! قلت: فلم يصنع المناوي شيئا، وإنما العلة من الراوي عن الرضا كما عرفت. والحديث في " الجامع " من رواية الديلمي فقط! وهو أخرجه (3 / 29 / 1) من طريق ابن شاهين
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫৬

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫৬। সর্বোত্তম যা কিছু মানুষকে দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে ভালো চরিত্র। আর সর্বনিকৃষ্ট যা কিছু মানুষকে দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে ভালো আকৃতিতে মদ চরি৷ আর তুমি যখন এমন কোন কর্মকরবে বা মানুষ কর্তৃক জানাকে তুমি অপছন্দ কর তখন তুমি সে কর্ম করো না।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ৬৫) আশহাল ইবনু হাতেম হতে, তিনি শুবা ইবনুল হাজ্জাজ হতে, তিনি আবু ইসহাক হতে, তিনি এক ব্যক্তি হতে, তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল, নাম না-নেয়া ব্যক্তি অজ্ঞাত হওয়ার কারণে। মানবী যে বলেছেনঃ তিনি হচ্ছেন সাহাবী। তা স্পষ্ট নয়। তাই যদি হতো তাহলে আবু ইসহাক সুবায়ঈ তা স্পষ্ট করতেন। তার স্পষ্ট না করাই প্রমাণ করছে যে তিনি সাহাবী কিনা আবু ইসহাক তা অবগত হননি।

আর আশহাল ইবনু হাতেম সত্যবাদী ভুলকারী যেমনটি "আততাকরীব" গ্রন্থে এসেছে। সুয়ূতী ইবনু আবী শাইবার বর্ণনা হতে দ্বিতীয় অংশ ছাড়া হাদীসটিকে উল্লেখ করেছেন।

তবে হাদীসটির দু’ধার (প্রথম এবং শেষ) বিভিন্ন সূত্রে সাব্যস্ত হয়েছে উসামাহ ইবনু শারীকের হাদীস হতে। প্রথম অংশের সনদ সহীহ। সেটিকে ইবনু হিব্বান ও হাকিম সহীহ আখ্যা দিয়েছেন যেমনটি “মিশকাত” গ্রন্থে (৫০৭৯) এর তাখরীজ করা হয়েছে। আর শেষোক্ত অংশ হচ্ছে হাসান লিগাইরিহি। যেমনটি অন্য গ্রন্থের মধ্যে (সহীহাহ) (১০৫৫) বর্ণনা করেছি।

خير ما أعطي الإنسان الخلق الحسن، وإن شر ما أعطي الإنسان الخلق السيء في الصورة الحسنة، وما كرهت أن يعلمه الناس إذا عملته، فلا تعمله
ضعيف

-

أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 65) : أخبرني أشهل بن حاتم عن شعبة بن الحجاج عن أبي إسحاق عن رجل قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف لجهالة الرجل الذي لم يسم، وما استظهره المناوي أنه صحابي، ليس بظاهر، كيف ولوكان كذلك لصرح أبو إسحاق - وهو السبيعي - بذلك، بل إن عدم تصريحه بذلك يدل على أنه لم يعرف كونه صحابيا، وإلا لم يعمه علينا إن شاء الله تعالى. وأشهل بن حاتم صدوق يخطىء كما في " التقريب ". والحديث أورده السيوطي من رواية ابن أبي شيبة دون الشطر الثاني منه. لكن طرفا الحديث قد ثبتا من طرق أخرى، من حديث أسامة بن شريك، والأول
إسناده صحيح وصححه ابن حبان والحاكم كما في تخريجي " للمشكاة " (5079)، والآخر حسن لغيره كما بينته في الكتاب الآخر (1055)

خير ما أعطي الإنسان الخلق الحسن، وإن شر ما أعطي الإنسان الخلق السيء في الصورة الحسنة، وما كرهت أن يعلمه الناس إذا عملته، فلا تعمله ضعيف - أخرجه ابن وهب في " الجامع " (ص 65) : أخبرني أشهل بن حاتم عن شعبة بن الحجاج عن أبي إسحاق عن رجل قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف لجهالة الرجل الذي لم يسم، وما استظهره المناوي أنه صحابي، ليس بظاهر، كيف ولوكان كذلك لصرح أبو إسحاق - وهو السبيعي - بذلك، بل إن عدم تصريحه بذلك يدل على أنه لم يعرف كونه صحابيا، وإلا لم يعمه علينا إن شاء الله تعالى. وأشهل بن حاتم صدوق يخطىء كما في " التقريب ". والحديث أورده السيوطي من رواية ابن أبي شيبة دون الشطر الثاني منه. لكن طرفا الحديث قد ثبتا من طرق أخرى، من حديث أسامة بن شريك، والأول إسناده صحيح وصححه ابن حبان والحاكم كما في تخريجي " للمشكاة " (5079)، والآخر حسن لغيره كما بينته في الكتاب الآخر (1055)
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫৭

