প্রশ্ন (১/৪৪১) : নফল ছিয়াম শুরু করে কোন কারণে ভেঙ্গে ফেললে পরে তার ক্বাযা আদায় করা ওয়াজিব কি?
উত্তর : নফল ছিয়াম কারণবশত ছেড়ে দিলে তার ক্বাযা আদায় করা ওয়াজিব নয়। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খানা প্রস্ত্তত করলাম। অতঃপর তিনি এবং তাঁর ছাহাবীগণ আসলেন। যখন খানা পেশ করলাম তখন তাদের মধ্য হ’তে একজন ছাহাবী বললেন, আমি ছায়েম। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমাদের ভাই পরিশ্রম করে খাবার প্রস্ত্তত করেছে এবং দাওয়াত দিয়েছে। অতএব তুমি ছিয়াম ছেড়ে দাও এবং চাইলে তার স্থানে অন্যদিনে ক্বাযা আদায় করে নিও’ (বায়হাক্বী, ইরওয়াউল গালীল হা/১৯৫২, সনদ হাসান)। একদিন রাসূল (ছাঃ) একটি পাত্র থেকে কিছু পান করে বাকী অংশ উম্মে হানীকে দিলেন। অতঃপর তিনি তা থেকে পান করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমি তো পান করে ফেললাম, কিন্তু আমি যে ছায়েম ছিলাম! রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমার কোন ক্ষতি নেই, যদি তা নফল ছিয়াম হয় (আবুদাঊদ,মিশকাত হা/২০৭৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৫৪)।
হযরত আয়েশা (ছাঃ) বলেন, একদিন নবী করীম (ছাঃ) আমার কাছে আসলেন এবং বললেন, ‘তোমাদের কাছে কি কিছু (খাবার) আছে? আমরা বললাম, ‘না’। তখন তিনি বললেন, তাহ’লে আমি এখন ছিয়াম পালন করছি (নফল ছিয়াম)। পরে আরেকদিন তিনি আমাদের কাছে আসলেন। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাদের জন্য হাইস (এক ধরনের আরবীয় খাবার) হাদিয়া এসেছে। তিনি বললেন, আমাকে তা দেখাও, আমি আজ সকালে ছিয়ামের নিয়ত করেছিলাম। অতঃপর তিনি তা খেয়ে ফেললেন’ (ছহীহ মুসলিম হা/১১৫৪; মিশকাত হা/২০৭৬)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বললেন, নফল ছায়েম নিজের উপর ‘আমীর’ অর্থাৎ কর্তৃত্বশীল। চাইলে রাখতে পারে, চাইলে ভাঙতে পারে’ (হাকেম, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৫৪)। উল্লেখ্য, নফল ছিয়াম ভেঙ্গে ফেললে ক্বাযা আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/২৪৫৭; যঈফাহ হা/৫২০২)।
Link... https://at-tahreek.com/article_details/921203
Comments
Post a Comment