× মৃত্যুর সময় যে আপসোস রয়ে যাবে! রাকিব আলী - অগাস্ট ৩০, ২০২৪ ৬৪৮ বার পঠিত মানুষের সামনে যখন মৃত্যু এসে হাযির হবে, যখন মালাকুল মাউত তার জান ক্ববয করার প্রস্তুতি নিবেন, তখন সে কী নিয়ে আপসোস করবে, জানেন? মৃত্যুর মতো কঠিন মুহূর্তে তার আপসোসের বিষয় হবে দান-ছাদাক্বা। ঠিক এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,وَأَنْفِقُوا مِنْ مَا رَزَقْنَاكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَيَقُولَ رَبِّ لَوْلَا أَخَّرْتَنِي إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ وَأَكُنْ مِنَ الصَّالِحِينَ ‘আর আমি তোমাদেরকে যে রিযিক্ব দিয়েছি, তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে তোমাদের কারও মৃত্যু আসার আগে আগেই। (অন্যথা মৃত্যু আসলে সে বলবে,) হে আমার রব! আমাকে আরো কিছু সময়ের জন্য সুযোগ দিলে আমি দান-ছাদাক্বা করতাম এবং নেককারদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতাম!’ (আল-মুনাফিকূন, ৬৩/১০) । বান্দার এই আক্ষেপের প্রেক্ষিতে আল্লাহ বলছেন,وَلَنْ يُؤَخِّرَ اللَّهُ نَفْسًا إِذَا جَاءَ أَجَلُهَا وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ ‘যখন কারো নির্ধারিত সময় উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ তাকে কিছুতেই অবকাশ দেবেন না। তোম...
গ্রন্থঃ কিয়ামতের আলামত অধ্যায়ঃ কিয়ামতের বড় আলামত ৪. ইয়াজুয-মা’জুযের আগমণ ইয়াজুয-মা’জুযের পরিচয়ঃ ইয়াজুয-মা’জুযের দল বের হওয়া কিয়ামতের একটি অন্যতম বড় আলামত। এরা বের হয়ে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও মহা ফিতনার সৃষ্টি করবে। এরা বর্তমানে যুল-কারনাইন বাদশা কতৃক নির্মিত প্রাচীরের ভিতরে অবস্থান করছে। কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে তারা দলে দলে মানব সমাজে চলে এসে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাবে। তাদের মোকাবেলা করার মত তখন কারো কোন শক্তি থাকবেনা। তাদের পরিচয় সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বর্ণিত হয়েছে। কোন কোন আলেম বলেনঃ তারা শুধু মাত্র আদমের বংশধর। আদম ও হাওয়ার বংশধর নয়। কারণ হিসেবে বলেনঃ আদম (আঃ)এর একবার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে মাটির সাথে মিশে গেলে তা থেকে আল্লাহ তায়ালা ইয়াজুয-মা’জুয জাতি সৃষ্টি করেন।[1] ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ কথাটি পূর্ব যুগের কোন গ্রহণযোগ্য আলেম কর্তৃক বর্ণিত হয়নি। শুধুমাত্র কা’ব আল-আহবার থেকে বর্ণিত হয়েছে। কথাটি সুস্পষ্ট মারফূ হাদীছের বিরোধী হওয়ায় তা গ্রহণযোগ্য নয়। মোটকথা তারা তুর্কীদের পূর্ব পুরুষ ইয়াফিছের বংশধর। আর ইয়াফিছ হলো নূহ (আঃ)এর সন্তান। কাজেই তা...