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫৭। আল্লাহ্ তা'য়ালা বান্দাকে যা কিছুর অনুমতি দিয়েছেন তার মধ্যে দু'রাক'য়াত সালাতের চেয়ে উত্তম কিছু নেই সে যে দু'রাক'য়াত সালাত আদায় করে থাকে। সদাচরণ বান্দার মাথার উপর নিক্ষেপ করা হয় যে পর্যন্ত সে সালাতের মধ্যে থাকে। বান্দার নিকট হতে যা বের হয় (অর্থাৎ কুরআন) এর মত কোন কিছুর দ্বারাই বান্দারা আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে না।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে তিরমিযী (২/১৫০), আহমাদ (৫/২৬৮), ইবনু নাসর “আসসালাত” গ্রন্থে (কাফ ২/৩০) ও আবু বাকর কালাবাযী "মিফতাহুল মায়ানী" গ্রন্থে (২/১৫৬) বাকর ইবনু খুনাইস সূত্রে লাইস ইবনু আবূ সুলাইম হতে, তিনি যায়েদ ইবনু আরতাত হতে, তিনি আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গারীব। একমাত্র আমরা এটিকে এ সূত্রেই চিনি। আর বাকর ইবনু খুনাইসের ইবনুল মুবারাক সমালোচনা করেছেন এবং তার শেষ জীবনে তাকে তিনি ত্যাগ করেছেন। এ হাদীসটিকে বর্ণনা করা হয়েছে যায়েদ ইবনু আরতাত হতে, তিনি জুবায়ের ইবনু নুফায়ের হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ অতঃপর তিনি তার সে সনদে জুবায়ের ইবনু নুফায়ের পর্যন্ত মুরসাল মারফু' হিসেবে শুধুমাত্র শেষ বাক্যটিকে নিম্নের ভাষায় উল্লেখ করেছেনঃ

"তোমরা আল্লাহর নিকট কোন কিছু নিয়েই ফিরে যেতে পারবে না এর চেয়ে উত্তম ...।"

হাদীসটিকে হাইসামী "আলমাজমা" গ্রন্থে (২/২৫০) সম্পূর্ণরূপে জুবায়ের ইবনু নুফায়ের হতে মুরসাল মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটিকে ত্ববারানী “আলকাবীর” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে লাইস ইবনু আবূ সুলাইম রয়েছেন আর তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে।

হাদীসটির শেষ বাক্যটিকে ইবনু নাসর "কিয়ামুল লাইল" গ্রন্থে (পৃঃ ৭১) শাইখ আহমাদ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। যার মধ্যে হাশেম ইবনুল কাসেম রয়েছেন, তিনি বাকর ইবনু খুনাইস হতে বর্ণনা করেছেন।

আর মুরসাল হাদিসটিকে তিরমিযী আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী হতে, তিনি মুয়াবিয়াহ হতে, তিনি আলা ইবনুল হারেস হতে, তিনি যায়েদ ইবনু আরতাত হতে বর্ণনা করেছেন।

এটি মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও এর সনদে আলী ইবনুল হারেস রয়েছেন। আর তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।

এটিকে আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ মওসূল হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তিনি তার সনদে মুয়াবিয়্যাহ ইবনু সালেহ হতে, তিনি জুবায়ের ইবনু নুফায়ের হতে, তিনি উকবাহ ইবনু আমের জুহানী (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এটিকে হাকিম (২/৪৪১) বর্ণনা করে বলেছেনঃ এর সনদটি সহীহ। আর যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

এর সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ রয়েছেন, তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। যখন তিনি এককভাবে বর্ণনা করেন তখন তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। অতএব তিনি বিরোধিতা করে বর্ণনা করলে কিভাবে তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য হতে পারে? কিভাবে তিনি গ্রহণযোগ্য হবেন যখন তিনি নির্ভরযোগ্য হাফেয ইবনু মাহদীর বিরোধিতা করে বর্ণনা করেন। আর তিনি এটিকে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন যেমনটি দেখেছেন। অতএব এটি সহীহ হয় কিভাবে? বিশেষ করে মুরসাল এবং মওসূল উভয় ক্ষেত্রেই এর কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে বর্ণনাকারী আলা। আর তার সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন। ইমাম বুখারী “খালকু আফয়ালিল ইবাদ” গ্রন্থে (পৃঃ ৯১) হাদীসটিকে মুয়াল্লাক হিসেবে উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়, মুরসাল এবং সনদে বিচ্ছিন্নতা থাকার কারণে।

অতঃপর আমি দেখেছি হাদীসটিকে হাকিম অন্য স্থানে (১/৫৫৫), আর তার থেকে বাইহাকী “আলআসমা” গ্রন্থে (পৃঃ ২৩৬) সালামাহ্ ইবনু শাবীব সূত্রে আহমাদ ইবনু হাম্বাল হতে, তিনি আব্দুর রহমান মাহদী হতে তার পূর্বোক্ত সনদে, তিনি জুবায়ের ইবনু নুফায়ের হতে, তিনি বৃদ্ধি করেঃ আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হাকিম বলেনঃ এর সনদটি সহীহ। আর যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদটি যদি সালামাহ ইবনু শাবীব পর্যন্ত সহীহ হয়, তাহলে এর সমস্যা হচ্ছে শুধুমাত্র 'আলা ইবনুল হারেস। আল্লাহই বেশী জানেন।

