প্রথম মাসআলা: মৃতব্যক্তি কি জীবিত ব্যক্তির যিয়ারত ও সালাম বুঝতে পারে? না-কি বুঝে না?

জবাব: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«ما من مسلم يمر بقبر أخيه كان يعرفه في الدنيا فَيُسَلم عليه، إلا رد الله عليه روحه، حتى يرد عليه السلام».

“যখন কোনো মুসলিম ব্যক্তি দুনিয়াতে পরিচিত তার কোনো মৃত্যু ভাইয়ের কবরের পাশ দিয়ে গমন করে এবং তাকে সালাম দিলে তখন তার সালামের উত্তর দেওয়ার জন্য আল্লাহ তার রূহকে ফেরত দেন।”[1] হাদীসের এ কথা দ্বারা প্রমাণিত যে, মৃত ব্যক্তি তাকে চিনতে পারেন এবং তার সালামের উত্তর দেন।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, কবরবাসীকে যখন তারা সালাম দিবেন তখন তাদেরকে মুখাতিব তথা উপস্থিত ব্যক্তিকে সম্বোধন করার শব্দ দ্বারা সালাম দিবেন। ফলে মুসলিম কবরবাসীকে সালামের সময় বলবে,

«السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ».

“তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক, হে মুমিনদের গৃহে বসবাসকারী।”[2]

মুতাওয়াতির সূত্রে সালাফদের থেকে অসংখ্য আসার (বাণী) বর্ণিত আছে যে, মৃত ব্যক্তি জীবিত ব্যক্তির যিয়ারত বুঝতে পারেন এবং এতে সে খুশী হন।

কবর যিয়ারতকারী মুসলিমকে যিয়ারতকারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তারা যদি কারো উপস্থিতি অনুধাবন করতে না পারে তবে যিয়ারতকারীকে যায়ির তথা যিয়ারতকারী বলা হতো না। কেননা যার যিয়ারতের জন্য যাওয়া হয় সে যদি যিয়ারতকারীকে না জানে তবে এ কথা বলা শুদ্ধ হবে না যে, সে তার যিয়ারত করেছে। যিয়ারতের এ ব্যাপারটি সব জাতির কাছে জ্ঞাত ব্যাপার। এমনিভাবে কবরবাসীকে সালাম দেওয়া। কেননা যাকে সালাম দেওয়া হয় সে যদি তা বুঝতে না পারে এবং সালাম প্রদানকারীকে না জানে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে সালাম দেওয়াও অসম্ভব। সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, মৃত ব্যক্তির জানাযার পরে তার কবরের পাশে কিছুক্ষণ কারো অবস্থান করে থাকা সে পছন্দ করে ও ভালোবাসে।[3]

[1] ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত উপরোক্ত হাদীসটি ইবন আব্দুল বার রহ. তার সনদে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। দেখুন, আল-ইসতিযকার, ১/১৮৫; আর-রূহ ফিল কালাম ‘আলা আরওয়াহিল আমওয়াতি ওয়াল আহইয়াই বিদ-দালায়িলি মিনাল কিতাব ওয়াস-সুন্নাহ, ইবনুল কাইয়্যিম রহ. পৃষ্ঠা ৫। [2] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৯। [3] দেখুন সহীহ মুসলিমের হাদীস নং ১২১। এতে ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মৃত্যুর পূর্বে তার সন্তানকে বলেছিলেন, “আমাকে যখন দাফন করবে তখন আমার উপর আস্তে আস্তে মাটি ফেলবে এবং দাফন সেরে একটি উট যবাই করে তার গোশত বণ্টন করতে যে সময় লাগে, ততক্ষণ আমার কবরের পাশে অবস্থান করবে, যেনো তোমাদের উপস্থিতির কারণে আমি আতঙ্ক-মুক্ত অবস্থায় চিন্তা করতে পারি যে, আমার রবের দূতের (ফিরিশতার) কী জবাব দেবো।” -অনুবাদক 

Comments

|| Popular Posts ||

পুরুষের ও মহিলাদের জন্য মাহরাম ও গায়ের মাহরামের তালিকা _ Islamic knowledge

মৃত্যুর সময় যে আপসোস রয়ে যাবে! :

Subject__ The punishment of jahannam___The seven gate of Jahannam:

food

Chapter___ What to say when waking up in the morning : Sunnan abu daud, _book of General Behavior (Kitab Al-Adab)

Is there a Reward for Reading Hadeeth? – Imam Ibn Baaz_ Fatwa

মাসিক আত-তাহরীক pdf download

পরিচ্ছেদ_ ‏বিশ্বজগৎ সৃষ্টির রহস্য ‎(حكمة خلق الكائنات) ‏

বিষয়__ মাসায়েলে কুরবানী

The Story of Qarun(Korah)