ইলিয়াসী তাবলীগ নিষিদ্ধের নেপথ্যে: ***************************************** আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়া ‘অহী’ তথা কুরআনে কারীম ও ছহীহ হাদীছের দাওয়াতকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়ার নামই ‘তাবলীগ’। এটা গুরুত্বপূর্ণ ফরয বিধানের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর নাযিল করা শরী‘আতের বাইরে তাবলীগ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৬৭; ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৬১)। কিন্তু বর্তমানে দাওয়াত ও তাবলীগের নামে যারা মাঠে কাজ করছে তাদের অধিকাংশই কুরআন-হাদীছকে তোয়াক্কা করে না। বরং নিজেদের তৈরি স্ব স্ব তরীকার আলোকে বিদ‘আতী তাবলীগ করে যাচ্ছে এবং শিরক, বিদ‘আত, কুসংস্কার ও জাল, যঈফ, মিথ্যা, বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী দ্বারা সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এর মধ্যে জনাব ইলিয়াস (১৩০৩-১৩৬৩ হি./১৮৮৫-১৯৪৪ খৃ.) ছাহেবের প্রতিষ্ঠিত তাবলীগ জামায়াত অন্যতম। ১৯২১ সালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ‘মেওয়াত’ এলাকায় ‘ফিরোযপুর নিমক’ গ্রামে তিনি এই জামায়াত প্রতিষ্ঠা করেন। এর অনুসরণীয় গ্রন্থ হল ‘তাবলীগী নেছাব’, যা ‘ফাযায়েলে আমল’। ইলিয়াস ছাহেবের জামাই, ভাতিজা এবং ছাত্র জনাব যাকারিয়া (১৩১৭-১৪০২ হি./১৮৯৮-১৯৮২ খৃ.) ছাহেব এর লেখক, যা ১৯৭৫ ম...
This is My Question to Al itisam desk , Bangladesh h j × প্রশ্ন (৪১): আমি অলী ছাড়া বিয়ে করেছি। পরে জানতে পারলাম যে, অলী ছাড়া বিয়ে বাতিল। পরবর্তীতে তিনবারে মেয়েকে তিন তালাক প্রদান করেছি। এখন কি মেয়েটাকে আমার মোহর দেওয়া লাগবে? প্রশ্নকার : বাপ্পি আসাম, ভারত। উত্তর: প্রথমত, যেহেতু উক্ত বিবাহ সিদ্ধ হয়নি সেহেতু তিনবারে তিন তালাক প্রদান করা অর্থহীন। কারণ তাদের বিয়েই হয়নি। কারণ রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে নারী অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করল তার বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (তিরমিযী, হা/১১০২; আবূদাঊদ, হা/২০৮৩)। দ্বিতীয়ত, তাকে মোহরানা দিতে হবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে কোনো মহিলা তার অলীর অনুমতি ব্যতিরেকে বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। যদি এরপর স্বামী তার সাথে সহবাস করে, তবে স্ত্রী মোহরানার হক্বদার হবে। যেহেতু তার স্বামী তার লজ্জাস্থানকে হালাল মনে করে ভোগ করেছে’ (তিরমিযী, হা/১১০২; ইবনে মাজাহ, হা/১৮৭৯)। তবে এখন তার সাথে সংসার করতে চাইলে নতুন মোহর নির্ধারণ করে অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিবাহ করতে হবে। ********...
আহমাদুল্লাহ * (পর্ব-৫) ৮. ফজর ও আসরের পর সুন্নাত না পড়া : এ ব্যাপারে মুহতারাম লেখক একটি হাদীছ পেশ করেছেন। তা হলো- عن أبي سعيد الخدري قال سمعت رسول الله ﷺ يقول لا صلاة بعد الصبح حتى ترتفع الشمس ولا صلاة بعد العصر حتى تغيب الشمس. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন , আমি নবীজি সা.-কে বলতে শুনেছি , ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন নামায পড়া যাবে না এবং আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন নামায পড়া যাবে না। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৫৮৬) তাহক্বীক্ব : হাদীছটি অবশ্যই ছহীহ। সুতরাং এ ব্যাপারে কোনো কথা নেই। কিন্তু ফজরের পূর্বে যদি দু’রাকআত সুন্নাত ক্বাযা হয়ে যায় তাহলে তা ফজরের ফরযের পর সাথে সাথে আদায় করে নিতে হবে। [1] উক্ত হাদীছে ক্বাযা সুন্নাতের ব্যাপারে নয়, বরং সাধারণ নফল ছালাতের ব্যাপারে বলা হয়েছে। অনুরূপভাবে যোহরের কোনো সুন্নাত কিংবা আছরের পূর্বের চার রাকআত যদি বাদ পড়ে যায়, তাহলে তা আছরের ফরয ছালাতের পর পরই আদায় করা যাবে। [2] এছাড়াও তাহিয়াতুল মসজিদ, তাহিয়াতুল ওযূ, দুখূলুল মাসজিদ ইত্যাদি ছালাত আছরের পরও পড়া যায়। আর নবী (ছাল্লাহু আলাই...