আমি (আলবানী) এ সমস্যা হতে অজ্ঞাত থাকায় হাদীসটিকে “সিলসিলাহ সহীহাহ” গ্রন্থে (৯৬১) উল্লেখ করেছিলাম এবং আমি যেভাবে এখানে উল্লেখ করেছি সেভাবেই সেখানে উল্লেখ করেছি উক্ত সমস্যা সম্পর্কে অবগত না হওয়ার কারণে। (رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا)

ما أذن الله لعبد في شيء أفضل من ركعتين يصليهما، وإن البر ليذر على رأس العبد ما دام في صلاته، وما تقرب العباد إلى الله بمثل ما خرج منه - يعني القرآن
ضعيف

-

أخرجه الترمذي (2 / 150) وأحمد (5 / 268) وابن نصر في " الصلاة " (ق 30 / 2) وأبو بكر الكلاباذي في " مفتاح المعاني " (156 / 2) من طريق بكر بن خنيس عن ليث بن أبي سليم عن زيد بن أرطاة عن أبي أمامة مرفوعا. وقال الترمذي: " حديث غريب لا نعرفه إلا من هذا الوجه، وبكر بن خنيس قد تكلم فيه ابن المبارك، وتركه في آخر عمره. وقد روي هذا الحديث عن زيد بن أرطاة عن جبير بن نفير عن النبي صلى الله عليه وسلم ". قلت: ثم ساق إسناده بذلك إلى جبير بن نفير مرسلا مرفوعا بالجملة الأخيرة فقط بلفظ: " إنكم
لن ترجعوا إلى الله بشيء أفضل ... ". وقد أورده الهيثمي في " المجمع " (2 / 250) بتمامه عن جبير بن نفير (وفي الأصل نوفل وهو تصحيف) مرسلا مرفوعا. وقال: " رواه الطبراني في " الكبير " وفيه ليث بن أبي سليم وفيه كلام ". والحديث روى الجملة الأخيرة منه ابن نصر في " قيام الليل " (ص 71) من طريق شيخ أحمد فيه هاشم بن القاسم: حدثنا بكر بن خنيس به. والحديث المرسل أخرجه الترمذي من طريق عبد الرحمن بن مهدي عن معاوية عن العلاء ابن الحارث عن زيد بن أرطاة به. وهذا مع إرساله فيه العلاء بن الحارث، وكان قد اختلط. وقد وصله عبد الله بن صالح، فقال: حدثني معاوية بن صالح بإسناده عن جبير بن نفير عن عقبة بن عامر الجهني مرفوعا به. أخرجه الحاكم (2 / 441) وقال: " صحيح
الإسناد ". ووافقه الذهبي. وفيه أن عبد الله بن صالح فيه ضعف، فلا يحتج به إذا تفرد فكيف إذا خالف؟ فكيف إذا كان المخالف الحافظ الثقة ابن مهدي، فقد أرسله كما رأيت، فأنى له الصحة؟ ولاسيما أن مداره موصولا ومرسلا على العلاء، وقد عرفت حاله، وقد قال الإمام البخاري في " خلق أفعال العباد " (ص 91) بعد أن ذكر الحديث معلقا: " لا يصح، لإرساله وانقطاعه ثم رأيت الحاكم قد أخرجه في مكان آخر (1 / 555) وعنه البيهقي في " الأسماء " (ص 236) من طريق سلمة بن شبيب: حدثني أحمد بن حنبل: حدثنا عبد الرحمن بن مهدي بإسناده المتقدم عن جبير بن نفير، فزاد: عن أبي ذر الغفاري مرفوعا به. وقال " صحيح الإسناد". ووافقه الذهبي! قلت: وهذا إن صح السند إلى سلمة بن شبيب علته العلاء بن الحارث فقط. والله أعلم. هذا وقد كنت غفلت عن هذه العلة فأوردت الحديث في " الصحيحة " (961) وخرجته هناك بنحومما هنا دون أن أتنبه لها، فمن وقف على ذلك فليضرب عليه." رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا

ما أذن الله لعبد في شيء أفضل من ركعتين يصليهما، وإن البر ليذر على رأس العبد ما دام في صلاته، وما تقرب العباد إلى الله بمثل ما خرج منه - يعني القرآن ضعيف - أخرجه الترمذي (2 / 150) وأحمد (5 / 268) وابن نصر في " الصلاة " (ق 30 / 2) وأبو بكر الكلاباذي في " مفتاح المعاني " (156 / 2) من طريق بكر بن خنيس عن ليث بن أبي سليم عن زيد بن أرطاة عن أبي أمامة مرفوعا. وقال الترمذي: " حديث غريب لا نعرفه إلا من هذا الوجه، وبكر بن خنيس قد تكلم فيه ابن المبارك، وتركه في آخر عمره. وقد روي هذا الحديث عن زيد بن أرطاة عن جبير بن نفير عن النبي صلى الله عليه وسلم ". قلت: ثم ساق إسناده بذلك إلى جبير بن نفير مرسلا مرفوعا بالجملة الأخيرة فقط بلفظ: " إنكم لن ترجعوا إلى الله بشيء أفضل ... ". وقد أورده الهيثمي في " المجمع " (2 / 250) بتمامه عن جبير بن نفير (وفي الأصل نوفل وهو تصحيف) مرسلا مرفوعا. وقال: " رواه الطبراني في " الكبير " وفيه ليث بن أبي سليم وفيه كلام ". والحديث روى الجملة الأخيرة منه ابن نصر في " قيام الليل " (ص 71) من طريق شيخ أحمد فيه هاشم بن القاسم: حدثنا بكر بن خنيس به. والحديث المرسل أخرجه الترمذي من طريق عبد الرحمن بن مهدي عن معاوية عن العلاء ابن الحارث عن زيد بن أرطاة به. وهذا مع إرساله فيه العلاء بن الحارث، وكان قد اختلط. وقد وصله عبد الله بن صالح، فقال: حدثني معاوية بن صالح بإسناده عن جبير بن نفير عن عقبة بن عامر الجهني مرفوعا به. أخرجه الحاكم (2 / 441) وقال: " صحيح الإسناد ". ووافقه الذهبي. وفيه أن عبد الله بن صالح فيه ضعف، فلا يحتج به إذا تفرد فكيف إذا خالف؟ فكيف إذا كان المخالف الحافظ الثقة ابن مهدي، فقد أرسله كما رأيت، فأنى له الصحة؟ ولاسيما أن مداره موصولا ومرسلا على العلاء، وقد عرفت حاله، وقد قال الإمام البخاري في " خلق أفعال العباد " (ص 91) بعد أن ذكر الحديث معلقا: " لا يصح، لإرساله وانقطاعه ثم رأيت الحاكم قد أخرجه في مكان آخر (1 / 555) وعنه البيهقي في " الأسماء " (ص 236) من طريق سلمة بن شبيب: حدثني أحمد بن حنبل: حدثنا عبد الرحمن بن مهدي بإسناده المتقدم عن جبير بن نفير، فزاد: عن أبي ذر الغفاري مرفوعا به. وقال " صحيح الإسناد". ووافقه الذهبي! قلت: وهذا إن صح السند إلى سلمة بن شبيب علته العلاء بن الحارث فقط. والله أعلم. هذا وقد كنت غفلت عن هذه العلة فأوردت الحديث في " الصحيحة " (961) وخرجته هناك بنحومما هنا دون أن أتنبه لها، فمن وقف على ذلك فليضرب عليه." ربنا لا تؤاخذنا إن نسينا أو أخطأنا
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫৮

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫৮। চারটি বস্তু আশ্চর্যাম্বিত হওয়া ছাড়া লাভ করা যায় নাঃ চুপ থাকা আর তা হচ্ছে ইবাদাতের প্রথম, নম্রতা, কম বস্তু (যা নিজের জন্য ব্যয় করা হয়) ও আল্লাহকে স্মরণ করা।

হাদীসটি বানোয়াট।

এটিকে তাম্মাম “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (২৫৫৯) আওয়াম ইবনু জুয়াইরিয়্যাহ হতে, তিনি হাসান হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে, তিনি বলেনঃ ... তিনি মওকুফ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এটিকে আবু আব্দুর রহমান সুলামী “আদাবুস সুহবাহ” গ্রন্থে (পৃঃ ২২-২৩), হাকিম (৪/৩১১), ত্ববারানী "আলমুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (১/৩৭/১), ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (১/৮১) ও ইবনু হিব্বান “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (২/১৯৬) অন্য দুটি সূত্রে আবু মুয়াবিয়্যাহ হতে বর্ণনা করেছেন।

ইবনু আদী বলেনঃ হাদীসটি আসলে আনাস (রাঃ)-এর কথা হিসেবে মওকুফ। আর হাকিম বলেছেনঃ সনদটি সহীহ। আর হাফিয যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ ইবনু হিব্বান আওয়াম সম্পর্কে বলেনঃ তিনি কতিপয় বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী।

হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামে” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আর মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ লেখক হাদীসটির ব্যাপারে চুপ থেকেছেন, যা সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে যে, এর মধ্যে কোন সমস্যা নেই। আর তা ঘটেছে হাকিম কর্তৃক সহীহ আখ্যা দানের মন্তব্যে ধোঁকায় পড়ে। তিনি হাফিয যাহাবীর “আততালখীস” গ্রন্থের সমালোচনা, মুনযেরী ও হাফিয ইরাকীর মন্তব্যের দিকে লক্ষ্য করেননি যে, এর মধ্যে আওয়াম ইবনু জুওয়াইরিয়্যাহ রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান প্রমুখ বলেনঃ তিনি কতিপয় বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী। অতঃপর তিনি তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।