**-আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ (পর্ব-২৫) সালাম ফিরানোর পর সাথে সাথে উঠা যাবে না : সালাম ফিরানোর পরপরই তাড়াহুড়া করে উঠে যাওয়া খারাপ অভ্যাস। এ খারাপ অভ্যাসকে ছাহাবীগণ কঠোরভাবে দমন করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে রাবাহ (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণের একজন হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (ছাঃ) আছরের ছালাত আদায় করেন। সালাম ফিরানোর সাথে সাথে একজন লোক দাঁড়িয়ে যান। ওমর (রাঃ) তাকে দেখতে পান এবং ঘাড় ধরে বলেন, বসে যান। নিশ্চয় পূর্বের লোকেরা ধ্বংস হয়েছে একারণে যে, তারা দুই ছালাতের মাঝে বিরতি দিত না। রাসূল (ছাঃ) তখন ওমর (রাঃ)-কে বললেন, ‘তুমি ঠিক করেছো’। [1] এ হাদীছ প্রমাণ করে, দুই ছালাতের মাঝে বিরতি হতে হবে এবং তাসবীহ, তাহলীল ও যিকিরের মাধ্যমে কিছু সময় অতিবাহিত করতে হবে, তারপর অন্য ছালাত আদায় করতে হবে। সালাম ফিরানোর পর মাথায় হাত রেখে দু‘আ পড়া যাবে না : সালাম ফিরানোর পর মাথায় হাত রেখে দু‘আ পড়ার প্রমাণে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। এ আমল পরিহার করতে হবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন ছালাত আদায় করতেন, তখন ডান হাত তার মাথায় রাখতেন এবং বলতেন, ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, যিনি পরম করুণাময়, দয়াল...
Daily Hadith (Monday 27th November 2023) From: Sunan Ibn Majah Chapter No. 32, The Chapters on Food Hadith No: 3273 Narrated/Authority of Ibn Umar that the Messenger of Allah (saw) said:"When food is served, eat from that which is in front of you, and do not take from what is in front of your companion.'"
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ সংক্রান্ত মাসায়েল সংক্ষেপে নিম্নরূপ : ১. যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকের ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকের নেক আমলের চেয়ে প্রিয়তর কোন আমল আল্লাহর কাছে নেই। ছাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়? তিনি বললেন, জিহাদও নয়। তবে ঐ ব্যক্তি, যে তার নিজের জান ও মাল নিয়ে বেরিয়েছে, আর ফিরে আসেনি অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে গেছে’।[1] ২. চুল-নখ না কাটা : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে।[2] (খ) কুরবানী দিতে অক্ষম ব্যক্তিগণ কুরবানীর খালেছ নিয়তে এটা করলে ‘আল্লাহর নিকটে তা পূর্ণাঙ্গ কুরবানী’ হিসাবে গৃহীত হবে।[3] ৩. আরাফার দিনের ছিয়াম : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ...
আল্লাহ তা‘আলা কিছু মাস, দিন ও রাতকে ফযীলতপূর্ণ করেছেন। যেমন রামাযান মাসকে অন্য সকল মাসের উপর মহিমান্বিত করেছেন। আরাফাতের দিন ও ঈদের দিনকে অন্য দিনের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্বদরের রাতকে অন্যান্য রাতের চেয়ে মর্যাদামন্ডিত করেছেন। আসন্ন যিলহজ্জ মাস অনুরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মাস। যে মাসে হজ্জ ও কুরবানী করা হয়ে থাকে। এই মাসের ফযীলত ও আমল সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বিস্তর আলোচনা এসেছে। আলোচ্য প্রবন্ধে যিলহজ্জ মাসের ফযীলত ও আমল সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলোচনা পেশ করা হ’ল।- যিলহজ্জ মাসের ফযীলত : উম্মতে মুহাম্মাদীর বয়স ষাট থেকে সত্তর বছর। এত্থেকে অধিক বয়স কম লোকেরই হয়।[1] তাই অল্প সময়ে অধিক নেকী উপার্জনের জন্য মহান আল্লাহ বিভিন্ন মাস ও দিবসকে ফযীলতপূর্ণ করেছেন। অনুরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে যিলহজ্জ মাস। এ মাসেরও অনেক ফযীলত রয়েছে। ১. এটা হারাম মাস : চারটি হারাম তথা সম্মানিত মাসের মধ্যে অন্যতম হ’ল যিলহজ্জ মাস। মহান আল্লাহ বলেন, إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدّ...
Comments
Post a Comment