হাফিয যাহাবী হাদীসটিকে “আলমীযান” গ্রন্থে আলআওয়ামের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন এবং হাকিম কর্তক এটিকে তাখরীজ করার কারণে আশ্চর্যাম্বিত হয়েছেন। এ কারণেই ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে “আলমাওয়ূয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

أربع لا يصبن إلا بعجب: الصمت وهو أول العبادة والتواضع وقلة الشيء وذكر الله عز وجل
موضوع

-

رواه تمام في " الفوائد " (رقم 2559) عن العوام بن جويرية عن الحسن عن أنس قال فذكره موقوفا عليه. ورفعه يحيى بن يحيى: حدثنا أبو معاوية عن العوام بن جويرية عن الحسن عن أنس مرفوعا. أخرجه أبو عبد الرحمن السلمي في " آداب الصحبة " (ص 22 - 23) والحاكم (4 / 311) وأخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (1 / 37 / 1) وابن عدي في " الكامل " (81 / 1) وابن حبان في " الضعفاء " (2 / 196) من طريقتين آخرين عن أبي معاوية به وقال ابن عدي: " وهذا الحديث الأصل فيه موقوف من قول أنس ". وأما الحاكم
فقال: " صحيح الإسناد "! ورده الذهبي بقوله: " قلت: قال ابن حبان في العوام: يروي الموضوعات والحديث أورده السيوطي في " الجامع "، فتعقبه المناوي، فقال: " سكت المصنف عليه، فأوهم أنه لا علة فيه، وهو اغترار بقول الحاكم: صحيح. وغفل عن تشنيع الذهبي في " التلخيص "، والمنذري والحافظ العراقي عليه، بأن فيه العوام ابن جويرية، قال ابن حبان وغيره: يروي الموضوعات ". ثم ذكر له هذا الحديث. اهـ. وأورده الذهبي في " الميزان " في ترجمة العوام، وتعجب من إخراج الحاكم له. ومن ثم أورده ابن الجوزي في
" الموضوعات "، وتعقبه المصنف فلم يأت بطائل كعادته ". قلت: واغتر به ابن عراق أيضا، فأورده في " الفصل الثاني " من " تنزيه الشريعة " (2 / 303) ولعله سبق قلم منه، فإن هذا الفصل خاص فيما تعقب فيه ابن الجوزي كما نص في " مقدمته "، فهو بالفصل الأول الذي خصه فيما لم يخالف فيه ابن الجوزي أولى كما هو ظاهر. ثم إن المناوي أفسد التحقيق السابق بقوله في " التيسير ": " أسانيده ضعيفه "! فإنه لا سند له إلا الذي فيه العوام! والحديث رواه ابن وهب في " الجامع " (ص 71) من طريق أخرى عن الحسن أنه كان يقول: فذكره من قوله موقوفا عليه. وقد سقط إسناده من النسخة، فلم نعرف حاله ورواه ابن المبارك في "
الزهد " (629) : أخبرنا وهيب، قال: قال عيسى بن مريم، فذكره فعاد الحديث إلى أنه من الإسرائيليات. وهو بها أشبه

أربع لا يصبن إلا بعجب: الصمت وهو أول العبادة والتواضع وقلة الشيء وذكر الله عز وجل موضوع - رواه تمام في " الفوائد " (رقم 2559) عن العوام بن جويرية عن الحسن عن أنس قال فذكره موقوفا عليه. ورفعه يحيى بن يحيى: حدثنا أبو معاوية عن العوام بن جويرية عن الحسن عن أنس مرفوعا. أخرجه أبو عبد الرحمن السلمي في " آداب الصحبة " (ص 22 - 23) والحاكم (4 / 311) وأخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (1 / 37 / 1) وابن عدي في " الكامل " (81 / 1) وابن حبان في " الضعفاء " (2 / 196) من طريقتين آخرين عن أبي معاوية به وقال ابن عدي: " وهذا الحديث الأصل فيه موقوف من قول أنس ". وأما الحاكم فقال: " صحيح الإسناد "! ورده الذهبي بقوله: " قلت: قال ابن حبان في العوام: يروي الموضوعات والحديث أورده السيوطي في " الجامع "، فتعقبه المناوي، فقال: " سكت المصنف عليه، فأوهم أنه لا علة فيه، وهو اغترار بقول الحاكم: صحيح. وغفل عن تشنيع الذهبي في " التلخيص "، والمنذري والحافظ العراقي عليه، بأن فيه العوام ابن جويرية، قال ابن حبان وغيره: يروي الموضوعات ". ثم ذكر له هذا الحديث. اهـ. وأورده الذهبي في " الميزان " في ترجمة العوام، وتعجب من إخراج الحاكم له. ومن ثم أورده ابن الجوزي في " الموضوعات "، وتعقبه المصنف فلم يأت بطائل كعادته ". قلت: واغتر به ابن عراق أيضا، فأورده في " الفصل الثاني " من " تنزيه الشريعة " (2 / 303) ولعله سبق قلم منه، فإن هذا الفصل خاص فيما تعقب فيه ابن الجوزي كما نص في " مقدمته "، فهو بالفصل الأول الذي خصه فيما لم يخالف فيه ابن الجوزي أولى كما هو ظاهر. ثم إن المناوي أفسد التحقيق السابق بقوله في " التيسير ": " أسانيده ضعيفه "! فإنه لا سند له إلا الذي فيه العوام! والحديث رواه ابن وهب في " الجامع " (ص 71) من طريق أخرى عن الحسن أنه كان يقول: فذكره من قوله موقوفا عليه. وقد سقط إسناده من النسخة، فلم نعرف حاله ورواه ابن المبارك في " الزهد " (629) : أخبرنا وهيب، قال: قال عيسى بن مريم، فذكره فعاد الحديث إلى أنه من الإسرائيليات. وهو بها أشبه
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৫৯

পরিচ্ছেদঃ

১৯৫৯। তোমরা যে সব বস্তুকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করো সেগুলোর সর্বোত্তম হচ্ছে লুদূদ (মুখের এক পার্শ্ব দিয়ে যা পান করানো হয়), সাউদ (নাক দিয়ে যা দেয়া হয়), শিংগা লাগানো এবং এমন ঔষধ খাওয়া যা টয়লেটে যেতে বাধ্য করে।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে তিরমিযী (২/৪, ৫), হাকিম (৪/২০৯) ও আবু ওবাইদ “আলগারীব” গ্রন্থে (২/৩৯) আব্বাদ ইবনু মানসূর হতে, তিনি ইকরিমাহ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব। আর হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ। আর হাফিয যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

অথচ তারা যেমন বলেছেন সেরূপ নয়। কারণ বর্ণনাকারী আব্বাদ ইবনু মানসূরের শেষ জীবনে পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল (মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল)। এ ছাড়া তিনি মুদাল্লিস বর্ণনাকারী যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। তিনি আন আন করে বর্ণনা করেছেন।

হ্যাঁ, শিংগা লাগানো সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সহীহ। সেটিকে আমি অন্য কিতাবে (সহীহার মধ্যে) তাখরীজ করেছি। দেখুন (১০৫৩, ১০৫৪)।

خير ما تداويتم به اللدود والسعوط والحجامة والمشي
ضعيف

-

رواه الترمذي (2 / 4 و5) والحاكم (4 / 209) وأبو عبيد في " الغريب " (39 / 2) عن عباد بن منصور عن عكرمة عن ابن عباس مرفوعا به. وقال الترمذي: " حديث حسن غريب "! وقال الحاكم: " صحيح الإسناد "! ووافقه الذهبي، وليس كما قالوا، لأن عباد بن منصور كان تغير في آخره، ثم هو مدلس كما في " التقريب "، وقد عنعنه نعم، الحديث في الحجامة صحيح، وقد خرجته في الكتاب الآخر (1053 و1054)

خير ما تداويتم به اللدود والسعوط والحجامة والمشي ضعيف - رواه الترمذي (2 / 4 و5) والحاكم (4 / 209) وأبو عبيد في " الغريب " (39 / 2) عن عباد بن منصور عن عكرمة عن ابن عباس مرفوعا به. وقال الترمذي: " حديث حسن غريب "! وقال الحاكم: " صحيح الإسناد "! ووافقه الذهبي، وليس كما قالوا، لأن عباد بن منصور كان تغير في آخره، ثم هو مدلس كما في " التقريب "، وقد عنعنه نعم، الحديث في الحجامة صحيح، وقد خرجته في الكتاب الآخر (1053 و1054)
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
১৯৬০

পরিচ্ছেদঃ

১৯৬০। তুমি কুষ্ঠরোগীর সাথে এমতাবস্থায় কথা বল যে, তোমার আর তার মাঝে এক বর্শা অথবা দু’বশী পরিমাণ দূরত্ব রয়েছে।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু আদী (২/৮২) মুয়াবিয়্যাহ ইবনু হিশাম হতে, তিনি হাসান ইবনু আম্মারাহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আবী আউফা হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। কারণ এ হাসান সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি মাতরূক। বরং ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস ছিলেন এবং তার হাদীসগুলো বানোয়াট।

হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামে” গ্রন্থে ইবনুস সুন্নী এবং আবু নুয়াইমের “আততিব্ব” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে ইবনু আবী আউফা হতে বর্ণনা করেছেন। আর তার ভাষ্যকার মানবী বলেছেনঃ ইবনু হাজার “আলফাতহ” গ্রন্থে বলেনঃ তার সনদটি দুর্বল। আলী (রাঃ)-এর হাদীস হতে এর একটি শাহেদ রয়েছেঃ

“তোমরা স্থায়ীভাবে কুষ্ঠরোগীদের দিকে দৃষ্টি দিও না। আর তোমরা যখন তাদের সাথে কথা বলবে তখন যেন তোমাদের এবং তাদের মাঝে এক বর্শা পরিমাণ দূরত্ব থাকে।”

আমি এটিকে অন্য কিতাবে তাখরীজ করেছি (১০৬৪) প্রথম বাক্যটির কারণে। কারণ এর সনদটি হাসান এবং এর কতিপয় শাহেদ রয়েছে। আর আমি সেখানে এ হাদীসটির দুর্বল হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। এটিকে ইবনু জারীর ত্ববারানী “তাহষীবুল আসার” গ্রন্থে (১/১৭/৪৭) আবূ ফুযালাহ সূত্রে, তিনি হচ্ছেন ফারায ইবনু ফুযালাহ। এখন আমার নিকট আরেকটি সমস্যা ধরা পড়েছে সেখানে আমি সেটির ব্যাপারে অবগত হইনি। সেটিকে এখানে বর্ণনা করা অপরিহার্য কর্তব্য। আর তা হচ্ছে ইবনু ফুযালার উপর বর্ণনাকারীদের মতভেদঃ তাদের মধ্যে কেউ বলেছেনঃ ফাতেমাহ বিনতু হুসাইন হতে, তিনি হুসাইন হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি হাদীসটিকে আলী (রাঃ)-এর মুসনাদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এটি হচ্ছে আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদের বর্ণনা।

তাদের মধ্য থেকে কেউ ফাতেমাহ হতে, তিনি তার পিতা হুসাইন ইবনু আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এটিকে হুসাইন (রাঃ)-এর মুসনাদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এটি হচ্ছে আবূ ইয়ালার বর্ণনা।

তদের মধ্য থেকে কেউ বলেছেনঃ ফাতেমা হতে, তিনি তার পিতা হুসাইন ইবনু আলী (রাঃ) হতে, তিনি তার মাতা ফাতেমা (রাঃ) হতে তিনি বলেনঃ আমার ধারণা- রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ... । তিনি এটিকে ফাতেমাতুল কুবরার মুসনাদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এটি হচ্ছে ত্ববারানীর বর্ণনা।

আর তারা সকলেই বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু উসমান হতে, তিনি উম্মু ফাতেমা বিনতু হুসাইন হতে ...। তবে আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ বলেছেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আমর হতে ...। তার থেকে মুহাম্মাদ পড়ে গেছে। সঠিক হচ্ছে মুহাম্মাদকে উল্লেখ করা। যেমনটি অন্য দু'জনের বর্ণনায় এসেছে। সম্ভবত ইবনু ফুযালার হিফয হতে অথবা তার শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আমেরের হিফয হতে পড়ে গেছে। আর তারা দু’জনই দুর্বল যেমনটি সেখানে উল্লেখ করেছি।

হাদীসটির মধ্যে সঠিক হচ্ছে প্রথম বাক্যটি, যেটিকে মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু উসমানের বর্ণনায় তার মাতা ফাতেমা বিনতুল হুসাইন হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ ইবনু সাঈদ ইবনু আবী হিন্দ ও ইবনু আবিয যিনাদ এটিকে মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেছেন যেমনটি দেখবেন “সিলসিলাহ সহীহাহ” গ্রন্থে।

সতর্কবাণীঃ “আততাহযীব” গ্রন্থের উপর দু'টীকা লেখক লক্ষ্য করেননি যে, ফাতেমাতুল কুবরার হাদীস হুবহু আলী (রাঃ) এবং তার ছেলে হুসাইনের হাদীসই। কিন্তু বর্ণনাকারীগণ সনদের ব্যাপারে মতভেদ করেছেন। ফলে টীকা লেখক বলেছেনঃ এ সম্পর্কে অবগত হইনি।

كلم المجذوم وبينك وبينه قيد رمح أورمحين
ضعيف

-

رواه ابن عدي (82 / 2) عن معاوية بن هشام: حدثنا الحسن بن عمارة عن أبيه عن عبد الله بن أبي أوفى مرفوعا. قلت: وهذا سند ضعيف جدا، الحسن هذا قال الحافظ: " متروك ". بل قال الإمام أحمد: " كان منكر الحديث، وأحاديثه موضوعة ". والحديث عزاه السيوطي في " الجامع " لابن السني وأبي نعيم في " الطب " عن ابن أبي أوفى. وقال شارحه المناوي: " قال ابن حجر في " الفتح ": وسنده واه ". وله شاهد من حديث علي رضي الله عنه: " لا تديموا النظر إلى المجذومين، وإذا كلمتموهم فليكن بينكم وبينهم قيد رمح ". وقد خرجته في الكتاب الآخر (1064) من أجل الجملة الأولى، فإن لها إسنادا حسنا وشواهد. وبينت هناك ضعف إسناد هذا الحديث، وقد أخرجه أيضا ابن جرير الطبري في " تهذيب الآثار " (1 / 17 / 47) من طريق أبي فضالة، وهو الفرج بن فضالة الذي من طريقه خرج هناك. وقد بدا لي الآن أن فيه علة أخرى لم أتنبه لها هناك، فوجب بيانها هنا، وهي اختلاف الرواة على ابن فضالة: فمنهم من قال: عن فاطمة بنت حسين عن حسين عن أبيه فجعله من مسند علي، وهي رواية عبد الله بن أحمد. ومنهم من قال: عنها عن أبيها حسين بن علي، فجعله من مسند الحسين، وهي رواية أبي يعلى. ومنهم من قال: عنها عن أبيها حسين بن علي عن أمه فاطمة

قالت - فيما أرى - قال رسول الله صلى الله عليه وسلم، فجعله من مسند فاطمة الكبرى رضي الله عنها، وهي رواية الطبري. وكلهم قالوا: " عن محمد بن عبد الله بن عمرو بن عثمان عن أم فاطمة بنت حسين ... إلا عبد الله بن أحمد فقال: عن عبد الله بن عمرو ... إلخ. سقط منه " محمد ابن " والصواب إثباته كما في رواية الآخرين، ولعله سقط من حفظ ابن فضالة أوشيخه عبد الله بن عامر، فإنهما ضعيفان كما ذكرت هناك. والصواب في الحديث أنه من رواية محمد بن عبد الله بن عمرو بن عثمان عن أمه فاطمة بنت الحسين عن ابن عباس مرفوعا بالشطر الأول منه. كذلك رواه عبد الله بن سعيد ابن أبي هند وابن أبي الزناد عن محمد بن عبد الله به كما تراه مخرجا في " الصحيحة " في المكان المشار إليه آنفا (تنبيه) : لم يتنبه المعلقان على " التهذيب " أن حديث فاطمة الكبرى هو عين حديث علي وابنه الحسين، إلا أن الرواة اختلفوا في إسناده، فقال المعلق: لم أقف عليه

كلم المجذوم وبينك وبينه قيد رمح أورمحين ضعيف - رواه ابن عدي (82 / 2) عن معاوية بن هشام: حدثنا الحسن بن عمارة عن أبيه عن عبد الله بن أبي أوفى مرفوعا. قلت: وهذا سند ضعيف جدا، الحسن هذا قال الحافظ: " متروك ". بل قال الإمام أحمد: " كان منكر الحديث، وأحاديثه موضوعة ". والحديث عزاه السيوطي في " الجامع " لابن السني وأبي نعيم في " الطب " عن ابن أبي أوفى. وقال شارحه المناوي: " قال ابن حجر في " الفتح ": وسنده واه ". وله شاهد من حديث علي رضي الله عنه: " لا تديموا النظر إلى المجذومين، وإذا كلمتموهم فليكن بينكم وبينهم قيد رمح ". وقد خرجته في الكتاب الآخر (1064) من أجل الجملة الأولى، فإن لها إسنادا حسنا وشواهد. وبينت هناك ضعف إسناد هذا الحديث، وقد أخرجه أيضا ابن جرير الطبري في " تهذيب الآثار " (1 / 17 / 47) من طريق أبي فضالة، وهو الفرج بن فضالة الذي من طريقه خرج هناك. وقد بدا لي الآن أن فيه علة أخرى لم أتنبه لها هناك، فوجب بيانها هنا، وهي اختلاف الرواة على ابن فضالة: فمنهم من قال: عن فاطمة بنت حسين عن حسين عن أبيه فجعله من مسند علي، وهي رواية عبد الله بن أحمد. ومنهم من قال: عنها عن أبيها حسين بن علي، فجعله من مسند الحسين، وهي رواية أبي يعلى. ومنهم من قال: عنها عن أبيها حسين بن علي عن أمه فاطمة قالت - فيما أرى - قال رسول الله صلى الله عليه وسلم، فجعله من مسند فاطمة الكبرى رضي الله عنها، وهي رواية الطبري. وكلهم قالوا: " عن محمد بن عبد الله بن عمرو بن عثمان عن أم فاطمة بنت حسين ... إلا عبد الله بن أحمد فقال: عن عبد الله بن عمرو ... إلخ. سقط منه " محمد ابن " والصواب إثباته كما في رواية الآخرين، ولعله سقط من حفظ ابن فضالة أوشيخه عبد الله بن عامر، فإنهما ضعيفان كما ذكرت هناك. والصواب في الحديث أنه من رواية محمد بن عبد الله بن عمرو بن عثمان عن أمه فاطمة بنت الحسين عن ابن عباس مرفوعا بالشطر الأول منه. كذلك رواه عبد الله بن سعيد ابن أبي هند وابن أبي الزناد عن محمد بن عبد الله به كما تراه مخرجا في " الصحيحة " في المكان المشار إليه آنفا (تنبيه) : لم يتنبه المعلقان على " التهذيب " أن حديث فاطمة الكبرى هو عين حديث علي وابنه الحسين، إلا أن الرواة اختلفوا في إسناده، فقال المعلق: لم أقف عليه
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)

Comments